এই হেমন্তের কোন এক দিনে লিখেছিলাম-শীতের পিঠা শিরোনামে ছড়া-কবিতাটি- ১৫ নভেম্বর সারাদেশে পালিত হয়েছে ‘জাতীয় কৃষি দিবস’। দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশের বেশ কিছু কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও কৃষির বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলোতে বর্ণাঢ্য র্যালি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভার মাধ্যমে পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে রাজধানীর অন্যতম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ‘সিটি ইউনিভার্সিটির কৃষি অনুষদ’ বর্ণাঢ্য আয়োজনে প্রতি বছর পালন করে আসছে জাতীয় কৃষি দিবস। এবারও জমকালো আয়োজনের মাধ্যমে পালন করা হয় দিবসটি। বের হয় র্যালি। ‘কৃষিই কৃষ্টি, কৃষিই সমৃদ্ধি, ‘কৃষক বাঁচাও, দেশ বাঁচাও’ স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয় সিটি ক্যাম্পাস। এসময় উপস্থিত ছিলেন সিটি ইউনিভার্সিটির প্রো ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাজী শাহাদাত কবীর, রেজিস্ট্রার মীর আক্তার হোসেন, কৃষি অনুষদের হেড কাজী মুসতাক মাহমুদসহ কৃষি অনুষদের সকল ফ্যাকাল্টি মেম্বার, আমন্ত্রিত অতিথি এবং সকল শিক্ষার্থীবৃন্দ। র্যালি শেষ আলোচনা সভা হয়। এছাড়াও অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকা মন্ডলী, শিক্ষার্থীবৃন্দ, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
হেমন্তে কিংবদন্তী কবি জীবনানন্দ দাশ বলেছেন-‘আবার আসিব ফিরে ধানসিঁড়িটির তীরে-এই বাংলায়, এই কার্তিকের নবান্নের দেশে।’ বাংলাদেশ ধানের দেশ-গানের দেশ। শীতের আগমনী বার্তা নিয়ে হেমন্তের দ্বিতীয় মাসের আগমণ। মাঠে মাঠে দুলছে সোনালী ফসল। কৃষকের পার করছে কর্মব্যাস্থ সময়। সোনালী ফসলের মতো কৃষকের মুখেও পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ হাসি। নতুন ধানের চাল থেকেই তৈরি হবে নবান্নের পিঠা। জমকালো আয়োজনে হবে নবান্ন উৎসব। কৃষকের হাসির উপর এই বাংলায় এখনও নির্ভর করে অর্থনীতি। কৃষক হাসলেই হাসে দেশ, আমাদের এই বাংলাদেশ। কৃষক ও কৃষিকে এগিয়ে নিতেই ২০০৮ সালের ১৫ নভেম্বর (১ অগ্রহায়ণ) বাংলাদেশে জাতীয়ভাবে পালন করা শুরু হয় জাতীয় কৃষি দিবস। দিবসটির প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল “কৃষিই কৃষ্টি, কৃষিই সমৃদ্ধি। ২০০৮ সালে বিশ্ব জুড়ে খাদ্যসংকট শুরু হয়। বাংলাদেশেও এসময় দু’দফা বন্যা এবং সিডরের মতো বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে কৃষিতে অনেক বড় আকারের ক্ষতি হয়। এসময় কৃষিকে উজ্জীবিত করতে জাতীয়ভাবে কৃষি দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।