চাঁপাইনবাবগঞ্জে নামধারী সাংবাদিক নাহিদ ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীদের দ্বারা বসত বাড়ী দখল ও প্রাণনাসের হুমকি’র প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে। বুধবার মডেল প্রেসক্লাব চাঁপাইনবাবগঞ্জের হল রুমে এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ তুলে ধরেন মোসা: তারা আখতার নামে এক ভুক্তভোগী নারী। লিখিত বক্তব্যে তারা আখতার বলেন, আমি একজন স্বামী পরিত্যক্ত নারী, আমার একমাত্র মেয়ে ও তার জামাই এবং নাতিকে নিয়ে দীর্ঘ ২৫ বছর যাবৎ চাঁদলাই জোড় বাগানে বসবাস করে আসছি। ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে আমার ছোট বোন মোসাঃ টুকটুকি ঢাকা থেকে আমার বাড়িতে বেড়াতে আসলে আমি সরল মনে আমার বাড়িতে তাকে থাকতে দেই। আমার বাসায় প্রায় ৪ (চার) মাস অতিবাহিত হলে আমি আমার ছোট বোন টুকটুকিকে জিজ্ঞাসা করি অনেক দিন তো হলো, কখন ঢাকা ফিরে যাবি।
এ কথা শুনে টুকটুকি আমার সাথে দূর্ব্যাবহার করে এবং সে বলে এটা আমার বাবার বাড়ি আমি এই বাড়ি থেকে যাবোনা। এরপর আমি এলাকার গনমান্য বাক্তিদের স্মরনাপন্ন হই। সুষ্ঠ সমাধানের জন্য এতে আমার ছোট বোন টুকটুকি ক্ষিপ্ত হয়ে আমার নেশাগ্রস্থ বড় ভাই মনিরুলকে সাথে নিয়ে ৪(চার) দফা মারধর করে। সবশেষ আমার জামাই মিলনের মাথা ফাটিয়ে দেই (জামাইয়ের মাথায় ৬টি সেলাই পড়ে) এবং আমাকে প্রচন্ড মারধর করে। এই ঘটনায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা করলে আসামীরা গ্রেফতার হয়। পরবর্তীতে জামিনে বেরিয়ে এসে আবারও আমার বসত বাড়ি হতে উচ্ছেদ করতে পায়তারা করছে। বর্তমান এলাকার কিছু চিহ্নিত সন্ত্রাসী, মিলন, সজিব, ইমন, মালেক, ইয়াকুব ও ভূয়া সাংবাদিক নাহিদ আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি ও প্রাণনাসের ভয় দেখাচ্ছে। ভূয়া সাংবাদিক নাহিদ আমাকে হুমকি দিয়ে বলছে, ‘তুই তোর মেয়ে ও জামাইকে নিয়ে বাড়ি হতে বের হয়ে যাবি, নয় তো আমাকে ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা দিবি, তা না হলে তোর মেয়ে জামাইকে ইয়াবা ফেন্সিডিল দিয়ে পুলিশকে ধরিয়ে দিবো’। এ বিষয়ে জানতে মোসা: তারা আক্তারের ছোট বোন টুকটুকির সাথে যোগাযোগ করা হলে তার মোবাইল নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়। এছাড়াও কথিত সাংবাদিক নাহিদ আহম্মেদ এর সাথে মুঠো ফোলে যোগাযোগ করা হলে, তিনি সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তারা আক্তার আমার বিরুদ্ধে যা অভিযোগ করেছে, তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন, এর কোন প্রমাণ আছে কি?। নাহিদ জানাই, আমি আন্তর্জাতিক বিবিসি চ্যানেলে কাজ করি।