চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার তোহাখানা নিয়ামতিয়া আলিম মাদ্রাসায় বেশ কিছুদিন থেকে বিভিন্ন অনিয়মের কারণে শিক্ষা কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে মাদ্রাসার সার্টিফিকেট সহ বিশেষ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তিন বস্তা কাগজ নিরাপত্তার উদ্দেশ্যে হস্তান্তর করার সময় ছাত্র জনতার উত্তেজনা বিরাজ করে। তোহাখানা মসজিদের ইমাম ও তাহাখানা নিয়ামতিয়া আলিম মাদ্রাসার খন্ডকালীন শিক্ষক মাওলানা মোঃ সেলিম ও তোহাখানা রেস্ট হাউসের কর্মচারী সামিম হোসেন অফিস রুম থেকে সার্টিফিকেটসহ গুরুত্বপূর্ণ তিন বস্তা কাগজ স্থানান্তর করে গেস্ট হাউসে রাখেন। এটি ছাত্র জনতার চোখে পড়লে সকাল থেকে মাদ্রাসাটি ঘেরাও করে, ছাত্র-জনতা গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ মাদ্রাসা শিক্ষক ও বিজিবি সদস্যদের সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে। একুশে আগস্ট বুধবার দুপুরে স্থানীয় ছাত্র জনতা দুইজনের কাছ থেকে সার্টিফিকেটসহ তিন বস্তা কাগজ মাদ্রাসর স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও মাদ্রাসার শিক্ষক মন্ডলীর হাতে হস্তান্তর করা হয়। সাবেক সেনা কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা মামুনুর রশিদ, মাওলানা মোঃ আব্দুল মালেক, কেরানি সাইদুর রহমান মিলে পাঁচ বছর থেকে মাদ্রাসা টি অনিয়ম ভাবে চালাচ্ছে। কোন শিক্ষক মন্ডলির কথাবার্তা তারা শুনেন না, তারা নিজের ইচ্ছামত মাদ্রাসাটি পরিচালনা করে। তোহাখানা মাদ্রাসায় মাওলানা মামুনুর রশিদ এর নির্দেশে পূর্বের শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেটসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ করেন। এ বিষয়ে তোহাখানা মসজিদের ইমাম ও অত্র মাদ্রাসার খন্ডকালীন শিক্ষক সেলিম রেজা বলেন, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা মোঃ মামুনুর রশিদের নির্দেশে কাগজপত্র নিরাপত্তার উদ্দেশ্যে এখান থেকে সরিয়ে তোহাখানা গেস্ট হাউসের একটি নিরাপদ স্থানে রাখি। ছাত্র-জনতা আবার এটি নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করলে আবার আমরা অফিসে হস্তান্তর করি।
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা মোঃ মামুনুর রশিদ বলেন, দেশে বিভিন্ন অরাজকতা সৃষ্টি হয়েছে, এর প্রেক্ষিতে সার্টিফিকেট সহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র অফিস কক্ষ থেকে সরিয়ে মাদ্রাসা প্রাঙ্গণের ভিতরেই গেস্ট হাউসের নিরাপদ স্থানে রাখা হয়েছিল। আমি চাইনা তোহাখানা মাদ্রাসার কোন ক্ষতি হোক, তাই কাগজপত্রগুলো সরিয়ে রাখা হয়েছিল।