রাজশাহী থেকে পাবর্তীপুর রুটে উত্তরা এক্সপ্রেস ট্রেন চালুর দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। রোববার বেলা ১১টার দিকে রাজশাহীতে রেল পশ্চিমাঞ্চলের প্রধান কার্যালয়ে মহাব্যবস্থাপকের মাধ্যমে রেলপথ মন্ত্রণালয় বরাবর স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়। এর আগে ঘণ্টাব্যাপী রেল ভবনের সামনে একই দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়। অবস্থান কর্মসূচিতে রাজশাহী জেলা ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা মামুন, রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের উপদেষ্টা ও দৈনিক সোনার দেশের সম্পাদক আকবারুল হাসান মিল্লাত, রাজশাহী প্রেসক্লাবের সভাপতি শ ম সাজু, রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারন সম্পাদক জামাত খান, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) রাজশাহীর সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউল গণি সেলিম, রাজশাহী জেলা সুজনের সভাপতি মাহমুদুল আলম, রাজশাহী ওয়েব’র সভাপতি আঞ্জুমান আরা লিপি, রাজশাহী সার্ভে ইনস্টিউটের সাবেক অধ্যক্ষ মাহমুদ হোসেন, রাজশাহী ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম নবী রনি, নারী শিল্প উদ্যোক্তার চেয়ারম্যান সেলিনা বেগম, সমাজসেবক মেহেদী হাসান, বেসরকারি ট্রেন পরিচালনা সংস্থার প্রতিনিধি ইয়াছিন উর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এসময় বক্তারা বলেন, উত্তরা এক্সপ্রেস ট্রেনটি ইতিপূর্বে রাজশাহী থেকে পার্বতীপুর রুটে চলাচল করত। যার ফলে ওই এলাকার ছাত্র-ছাত্রী, বিভিন্ন শ্রেণীর ব্যবসায়ী, অসুস্থ ব্যক্তি, চাকুরীজীবী এবং সর্ব সাধারন চলাচলের সুবিধা পেয়ে আসছিল। কিন্তু ট্রেনটি অযৌক্তিক কারণে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এ সমস্ত সুবিধা ভোগকারী যাত্রীরা নাগরিক সুবিধা বঞ্চিত হচ্ছেন। যাত্রীরা যাতায়াতের ক্ষেত্রে চরম অসুবিধার মধ্যে পড়েছেন। এছাড়াও উত্তরা এক্সপ্রেস ট্রেনের ন্যায় আন্তঃনগর ট্রেন সকল স্টেশনে স্টপেজ না থাকায় সাধারণ যাত্রীরা এই ট্রেনটির উপর অনেকাংশেই নির্ভরশীল ছিলেন।
তারা আরও বলেন, সার্বিক দিক বিবেচনায় দ্রুতই এই ট্রেন চালু করে ওই অঞ্চলের নাগরিকদের সেবা প্রদান নিশ্চিত করতে হবে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যেই এই ট্রেন চালুতে উদ্যোগ নেওয়া না হলে রাজশাহীবাসী কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে। রেল খাতে অতীতের সকল অনিয়ম-দুর্নীতির তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এছাড়াও রেল সংশ্লিষ্ট সবত্রই নাগরিক ও যাত্রী সেবা নিশ্চিত এবং রেলওয়ের সকল অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা বন্ধেরও জোর দাবি জানানো হয়। স্মারকলিপি গ্রহণ করে রেল পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মামুনুল ইসলাম ট্রেন চালু করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন। এসময় রেল পশ্চিমেরর প্রধান প্রকৌশলী আসাদুল হক সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, গত বছরের ২২ ডিসেম্বর হরতাল-অবরোধে নাশকতা এড়ানোর জন্য পার্বতীপুর-রাজশাহী-পার্বতীপুর রুটে চলাচল করা উত্তরা এক্সপ্রেস ও ঈশ্বরদী রহনপুরগামী আরেকটি লোকাল ট্রেন বন্ধ করা হয়। রেল পশ্চিমাঞ্চলের তৎকালীন জিএম অসীম কুমার তালুকদার জানিয়েছিলেন, আমরা ট্রেন দুটিতে নিরাপত্তা দিতে পারছি না। নিরাপত্তার কারণে ট্রেন দুটি বন্ধ রাখা হয়েছে। নিরাপদ ট্রেন করতে যা যা করার দরকার আমরা মিটিং করে সেটি করছি। ট্রেনের ইঞ্জিন ও জনবল আন্তঃনগর ট্রেনে ব্যবহার করা হবে। ফলে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।