চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিএনপি কর্মী আবুল হোসেন বাবুকে ক্রসফায়ারে গুলি করে হত্যার অভিযোগে সাবেক আইজিপি মো. শহিদুল হক ও র্যাবের সাবেক ডিজি বেনজির আহমেদসহ ২৫ জন আসামীর বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণ করেছে আদালত। পরে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়। বুধবার দুপুরে চীফ জুডিশিয়াল আদালতের গোমস্তাপুর আমলী আদালতের বিচারক আবু তালেব এই নির্দেশনা দেন। মামলার বাদি চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার বাঙ্গাবাড়ি ইউনিয়নের শিবরামপুর গ্রামের নিহত বিএনপি কর্মী আবুল হোসেন বাবুর স্ত্রী মোসা. জুলেখা বেগম। আদালতের আদেশের সময় তিনি উপস্থিত ছিলেন। বাদিপক্ষের আইনজীবী আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম সেন্টু জানান, বিএনপির কর্মী হওয়ার কারনে ২০১৮ সালের ০৫ সেপ্টেম্বর বিকেলে রহনপুর বাসস্ট্যান্ড মোড় থেকে আবুল হোসেন বাবুকে আটক করে র্যাব সদস্যরা। পরদিন সন্ধ্যায় গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে বুকে চারটি গুলিবিদ্ধ মরদেহ ফেরত দেয়া হয় পরিবারের নিকট। রাজনৈতিক কারনেই এই হত্যাকান্ড বলে জানান মামলার বাদি জুলেখা বেগম। আগামী ৮ নভেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করেছে আদালত। এর আগে গত ১২ সেপ্টেম্বর আদালতে এই মামলার আবেদন করেন জুলেখা বেগম। আগামী ৮ই নভেম্বর /২০২৪ইং তারিখ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য করে বিজ্ঞ আদালত।
উল্লেখ্য, গত ১২ সেপ্টেম্বর চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর আমলী আদালতে অপহরন, গুম ও ক্রসফায়ারের অভিযোগে স্বামী হত্যার বিচার চেয়ে আদালতে র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক শহীদুল হকসহ ৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন কথিত বন্ধুকযুদ্ধে নিহত বিএনপি কর্মী আবুল হোসেন বাবুর স্ত্রী জুলেখা বেগম। শুনানি শেষে আদালতের বিচারক অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু তালেব ১৮ সেপ্টেম্বর আদেশের দিন ধার্য করেন। এ মামলার অন্য আসামীরা হলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ র্যাব ক্যাম্পের সাবেক কর্মকর্তা মোজ্জাম্মেল হক ও র্যাবের দুই সোর্স মনিরুল ইসলাম টুলু এবং মোরসালীন। এ মামলায় অজ্ঞাত আরও ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামী করা হয়। মামলার বাদী জুলেখা বেগম সাংবাদিকদের জানান, তাঁর স্বামী আবুল হোসেন বাবু বিএনপির কর্মী ছিলেন। এটাই তার দোষ। অন্য কোন কিছুর সাথে সে জড়িত ছিলনা। আইন বর্হিভূত এই হত্যাকান্ডের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানান স্বামী হারা জুলেখা বেগম।