চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার বেলগাছি ইউনিয়নের ফরিদপুর গ্রামের একটি মেহগনি বাগানে তুষার আহম্মদ সবুজকে (২২) তার মোটরসাইকেলসহ পুড়িয়ে হত্যার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই ৩ হত্যাকারীকে গ্রেফতার করে হত্যা রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আলমডাঙ্গা থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক কাজী শামসুল আলম জানান, হত্যাকারীরা হলো জেলার আলমডাঙ্গা উপজলার গোবিন্দপুর নতুন বাসস্ট্যান্ড পাড়ার সাহাদ আলীর ছেলে সাগর আলী (২২), একই উপজলার বকশিপুর গ্রামর লাল্টু মিয়ার ছেলে নাজমুল হক পাপ্পু (২৮) ও সদর উপজলার কুতুবপুর গ্রামের ইউসুফ আলী বিশ্বাসের ছেলে আলমডাঙ্গা খাদ্য গুদামের নৈশপ্রহরী জহুরুল ইসলাম (৪৬)। হত্যাকারী সাগরকে গত বৃহম্পতিবার ভোর সাড়ে ৫টায় সময় ও পাপ্পুক ওই দিনগত রাত পৌনে ১টার সময় তার নিজ বাড়ী থেকে এবং জহুরুলকে ওই দিন ভোর পৌনে ৬টায় সময় খাদ্য গুদামের সামনে থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সাগর হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় আদালতের বিজ্ঞ বিচারকের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। হত্যাকারীদের কাছ থেকে ১টি মোটরসাইকেল ও নগদ ১০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান লালন শুক্রবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, নিহত সবুজ পুরাতন মোটরসাইকেলের ব্যবসা করতো, সে কারণে তার কাছ নগদ টাকা থাকতো। ওই টাকাগুলো নিয়ে নেওয়ার জন্যই হত্যাকারীরা তাকে কৌশলে ঘটনাস্থলে ডেকে নিয়ে যায়। তাকে হত্যার ঘটনাটি অন্যখাত প্রবাহিত করার জন্য মরদেহ ও মোটরসাইকেল জ্বালিয়ে দেয়। আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদুর রহমান জানান,বাদমাজু গ্রামের পাহাড় পাড়ার তুষার আহম্মদ সবুজ নিহত হওয়ার পর গত বৃহস্পতিবার তার বাবা জয়নুল আবদীন বাদীয় হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় ৩০২/২০২১/৪৩৫/৩৪ ধারায় মামলা করেন। মামলা নম্বর ১২। এরপর হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করা হয়।
উল্লখ্য, গত মঙ্গলবার আলমডাঙ্গা উপজেলার বাদেমাজু গ্রামের পাহাড় পাড়ার তুষার আহম্মদ সবুজ সন্ধ্যার পর বাড়ী থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। পরদিন বুধবার ওই উপজলার বেলগাছি ইউনিয়নের ফরিদপুর গ্রামের একটি মেহগনি বাগানে তুষার আহম্মদ সবুজকে (২২) তার মোটরসাইকেলসহ পুড়িয়ে হত্যার দৃশ্য দেখে এলাকার লোকজন পুলিশে খবর দেয়। ওইদিনই আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে দুপুরে মরদেহ ও আলামত উদ্ধার করে।