ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পিরোজপুর জেলা আওয়ামীলীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য ইসহাক আলী খান পান্নার মরদেহ বাংলাদেশে হস্তান্তর করেছে মেঘালয় পুলিশ। সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার তামাবিল ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে তার মৃতদেহ হস্তান্তর করা হয়। শনিবার (৩১ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তার মৃতদেহটি হস্তান্তর করা হয়। এ তথ্য গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন গোয়াইনঘাট উপজেলা নিবার্হী কর্মকতা মো. তৌহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, লাশ হস্তান্তরের সময় বিজিবি, বিএসএফ প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও দুই দেশের ইমিগ্রেশন পুলিশের কর্মকর্তারাও ছিলেন। পরে ইসহাক আলী খান পান্নার ভাতিজা মো. কামরুজ্জামান খাঁন নাবিলের কাছে মৃতদেহ বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর আগে, সাবেক ছাত্রলীগ নেতার স্বজনদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ইসহাকের মরদেহ বাংলাদেশে পাঠাতে ভারত সরকারকে অনুরোধ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রাণালয়। গত বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে ইসহাক আলী খান পান্নার মৃতদেহ পাওয়ার কথা জানায় মেঘালয় পুলিশ। তাদের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৬ অগাস্ট পূর্ব জৈন্তিয়া পাহাড়ের দোনা ভোই গ্রামের একটি সুপারি বাগান থেকে পান্নার অর্ধগলিত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই এলাকাটি বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে। মৃতদেহের সঙ্গে পাওয়া পাসপোর্ট থেকে পান্নার পরিচয় শনাক্ত করা হয়। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে তার মৃত্যুর কারণ হিসেবে শ্বাসরোধের কথা বলা হয়েছে। শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্নও রয়েছে। কপালে ছুলে যাওয়া ও ক্ষতচিহ্নের কথা বলা হয়েছে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে। পরে তার মৃতদেহ ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। উল্লেখ্য, গত ২৪ আগস্ট রাতে কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালানোর সময় প্রাণ হারান ইসহাক। ২৬ আগস্ট ভারতের অভ্যন্তরে অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে উমকিয়াং থানা পুলিশ।