না ফেরার দেশে চলে গেলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত অভিনেতা মাসুদ আলী খান। বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) বিকেল ৪টা ২০ মিনেটে রাজধানীর গ্রীন রোডের নিজ বাড়িতে মারা যান তিনি। অভিনেতার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেন তার পরিবারের সদস্য শারমিনা আহমেদ। বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন মাসুদ আলী খান। চিকিৎসার জন্য কয়েকবার নেওয়া হয়েছিল হাসপাতালে। পাশাপাশি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা চলছিল অভিনেতার। দেশের টেলিভিশন, চলচ্চিত্র এবং মঞ্চ নাটকের গুণী অভিনেতা ছিলেন মাসুদ আলী খান। ১৯২৯ সালের ৬ অক্টোবর মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে নানার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। কলকাতায় কিছুকাল পড়াশোনার একটি অংশ শেষ করেন। এরপর কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে এসএসসি পাস করেন তিনি। পরে জগন্নাথ কলেজ এবং স্যার সলিমুল্লাহ কলেজে পড়াশোনা করেন এই অভিনেতা। প্রাথমিক স্কুলে পড়ার সময় থেকেই অভিনয়ের প্রতি ঝোঁক ছিল মাসুদ আলী খানের। সেসময়েই সরস্বতী পূজায় ‘রানা প্রতাপ সিং’নাটকে প্রথম অভিনয় করেন। ১৯৫৬ সালে উচ্চ মাধ্যমিকে পড়ার সময় তিনি ‘ড্রামা সার্কেল’ এর সঙ্গে যুক্ত হন। সাদেক খান নির্মিত ‘নদী ও নারী’ সিনেমায় প্রথম অভিনয় করেন মাসুদ আলী খান। টেলিভিশনের বহু কালজয়ী নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য— ‘এইসব দিনরাত্রি’, ‘কোথাও কেউ নেই’, ‘গুলশান এভিনিউ’ এবং একান্নবর্তী বেশ জনপ্রিয়। ২০২৩ সালে শিল্পকলায় অবদানের জন্য মাসুদ আলী খানকে একুশে পদক প্রদান করেন বাংলাদেশ সরকার।