চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার কানসাট উইনিয়ানের ২নং ওর্য়ডের কানসাট বাজারে ২৩ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ২০০ মিটার ড্রেন নির্মানে নিম্নমানের খোয়া ও সিমেন্ট কম দিয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে ড্রেন। এতে ক্ষোভ জানিয়েছেন কানসাট এলাকাবাসী। এর মধ্যে ড্রেনের একেবারে নিচের অংশে ঢালাই করার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে ৩ নাম্বার ইটের খোয়া এবং ঢালাই এ ব্যবহার করা হচ্ছে কম সিমেন্ট। স্থানীয়রা বলছেন, পুরাতন ইট থেকে যে খোয়া করা হয়েছে, সেগুলো একেবারেই নিম্নমানের তিন নাম্বার ইটের। যেভাবে এই নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে ড্রেন নির্মাণ করা হচ্ছে, কতদিন টিকবে ড্রেনগুলো তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করছেন কানসাট এলাকাবাসী। সরেজমিন দেখা যায়, বাজারের রাস্তার পার্শ্বে রাখা হয়েছে তিন নাম্বার পুরাতন ইটের খোয়া। ঢালাই দেখে বোঝা যাচ্ছে যে সিমেন্ট পরিমানে অনেক কম দেয়া হয়েছে। এ নিয়ে কয়েকজন প্রতিবাদ করলেও কোনো লাভ হয়নি। কর্তব্যরত মিস্ত্রি বলেন, পানি নামা বন্ধ না হলে ড্রেনের কাজ ভালো হবে না।
২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা টমাস আলি জানান, নিম্নমানের খোয়া ও সিমেন্ট পরিমাণে কম দিয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে ড্রেন। কয়েকদিন পর ড্রেনটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে এর দায়ভার কে নেবে। প্রতিবাদ করলেও কোনো লাভ হয়নি। কানসাট ২ নম্বর ওয়র্ডের বাসিন্দা মিজানুর রহমান জানান, বৈষম্যহীন বাংলাদেশে এভাবে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে ড্রেন করলে কয়েকদিন যেতে না যেতেই ড্রেনটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে বাজারে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হবে। এতে করে পূর্বের মতোই সাধারণ বাসিন্দাদের দুর্ভোগের সীমা থাকবে না। উপজেলা প্রশাসনসহ সকলের কাছে আমাদের দাবি, অনেক আকাংক্ষিত এই ড্রেনে যে নিম্নমানের সামগ্রী কিছু ব্যবহার হচ্ছে, তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী কামাল হোসেন (ছোটকা) বলেন, ২০০ মিটার ড্রেন ২৩ লক্ষ টাকা বাজেটে নির্মাণ করছি। ঢালাইসহ সকল কাজ অফিসের প্রতিনিধির সামনে করা হয়। এখানে অনিয়মের কোন সুযোগ নেই, অনিয়ম হয়নি। উপজেলা এলজিডি’র উপ-সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল জলিল বলেন, আমি ট্রেনিং এর জন্য সাত দিন থেকে বাইরে আছি, আমার উদ্ধোতন কর্মকর্তায় এ বিষয়ে বলতে পারবেন। সব অভিযোগ আপনাদের কাছে করলে সমাধান হবে! আমাদেরকে স্থানীয় কোন ব্যক্তি কিছু বলেনি। এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী ছাবের আলী জানান, অনিয়ম হওয়ার কথা না, বিষয়টি সরজজিন তদন্ত করে দেখা হবে।