এক্সিম ব্যাংক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা আয়োজনে জাতীয় কৃষি দিবস উদ্যাপন হয়েছে। কার্তিক-অগ্রহায়ণ মাস হেমন্তকাল। শীতের আগাম বার্তা নিয়ে হেমন্তের আগমন। কৃষকের মুখে নতুন ধানের হাসি। বাংলার মাঠে মাঠে সোনালী রঙের ছড়াছড়ি। বাতাসে নতুন ধানের সুবাস। ধান ঘরে তুলতে কৃষক কৃষাণীদের কর্মব্যস্ততা। বাংলার এই কৃষক ও কৃষিকে এগিয়ে নিতেই প্রতিবছর ১লা অগ্রহায়ণ জাতীয়ভাবে পালন করে আসছে জাতীয় কৃষি দিবস। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের একমাত্র গবেষণাধর্মী বেসরকারি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এক্সিম ব্যাংক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ বর্ণাঢ্য র্যালি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভাসহ নানা আয়োজনের মাধ্যমে পালন করেছে ‘জাতীয় কৃষি দিবস ও নবান্ন উৎসব’। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মোঃ সাহেব আলী প্রামাণিক। বিশেষ অতিথি ছিলেন মোঃ ইউসুফ হোসাইন খান, সহযোগী অধ্যাপক, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ এবং অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয় কৃষি অনুষদের কো-অর্ডিনেটর কৃষিবিদ মেহেদী হাসান সোহেল। এছাড়াও অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকা মন্ডলী, শিক্ষার্থীবৃন্দ, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। প্রধান অতিথি বলেন, বাংলাদেশ ধানের দেশ-গানের দেশ-পাখির দেশ। দেশের অর্থনীতি অনেকাংশে নির্ভর করে কৃষি এবং কৃষকের উপর। কিন্তু আমাদের দেশের কৃষকরা আজ নানা সমস্যায় জর্জরিত। তাদেরকে আধুনিকায়ন করা, গ্রামে গ্রামে কৃষি সমবায় সমিতি গড়ে তোলা এবং কৃষি বীমা চালু করা এখন সময়ের দাবী। অনুষ্ঠানের সভাপতি কৃষককে জাতীর মেরুদণ্ড এবং সব সাধকের বড় সাধক বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, জাতীয় কৃষি দিবস বাঙলি জাতীয় জীবনে অনাবিল আনন্দ, সুখ-শান্তি সমৃদ্ধি বয়ে আনুক এবং “কৃষিই কৃষ্টি, কৃষিই সমৃদ্ধি” শ্লোগান সফল হোক বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।