অপহরন করে হত্যার অভিযোগে ঘটনার ৮ বছর পর নিহত এক যুবদল কর্মীর পিতা শিবগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি সহ পুলিশের ৫ জন কে ও স্থানীয় আওয়ামীলীগের ৭ নেতা কর্মীর নামে মামলাটি করা হয় শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে। অভিযোগকারী শিবগঞ্জ উপজেলার পারদিলালপুর গ্রামের নিহত বিএনপি কর্মী মিজানুর রহমানের পিতা মো: আইনাল হক। মামলার এজাহারে বলা হয়, তিনি নিজে বিএনপির সমর্থক ও ছেলে সেতাউর রহমান জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক হওয়ায় ২০১৬ সালের ১৭ আগষ্ট প্রধান আসামী স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুস সালামের সহায়তায় শিবগঞ্জ থানার ওসির নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তার ছেলে সেতাউরকে না পেয়ে যুবদলের কর্মী মিজানুর রহমানকে তুলে নিয়ে যায়। এর কিছুদিন পর বিভিন্ন গণমাধ্যমে ছেলে মিজান জঙ্গি হামলার ঘটনায় নিহত হয়েছে এমন তথ্য পাবার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে যোগাযোগ করলে তারাও একই তথ্য দেয়। অভিযোগকারীর দাবী পুলিশ তার ছেলেকে অপহরনের পর হত্যা করে। গত আওয়ামীলীগ সরকারের সময়ে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর কর্মকর্তাদের অসহযোগীতা এবং নিষ্ঠুর আচরনের কারনে বিচার না পাওয়ায় এবং সরকার পরিবর্তনের পর আশান্বিত হয়ে মামলা করায় মামলা দায়েরে বিলম্ব হয়। শিবগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) সুকোমল দেবনাথ জানান, ২০১৬ সালের ঘটনায় আইনাল হক মামলার এজাহারে দাবী করেন তার ছেলে মিজান কে তৎকালীন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও শিবগঞ্জ থানার ওসির নির্দেশে থানার এক এস.আই সহ পুলিশের একটি দল অপহরন করে হত্যা করে। এ মামলায় স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা আ: সালামকে প্রধান আসামী করে এবং তৎকালিন রাজশাহী রেঞ্জের ডি.আই.জি এম খুরশিদ হোসেন, জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহবুব আলম খান, ওসি মো: রমজান আলী, শিবগঞ্জ থানার এস.আই গাজী মোয়াজ্জেম হোসেন, অপর এস.আই মো: শাহ আলমসহ ১২ জনকে এজাহার নামীয় এবং অজ্ঞাত নামা পুলিশ ও স্থানীয় কয়েকজনকে আসামী করা হয়েছে। এদিকে, তৎকালিন শিবগঞ্জ থানার ওসি মো: রমজান আলি জানান, অপহরন করে হত্যার অভিযোগ সত্য নয়। এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার মো: রেজাউল করিম বিপিএম মামলা দায়েরের সত্যতা স্বীকার করে জানান, মামলায় পুলিশের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদ সহ কয়েকজনের নাম রয়েছে। মামলাটি সুষ্ঠ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।