টোলমুক্ত করার দাবিতে মানিকগঞ্জে ধলেশ্বরী নদীর ওপর শহীদ রফিক সেতুর টোল প্লাজায় আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষুদ্ধ ছাত্র-জনতা। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে কয়েকটি মিছিল নিয়ে যাওয়া লোকজন সেতুর টোলপ্লাজায় আগুন ধরিয়ে দেয় বলে জানিয়েছেন সিংগাইর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোশাররফ হোসেন। এর আগে সিংগাইর সরকারি কলেজ, ধল্লা ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়, সাভারের তেঁতুলঝোড়া কলেজসহ স্থানীয় কয়েকটি কওমী মাদ্রাসার ছাত্র ও সায়েস্তা ইউনিয়নের বাসিন্দা ও শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে সেতুর টোল প্লাজায় গিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। এরপর সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে তারা টোল প্লাজায় অগ্নিসংযোগ করেন। মানিকগঞ্জের সিংগাইর ও ঢাকার সাভারের সংযোগস্থলে ধলেশ্বরী নদীর ওপর ৩০৭ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটি ১৯৯৬ সালে উদ্বোধনের পর ২০০০ সাল থেকে থেকে টোল সংগ্রহ করা শুরু হয়। তবে ৫ অগাস্ট সরকার পতনের পর সেতুটির ইজারাদার এলাকায় নেই বলে জানা গেছে। কিন্তু তার অনুপস্থিতিতে কারা সেতুটির টোল সংগ্রহ করছিল তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সমাবেশে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র ও ধল্লা ইউনিয়নের বাসিন্দা আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, “শহীদ রফিক সেতু দিয়ে সিংগাইর থেকে সবজিসহ কাঁচামাল ঢাকায় যায়, পরিবহনে বাড়তি খরচ করতে হয়। আমরা দীর্ঘদিন ধরে এ সেতু টোলমুক্ত করার জন্য দাবি জানিয়ে আসছি। ছাত্র-জনতার অভ্যুথানের পর কয়েকদিন টোল আদায় বন্ধ থাকলেও আবারও টোল আদায় করছে একটি মহল। ইজারাদাররা না অন্য মহল টোল আদায় করছিল তাও জানা যাচ্ছে না। সমাবেশে জামির্তা ইউনিয়নের আবু সায়েম, বাস্তা এলাকার আলতাফ হোসেন, রমজান মিয়া, জামির্তা ইউনিয়নের মিজানুর রহমানসহ অনেকে বক্তব্য রাখেন। সাভার উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) রাসেল নূর বলেন, ১১টার দিকে সেতুর দুটি টোল বক্সে আগুন দেওয়া হয়েছে। এতে টোল প্লাজার আসবাবসহ অন্যান্য জিনিসপত্র পুড়ে গেছে।
এ সময় মানিকগঞ্জ থেকে হেমায়েতপুরগামী এবং হেমায়েতপুর থেকে সিংগাইর-মানিকগঞ্জ সড়কের যান চলাচল এক ঘণ্টার মতো বন্ধ হয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী এসে যান চলাচল স্বাভাবিক করে।