নাটোরে বিএনপির দুইকর্মী রাকিব মুন্সি ও রায়হান হত্যা মামলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক উপমন্ত্রী অ্যাড. এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। এ মামলায় আরও ১৪ বিএনপির নেতাকর্মীকেও খালাস দেওয়া হয়েছে। বুধবার নাটোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মাইনুল ইসলাম এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। নিহত ব্যক্তিরা হলেন-ছাত্রদলকর্মী রাকিব মুন্সি ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী রায়হান। এ মামলার আইনজীবী অ্যাড. রুহুল আমিন টগর জানান, ২০১৫ সালে ৫ জানুয়ারি বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচি গণতন্ত্র হত্যা দিবসের একটি মিছিল নাটোর শহরের তেবাড়িয়া এলাকায় থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা বের করে। এসময় ছাত্রদল কর্মী রাকিব মুন্সি ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী রায়হানকে নৃশংস ভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহত রাকিবের বড় ভাই আনজুল বাদী হয়ে দুলুসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে নাটোর সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে পুলিশ তদন্তে প্রাপ্ত আসামি বিএনপি নেতা দুলুসহ আরও ১৪ জনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেন। এরপর ওই মামলায় দুলুসহ ১৪ বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দেয়। ওই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ স্বাক্ষী প্রমাণ করতে পারেনি। বিধায় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৩য় আদালতের বিচারক অভিযুক্ত আসামি বিএনপি নেতা এ্যাড. এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুসহ ১৪ জন আসামীকে বেকসুর খালাস প্রদান করে। অ্যাড. এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, আমার নিজ দলের কর্মীদের হত্যার পর আওয়ামীলীগ তাদের মরদেহ পাটি অফিসে নিয়ে গিয়ে তাদের লোক বলে দাবি করে। পরে আমিসহ বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়। আমাকে এ মিথ্যা মামলায় জেল, ফাঁসি দেওয়ার জন্য আওয়ামীলীগ অনেক চেষ্টা করেছে, কিন্তু তারা পারেনি। অনেক বছর পর হলেও আজ আদালতে তা প্রমাণিত হয়েছে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। অন্যদিকে রাকিব ও রায়হান হত্যার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করছি।