1. tohidulstar@gmail.com : sobuj ali : sobuj ali
  2. ronju@chapaidarpon.com : Md Ronju : Md Ronju
চাঁপাই’র গোমস্তাপুরে কৃষিতে সম্ভাবনা প্রযুক্তি ‘পলিনেট হাউজ’ উদ্যোক্তার স্বপ্ন - দৈনিক চাঁপাই দর্পণ
মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:০১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
চাঁপাইনবাবগঞ্জে পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সাঃ) উপলক্ষে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল নাটোরের গুরুদাসপুরে ডাকাতদের হামলায় গৃহকর্তা খুন ॥ ৩ ডাকাত আটক শিবগঞ্জে রানীনগর বি.এল স্কুলে অনিয়ম-বিশৃংখলার অভিযোগে বিক্ষোভ-মানববন্ধন ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজে তিনদিন ব্যাপী নানা কর্মসুচি নিয়ামতপুরে আমনের ক্ষেতে পোকার আক্রমণ ॥ হতাশায় চাষিরা চাঁপাইনববাগঞ্জে র‌্যাবের অভিযানে পরিত্যক্ত অবস্থায় হেরোইন উদ্ধার গোমস্তাপুরে ঈদে মিলাদুন্নবী (সঃ) উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়ার মাহফিল সুপারস্টার গ্রুপের ইলেক্ট্রিশিয়ান দক্ষতা উন্নয়ন ওয়ার্কশপ জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রথম জাতীয় লেখক উৎসব-২০২৪ অনুষ্ঠিত নিয়ামতপুরে খাস পুকুরে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত ২

চাঁপাই’র গোমস্তাপুরে কৃষিতে সম্ভাবনা প্রযুক্তি ‘পলিনেট হাউজ’ উদ্যোক্তার স্বপ্ন

শফিকুল ইসলাম-(নিজস্ব প্রতিনিধি)
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২৮ আগস্ট, ২০২৪
  • ৪৬ বার পঠিত

চাঁপাই’র গোমস্তাপুরে কৃষিতে সম্ভাবনা প্রযুক্তি ‘পলিনেট হাউজ’ উদ্যোক্তার স্বপ্ন

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার বংপুরে দু’জন কৃষক স্বপ্ন দেখছেন পলিনেট হাউজ চাষাবাদ নিয়ে। তারা পলিনেট হাউজের উৎপাদিত ফসল ও বীজ বাণিজ্যিকভাবে ব্যবসা করবেন বলে জানিয়েছেন। তাদের ওই দুটি হাউজে টমোটো, ফুলের গাছসহ বিভিন্ন ধরণের বীজ রোপণ করা হয়েছে। এদিকে কৃষি বিভাগ জানায়, সম্ভাবনা এই প্রযুক্তি। জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব কাটিয়ে নিরাপদ সবজি ও বীজ উৎপাদন হচ্ছে এই পলিনেট হাউজের মাধ্যমে। এদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর ইউনিয়নের বংপুর এলাকার সাদিকুল ও শামিম রেজা দু’জই পেয়েছেন রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প থেকে পলিনেট হাউজ। শুরু করেছেন চাষাবাদ।
উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কৃষি বিজ্ঞানের এই উদ্ভাবন টেকসই কৃষি ব্যবস্থাপনার নতুন রূপান্তর। পলিনেট হাউজ তৈরিতে ব্যবহার করা হয় বিশেষ ধরণের পলিথিন। যা তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। ক্ষতিকর রশ্মি প্রভাব পড়েনা। পোকামাকড় আক্রমণ তেমন করতে পারেনা। গ্রিন হাউজের আদলে এটি তৈরি করা হয়েছে। দেশি কৃষি ব্যবস্থার নতুন সংযোগ। শীতকালের সবজি ফসল যেমন গ্রীষ্মকালে উৎপাদন করা যাবে তেমনি গ্রীষ্মকালের ফসল শীতকালে উৎপাদন করা যাবে। পলিনেট হাউজে রোগবালাই আক্রমণ খুবই কম। জমির মান থাকে নিয়ন্ত্রনে। সাদিকুল ইসলাম নামে উদ্যোক্তা জানান, তিনি একজন ফুলচাষী। তার ফুলবাগানে কৃষি কর্মকর্তা পরিদর্শনে যান। পরে তাকে অফিসে ডাকা হয়। তার আগ্রহের কথা শুনেন। ওই সময় তিনি পলিনেট হাউজ নেবার আগ্রহ প্রকাশ করেন। পরে এই প্রকল্পটি তিনি পান। পলিনেট হাউজটি তৈরি করে গেছেন রাজশাহী থেকে আসা ঠিকাদার। হাউজটি তৈরিতে যা যা প্রয়োজন তারা এসে করে গেছেন। ২৫ বছর ধরে চলবে এই প্রকল্পটি। তার পলিনেট বাগানে চন্দ্রমল্লিকা ফুলের গাছ ও টমোটোর গাছ লাগানো হয়েছে। খরচ বাদে টমোটো থেকে বিঘাতে এক লাখ টাকা লাভবান হবেন বলে তিনি ধারণা করছেন। উপজেলা কৃষি অফিস সব সময় পরামর্শ দিয়ে থাকে। তারা সার্বিক সহযোগীতা করে আসছে। তিনি অন্য কৃষকদের এভাবে চাষাবাদে এগিয়ে আসতে বলেন। খরচ কম উৎপাদন হবে ভাল।

কৃষক লাভবান হবেন। আরেক উদ্যোক্তা শামীম রেজা বলেন, পাশে ফুলচাষী সাদিকুল ইসলমের পলিনেট হাউজের প্রকল্পটি দেখে অনুপ্রাণিত হই। পরে উপজেলা কৃষি অফিসে যোগাযোগ করে আবেদন করি। বিভিন্নভাবে যাচাই বাছাই করে তাকে দেওয়া হয়েছে। বংপুর বেলখরিয়া মৌজার ২৫ শতক জমিতে এই প্রকল্পটি করা হয়েছে। জুন মাস থেকে শুরু হয়েছে কাজটি। চারা তৈরি ও টমোটো নিজ খরচে করছেন। তিনি বাণিজ্যিকভাবে চারা বিক্রি করবেন। টমোটো বীষমুক্ত ভাবে নিরাপদ হিসেবে উৎপাদিত হবে। সহজ পদ্ধতিতে চাষাবাদ করা হচ্ছে। নিরাপদ সবজি উৎপাদন করে তা বিক্রির করার সময় উচ্চ দরে দাম পাওয়া যাবে। এই পদ্ধতি চাষাবাদ করে ভাল স্বপ্ন ও সম্ভাবনা দেখছেন। এখান থেকে মাসিক ৫০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব বলে তিনি ধারণা করছেন। এ প্রযুক্তির মাধ্যমে তিনি সমস্যা পড়েননি। পড়লে কৃষি কর্মকর্তাদের সহযোগীতা নিবেন। বংপুর এলাকার সড়কের পাশে হওয়ায় পলিনেট হাউজ দেখতে অনেকের কৌতুহল জাগে। অনেকে দাঁড়িয়ে দেখে, কেউ ছবি তোলে। কেউ আবার বীজ কিনতে দেখা গেছে। সংশ্লিষ্ট ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোমিনুল ইসলাম বলেন, পলিনেট হাউস রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে নিরাপদ শাকসবজি উৎপাদন ও উন্নতমানের চারা তৈরি করা হয়। অতিবৃষ্টি, খরা, শীতে যেসব ফসল মাঠে চাষ করতে পারে না, ওইসব ফসল এখানে করা সম্ভব। টমোটো তাদের ভাল হয়েছে। পলিনেট হাউজে বিভিন্ন ধরনের বীজ তৈরি করে বিক্রি শুরু করেছেন। ওই এলাকার ইউপি সদস্য খলিলুর রহমান বলেন, এরকম একটি প্রকল্প আমার এলাকায় হওয়ায় এলাকার কৃষকরা উপকৃত হবে এবং অল্প দামে টমেটো খেতে পাওয়া যাবে। তারাও টমেটোসহ অন্যান্য সবজি ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করতে পারবেন। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ সরকার বলেন, গোমস্তাপুরের কৃষিতে পলিনেট হাউজ আধুনিক প্রযুক্তির নতুন সংযোজন। আশা করছি, এটির মাধ্যমে কৃষি আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
Copyright All rights reserved © 2024 Chapaidarpon.com
Theme Customized BY Sobuj Ali
error: Content is protected !!