পুলিশ সদস্য হয়েও নিজেকে ছাত্রলীগের সাবেক কর্মী পরিচয় দিয়ে রাজশাহী নগরীর এক যুবককে অস্ত্রের মুখে অপহরণের পর অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। বহিস্কৃত ঐ পুলিশ সদস্য এসআই মাহাবুব হাসান এর বিরুদ্ধে। এঘটনায় সাংবাদিক সম্মেলন করেছে ভূক্তভোগী পরিবার। ২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর রাজশাহীর গৌরহাঙ্গা এলাকার নিজ বাড়ি থেকে ভুক্তভুগী রাজিব আলী নামের এক যুবককে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। সে সময় অভিযুক্ত মাহাবুব হাসান আরএমপির গোয়েন্দা শাখায় কর্মরত ছিলেন। রাজিবকে তুলে নিয়ে তার পরিবারের কাছ থেকে মুক্তিপনের জন্য ৫ লাখ টাকা দাবি করে মাহাবুব। পরে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে নির্যাতন করে মাদক মামলা দেয়া হয়। এমন অভিযোগের পরে এসআই মাহাবুবের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলায় তাকে বহিস্কার করা হয়। শুক্রবার রাজশাহী নগরীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করে পুলিশ সদস্য এসআই মাহাবুবের বিরুদ্ধে এসব তথ্য তুলে ধরেন ভুক্তভোগী রাজীব আলী ও তার পরিবার। ২০১৯ সালের ঘটনার পরে এসআই মাহাবুবের বিরুদ্ধে গত ২১ আগস্ট মামলা করেন নির্যাতিত যুবকের বাবা মাসুদ রানা। তাদের অভিযোগ এস.আই মাহাবুব নিজেকে পুলিশ সদস্যের পাশিপাশি নিজেকে ছাত্রলীগের সাবেক নেতা পরিচয় দিয়ে অপহরণের পর অর্থ আদায় করতেন। অভিযুক্ত এসআই মাহাবুব জানান, তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা মিথ্যা। রাজশাহী মহানগর পুলিশ জানায়, তদন্ত শেষে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।