জয়পুরহাটে একই সময়ে শহরের নতুনহাট এলাকায় বিএনপির দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি দেয়ায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে জেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জয়পুরহাটের ভারপ্রাপ্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর এ আদেশ জারি করেন। আদেশে বলা হয়েছে, ১ নভেম্বর জয়পুরহাট শহরের নতুনহাট এলাকায় একই সময়ে বিএনপির দুই পক্ষের সমাবেশ ডাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি ও জন সাধারণের জানমালের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। এ কারণে জয়পুরহাট শহরসহ সদর উপজেলায় ১৪৪ ধারা জারির কথা আদেশে বলা হয়েছে। আদেশে আরও বলা হয়েছে, ১৪৪ ধারার আইনে ১ নভেম্বর সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত শহরসহ সদর উপজেলায় সব ধরনের সমাবেশ, মিছিল, গণজমায়েত, মাইক ব্যবহার, আগ্নেয়াস্ত্রসহ দেশীয় অস্ত্র বহন নিষিদ্ধ করা হল। এছাড়া সংশ্লিষ্ট এলাকায় পাঁচ বা তার অধিক ব্যক্তির অবস্থান কিংবা চলাফেরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সদর উপজেলার ইউএনও রাশেদুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে। জয়পুরহাট জেলা বিএনপির একটি অংশকে বাদ দিয়ে ১ নভেম্বর শুক্রবার সদর থানা ও শহর বিএনপির সম্মেলন আহ্বান করা হলে অন্য পক্ষের নেতাকর্মীরা গত কয়েকদিন থেকে বিক্ষোভ করছেন। এ ব্যাপারে উভয় পক্ষের নেতারা পরষ্পরবিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন। একটি পক্ষের নেতাদের মধ্যে জয়পুরহাট শহর বিএনপির আহ্বায়ক মতিয়র রহমানসহ তার অনুসারী নেতাকর্মীরা অভিযোগ করে বলেন, আগামী ১ নভেম্বর জয়পুরহাট সদর থানা ও শহর বিএনপির সম্মেলন আহ্বান করেছে দলটির জেলার আহ্বায়ক গোলজার ও যুগ্ম আহ্বায়ক রানার নেতৃত্বাধীন একটি অংশ। তারা বিএনপির সব নেতাকর্মীকে না জানিয়ে এ সম্মেলন ডেকেছেন। সম্মেলনটি বন্ধ করতে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির কাছে অভিযোগ করা হয় বলেও জানান তারা। শেষ মুহূর্তে বন্ধ ঘোষণা না করায় অন্য পক্ষটি পাল্টা সম্মেলনের ডাক দেয়। সম্মেলনের পক্ষের জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলজার হোসেন দলীয় বিবাদের কথা অস্বীকার করে বলেন, দুঃসময়ের নেতাকর্মীদের নিয়ে কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিএনপিতে কোনো গ্রুপিং নাই। কিন্তু বিএনপির নাম ব্যবহার করলেও ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের জুলুম-নির্যাতনের সময় যাদের পাশে পাওয়া যায়নি, তারাই অরাজকতার চেষ্টা করছে, এদের বিএনপি করার কোন অধিকার নেই।