বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর ও শিবগঞ্জে অসহযোগ আন্দোলন ও গনমিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এদিকে, জেলা আওয়ামীলীগ অফিসে আওয়ামীলীগের প্রতিরোধ সভা থাকলেও আওয়ামীলীগ ও অংগ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা জড়ো হওয়ার চেষ্টা করলে রবিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে জেলা আওয়ামীলীগ অফিসে ভাংচুর চালায় দূর্বৃত্তরা এবং ১০-১২টি মোটরসাইকেলে আগুনও ধরিয়ে দেয়।
এসময় আওয়ামীলীগ নেতা-কর্মীরা সরে যায়। পরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর আসনের সংসদ সদস্য’র ওয়ালটন মোড়স্থ নাহালা ভবনে হামলা ও ভাংচুর চালায় দূর্বৃত্তরা। ক্ষতিগ্রস্থ হয় ভবনের অনেক কিছু। এদিকে, ঘটনার পর নেতা-কর্মীদের নিয়ে জেলা আওয়ামীলীগ অফিস পরিদর্শন করেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ আব্দুল ওদুদ। এদিকে, সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা অফিসেও হামলা চালায় দূর্বৃত্তরা।
এদিকে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে রবিবার বিকেল ৩টার দিকে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে জেলা শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে। এসময় শিক্ষার্থীদের কর্মসূচীতে অংশ নেয় বিএনপির নেতা-কর্মী ও আইনজীবীগণ। এছাড়া, রবিবার সকালে শিবগঞ্জ সরকারী মডেল হাই স্কুলের সামনে একদফা দাবিতে এ বিক্ষোভ-সমাবেশ কমসূচি পালিত হয়। মডেল স্কুলের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শেষে আন্দোলনকারীরা শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কর্মসূচি সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
এ সময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিবগঞ্জ উপজেলার সমন্বয়করা উপস্থিত ছিলেন। স্লোগানে স্লোগানে উত্তাল হয়ে পড়ে শিবগঞ্জ পৌর এলাকা। বিএনপির নেতারা এ আন্দোলনের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেন। এদিকে, শিবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগ ও এরঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা রাজপথে থাকার ঘোষণা দিলেও তাদেরকে মাঠে দেখা যায়নি। এ ছাড়াও ভোলাহাট ও গোমস্তাপুর উপজেলাতেও অসহযোগ আন্দোলন ও গণমিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জেলা আওয়ামীলীগ অফিস ও নাহালা ভবনে হামলা এবং মোটরসাইকেলে আগুনের ঘটনায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ আব্দুল ওদুদ বলেন, বিকেলে জেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। নেতা-কর্মীরা আসতে শুরু করলে দূর্র্বত্তরা পূর্বপরিকল্পনা মোতাবেক জেলা আওয়ামীলীগ অফিসে ভাংচুর চালায়। এসময় বেশকিছু মোটরসাইকেলে আগুন দেয় দূর্বৃত্তরা।
অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কেন্দ্রের নির্দেশনা মোতাবেক কোন সংঘর্ষে না জাড়ানো এবং শান্তভাবে পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য নির্দেশনা থাকায় আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীরা ধৈর্য ধারণ করে। এঘটনায় কারা জড়িত এবং কতটি মোটরসাইকেল ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এবং অফিসের কি পরিমান ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা পরবর্তীতে বলা সম্ভব হবে। তিনি বলেন বিষয়গুলো জেনে-শুনে তদন্ত করে এঘটনায় মামলা দায়ের করা হবে। বিক্ষোভ মিছিল শেষে বিকেল ৬টা পর্যন্ত জেলা শহরের শান্তিমোড়ে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে সমাবেশ করে। শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচী শেষ করে শিক্ষার্থীরা। এসময় পুলিশ সদস্যরা শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেয়।