অপহরন, গুম ও ক্রসফায়ারের অভিযোগে স্বামী হত্যার বিচার চেয়ে আদালতে র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক শহীদুল হকসহ ৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর আমলী আদালতে বন্ধুকযুদ্ধে নিহত বিএনপি কর্মী আবুল হোসেন বাবুর স্ত্রী জুলেখা বেগম বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন। শুনানি শেষে আদালতের বিচারক অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু তালেব আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর আদেশের দিন ধার্য করেন। এ মামলার অন্য আসামীরা হলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ র্যাব ক্যাম্পের সাবেক কর্মকর্তা মোজ্জাম্মেল হক ও র্যাবের দুই সোর্স মনিরুল ইসলাম টুলু এবং মোরসালীন। এ মামলায় অজ্ঞাত আরও ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামী করা হয়। বাদীর আইনজীবি আলহাজ্ব এ্যাড. নুুরুল ইসলাম সেন্টু জানান, ২০১৮ সালে ৫ সেপ্টেম্বর একটি মামলায় হাজিরা দিয়ে বাসায় ফেরার পথে রহনপুর বাস টার্মিনালে প্রকাশ্যে বাস থেকে নামিয়ে আবুল হোসেন বাবুকে অজ্ঞাতস্থানে তুলে নিয়ে যায় র্যাব ও পুলিশ সদস্যরা। পরদিন গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তাঁর গুলিবিদ্ধ মরদেহ পাওয়া যায়। আবুল হোসেনকে ক্রসফায়ারের নামে গুলি করে হত্যা করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। আইনজীবি আরও বলেন, এতদিন হুমকি-ধামকি ও ভয়ে মামলা দায়ের করতে পারেনি বলে আরজিতে উল্লেখ করেছেন বাদী। এদিকে, এতদিন পর স্বামী হত্যার বিচারের জন্য আইনি ব্যবস্থা নিতে পেরে শান্তি পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন বাদী জুলেখা বেগম ও তার মা হাসনারা বেগম। মামলার বাদী জুলেখা বেগম সাংবাদিকদের জানান, তাঁর স্বামী আবুল হোসেন বাবু বিএনপির কর্মী ছিলেন। এটাই তার দোষ। অন্য কোন কিছুর সাথে সে জড়িত ছিলনা। আইন বর্হিভূত এই হত্যা কান্ডের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানান তিনি। এ সময় জুলেখা বেগমের কোলে ছিল ৯ বছর বয়সী তাদের শিশু সন্তান রায়হান।