অবিলম্বে সমস্যার সমাধান না হলে অন্তর্বর্তী সরকারকে দেশের মানুষ আর বেশিদিন সময় দেবে না, বলে সতর্ক করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে গণসংহতি আন্দোলন আয়োজিত ‘ভাসানীর পথ ধরে জাতীয় সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ হোন’ শীর্ষক কেন্দ্রীয় সমাবেশে বক্তব্য প্রদানকালে এ সতর্কবার্তা উচ্চারণ করেন তিনি। অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে জোনায়েদ সাকি বলেন, তিন মাস হয়ে গেছে, মানুষ আর বেশিদিন আপনাদের সময় দিবে না। দেশের মানুষ অবিলম্বে সমস্যার সমাধান চায়। মানুষের জানমালের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেন। দ্রব্যমূল্য কমান, অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেন। আর সমস্ত রাজনৈতিক দল, শিক্ষার্থী, শ্রেণি পেশার অংশীজনদের নিয়ে একসাথে বসে এই রাষ্ট্রের রুপান্তর সংস্কার, নতুন বন্দোবস্ত আর আগামীদিনের নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করেন। এটা বাংলাদেশের মানুষ এখন চায়। শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে তিনি বলেন, মানুষের চাওয়া অনুযায়ী আপনাদের চলতে হবে। এটা পরিষ্কার মনে রাখবেন। ফ্যাসিস্টরা বিভিন্নভাবে এখনও ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী বলেন, অভ্যুত্থান যদি সফল করতে হয়, যে অভ্যুত্থান এখন দ্বিতীয় পর্যায়ে আছে নতুন রাষ্ট্র নির্মাণ, নতুন গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা নির্মাণ তবে তার শক্তি আপনাদের সংহত করতে হবে। আমরা গণসংহতি আন্দোলন বাংলাদেশের জনগণের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য, দেশের স্বাধীনতার সার্বভৌমত্বের জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধ হই। মাওলানা ভাসানী বলেছেন, জনগণের সংগ্রাম পারমাণবিক বোমার চাইতেও শক্তিশালী। তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশে আর কোনোভাবেই ফ্যাসিবাদের পুনরুত্থান চাই না। ছাত্র, শ্রমিক, জনতার স্বপ্ন বাস্তবায়িত হতেই হবে। আমরা যদি জনগণের স্বপ্নকে সত্যে পরিণত করতে চাই, আর যদি কাউকে ফ্যাসিস্ট হিসেবে দেখতে না চাই, তাহলে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল, দলটির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য দেওয়ান আবদুর রশিদ নীলু, তাসলিমা আখতার, হাসান মারুফ রুমি, মনির উদ্দীন পাপ্পু এবং সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভুইয়া, ফাল্গুনী সরকার, জুলহাসনাইন বাবু, মুরাদ মোর্শেদ, দীপক রায়, দীপক রায়, তরিকুল সুজন ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অঞ্জন দাস, সৈকত মল্লিকসহ অন্যরা।