চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর পৌরসভার ডাইংপাড়ায় এক স্কুল ছাত্রী (১২) কে ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায় দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকার বিনিময়ে ধামাচাপা দেয়া হয়েছে। গত বুধবার মাঝরাতে এক শালিসে ৮নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর ইসমাইল হোসেন ও সাবেক কাউন্সিলর তাজাম্মুল হক, ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাদিকুল ইসলাম সাদেক, ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইউসুফ আলীসহ স্থানীয় কিছু গণ্যমান্য ব্যক্তির উপস্থিতিতে এ ঘটনায় নিষ্পত্তি করা হয়। নির্যাতিতা স্কুল ছাত্রী স্থানীয় একটি বালিকা বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেনির ছাত্রী। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রহনপুর পৌর এলাকার বিশ্বাসপাড়ার জনৈক আলাউদ্দিনের ডাইংপাড়ায় একটি পেয়ারা বাগান রয়েছে। গত মঙ্গলবার বিকেলে পেয়ারাবাগানে ঘাস কাটতে যায় স্কুল ছাত্রী। সেখানে তাকে একা পেয়ে বাগান মালিক আলাউদ্দিন ধর্ষণের চেষ্টা করে। তার চিৎকারে বাগানে কর্মরত শ্রমিকরা এগিয়ে এলে আলাউদ্দিন পালিয়ে যায়। রাতেই ওই কিশোরীকে গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে পরিবারের লোকজন। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে চিকিৎসা নেয়ার পরামর্শ দেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। কিন্তু তাকে বাড়ি নিয়ে যায় পরিবারের লোকজন। বুধবার রাতে অনুষ্ঠিত শালিসে সভাপতিত্ব করেন রহনপুর পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাদেকুল ইসলাম। শালিসে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হলেও মেয়ের পরিবারকে নগদ ২০ হাজার টাকা দেয়া হয়। বাকি টাকা ১ মাস পর দেয়া হবে বলে অভিযুক্ত আলাউদ্দিনের কাছ থেকে লিখিত মুচলেকা নেয়া হয়। এ বিষয়ে অভিযুক্ত আলাউদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে বিষয়টি মিমাংসা হয়ে গেছে বলে জানান। ৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাদিকুল ইসলাম জানান, মেয়েটির ভবিষ্যৎ চিন্তা করে আমরা বিষয়টির সুরাহা করেছি।