সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ছানাউল্ল্যাহ রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) এ আদেশ দেন। এদিন তাকে আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানি শেষে আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে রাজধানীর আদাবর থানার মামলায় শনিবার দিবাগত রাতে রাজধানীর ইস্কাটন এলাকা থেকে ফরহাদ হোসেনকে গ্রেফতার করে র্যাব। পরে তাকে আদাবর থানায় হস্তান্তর করা হয়। গত ২২ আগস্ট পোশাক শ্রমিক রুবেলের বাবা রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে আদাবর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলার এজাহারে বাদী অভিযোগ করেন, গত ৫ আগস্ট রুবেল আদাবরের রিংরোডে ছাত্র-জনতার প্রতিবাদী মিছিলে অংশ নেন। এ সময় আসামিদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ নির্দেশ, প্ররোচনা, সাহায্য, সহযোগিতা ও প্রত্যক্ষ মদদে মিছিলে গুলি ছুড়া হয়। এতে বুকে ও পেটে গুলিবিদ্ধ হন রুবেল। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭ আগস্ট মারা যান তিনি।
স্বৈরাচার সরকার পতনের পর সাবেক মন্ত্রী, আওয়ামীলীগ নেতাদের গ্রেপ্তারের ধারায় এবার ধরা হয়েছে সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী এবং মেহেরপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ফরহাদ হোসেনকে। শনিবার রাতে ঢাকার ইস্কাটন এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। র্যাবের প্রেসনোটে বলা হয়, হাতিরঝিল থানার নিউ ইস্কাটন এলাকার ৩৯৮ নম্বর বাড়ির একটি ফ্ল্যাট থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে ফ্ল্যাটটির মালিক কে, সে সম্পর্কে তথ্য দেয়নি র্যাব। র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনিম ফেরদৌস বলেন, ৫ অগাস্ট সরকার পতনের পর সাবেক এই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে মেহেরপুর থানায় তিনটি এবং ঢাকার আদাবর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। তাকে আমরা আদাবর থানার মামলায় হস্তান্তর করেছি। আওয়ামীলীগের উল্লেখযোগ্য গ্রেফতার হওয়া সাবেক মন্ত্রী, এমপি, উপদেষ্টা ও শীর্ষ পর্যায়ের নেতাসহ ২৫ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন। গ্রেপ্তারদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী দীপু মনি, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, জ্বালানি, খনিজসম্পদ ও বিদ্যুৎ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, সাবেক গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন, সাবেক তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।