সিলেটের গোলাপগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে নিহতের ঘটনায় সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ও সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদকে প্রধান আসামি করে মোট চারটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে সবশেষ মামলাটি দায়ের করা হয় মঙ্গলবার দুপুরে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায়। ওই থানার ওসি মীর মোহাম্মদ আব্দুন নাসের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহত সানি আহমদের বাবা মো. কয়ছর আহমদ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন জানিয়ে ওসি বলেন, এখন পর্যন্ত চারটি মামলা হয়েছে। মামলায় সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ও সংসদ সদস্য নরুল ইসলাম নাহিদকে প্রধান আসামি করে ১১৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে গোপালগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ও পৌর মেয়রসহ আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের আসামি করা হয়েছে। এছাড়া আসামি করা হয়েছে অজ্ঞাত পরিচয় আর ৮০-৯০ জনকে। গোলাপগঞ্জ মডেল থানা থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গোলাপগঞ্জ উপজেলার ঢাকা দক্ষিণ ইউনিয়নের নিশ্চিন্ত গ্রামের তৈয়ব আলীর ছেলে নাজমুল ইসলামের (২৪) স্ত্রী খাদিজা মাহিরুল বাদী হয়ে দায়ের করেন। এই মামলায় প্রধান আসামি সাবেক সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদ। এ ছাড়া এ মামলায় গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মঞ্জুর কাদির শাফি এলিম, গোলাপগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আমিনুল ইসলাম রাবেলসহ মোট ১১৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত পরিচয় ১০০-১১০ জনকে আসামি করা হয়েছে। আরেক মামলায় সাবেক এ শিক্ষামন্ত্রীকে প্রধান আসামি করে মামলা করেছেন গোপালগঞ্জ উপজেলার ঢাকা দক্ষিণ ইউনিয়নের দত্তরাইল গ্রামের নিহত মিনহাজের (২৩) বড় ভাই সাঈদ আলম। এ মামলায় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অভিজিৎ চৌধুরী, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মঞ্জুর কাদির শাফি এলিম, সাবেক মেয়র আমিনুল ইসলাম রাবেলসহ মোট ৫৫ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ১০০-১৫০ জন আসামি। এছাড়া উপজেলার পৌর এলাকার ঘোষগাঁও গ্রামের মৃত মোবারক আলীর ছেলে গৌছ উদ্দিন হত্যার ঘটনায় তার ভাতিজা রেজাউল করিম ২৩ অগাস্ট গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় আরেকটি হত্যা মামলা করেন। সেখানেও সাবেক নুরুল ইসলাম নাহিদকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।