নওগাঁর নিয়ামতপুরে আমন ধানের ক্ষেতে মাজরা পোকা ও পচন রোগের আক্রমণে চাষিরা অনেকটায় হতাশ হয়ে পড়েছেন। চলতি মৌসুমে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে আমন আবাদের চারা রোপণ শেষ হয়েছে। এখন আবাদের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। তবে প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে আমন আবাদে পোকার আক্রমণ বেড়েছে। এতে পোকা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন চাষিরা। নিয়ামতপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্য মতে, এবছর নিয়ামতপুরে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিলো ৩০ হাজার হেক্টর। এবার লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ৩০ হাজার ৬৯৫ হেক্টর জমিতে আমনের আবাদ করা হয়েছে। প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে অনেক কৃষককে এবার দেরিতে ধান লাগাতে হয়েছে। এছাড়া হঠাৎ করেই এবার পোকার আক্রমণ বেশি দেখা যাচ্ছে। তবে আগে থেকেই কৃষকদের মাঝে সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করাই তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি বলে জানান সংশ্লিষ্ট এ অধিদফতর।
নিয়ামতপুর উপজেলার শ্রীমন্তপুর ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের কৃষক সাদ্দাম হোসেন বলেন, এবার তিনি চার বিঘা জমিতে ধানের আবাদ করেছেন। আবাদ ভালোই ছিলো। তবে হঠাৎ করেই পোকার আক্রমণ দেখা দেয়। এরপরই স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে কীটনাশক প্রয়োগ করি। কিন্তু এখনও পুরোপুরি পোকা দমন হয়নি। উপজেলা বাহাদুরপুর ইউনিয়নের গয়েশপুর গ্রামের কৃষক বাবু ইসলাম বলেন, এবার অধিক তাপমাত্রার কারণে বীজতলা তৈরিতে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছিল। তবে বৃষ্টিপাত বেশি হওয়ায় ধান লাগাতে সুবিধা হয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করেই আমন ক্ষেতে পোকার আক্রমণ দেখতে পায় তিনি। কীটনাশক প্রয়োগ করাই এখন পর্যন্ত বড় ধরনের ক্ষতি হয়নি। তবে এখনো পুরোপুরি পোকা দমনও হয়নি। এছাড়া ক্ষেতে পচনও দেখতে পাচ্ছেন তিনি। নিয়ামতপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কামরুল হাসান বলেন, এবার অন্যান্য বছরের তুলনায় আবহাওয়া খারাপ। কখনো রোদ, কখনো বৃষ্টি আবার ভ্যাপসা গরম। বৃষ্টি ধানের আবাদের জন্য ভালো। উপজেলায় অন্যান্য বছরের চেয়ে পোকার আক্রমণ বেশি দেখা যাচ্ছে। পোকার বিষয়ে আমরা আগে থেকেই সর্তক। কৃষকদের মাঝে সচেতনতা তৈরি করছি। পোকা দমনে আলোর ফাঁদ কীটনাশক প্রয়োগে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হয়। এতে আমন আবাদের তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি।