চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলায় মামা-ভাগ্নের পারিবারিক বিরোধের জেরে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এসময় ককটেল, হাতবোমা বিস্ফোরণ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ ছয়জনকে আটক করেছে। রোববার দুপুর ২টার দিকে নাচোল গুঠইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে নাচোল থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম জানান। স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, নাচোল পৌর এলাকার গুঠোইল মহল্লার জসিমের সঙ্গে তার চাচাত মামা ঘাসুড়া গ্রামের রজব আলীর পারিবারিক বিরোধ চলে আসছে দীর্ঘদিন থেকে। এরই জেরে রজব আলীর মেয়ে জামাই চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার রাণিহাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রহমত আলী ফোনে লোকজন ডেকে আনতে বললে সিফাতের নেতৃত্বে ২টি মাইক্রোবাসে ও অসংখ্য মোটরসাইকেলে ৫০/৬০জন এর অধিক লোক নিয়ে আসে। তারা জসিমের বাড়িতে সিনেমার স্টাইলে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, হামলা, লুটপাট ও ভাঙচুর চালায়। এসময় স্থানীয় লোকজন একজোট হয়ে তাদের তাড়া করে।
পালাবার সময় গ্রামে ও স্টেশন এলাকায় বেশ কয়েকটি হাতবোমা ও ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। এসময় আহত হয় কমপক্ষে ৫ জন। পরে মহল্লার লোকজন ছয়জনকে ধরে মারধর করে পুলিশের কাছে দেয়। এদের মধ্যে একজনকে গুরুতর অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতা হামলাকারীদের ফেলে যাওয়া সাতটি মোটরসাইকেলে আগুন দেয়। বাদি জসিমের ছোট ভাই বউ রিপা জানান, ঘটনার সময় তিনি ও তার যা বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন। সন্ত্রাসীরা বাড়িতে ঢুকেই অকথ্য ভাষায় গালাগালাজ করে বাড়ি-ঘর ভাঙচুর, বিভিন্ন সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি, গলা থেকে মালা ছিনিয়ে নেওয়াসহ আনুমানিক ১৫ভরি স্বর্ণালংকার লুটপাট করে। বোমা হামলায় আহত সাদিকুল ইসলাম জানান,
সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যাওয়ার সময় তার দিকে লক্ষ্য করে বোমা ছুড়লে তার পিঠে অসংখ্য স্পিøল্টার লাগে ও পা যখম হয়। আহত প্রতিবেশী পপি জানান, তিনি বাড়ি থেকে দুটো সন্তানকে ঘরে ঢোকাতে বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন, সন্ত্রাসীরা তার দিকে পাথর ছুড়ে মারলে তার মাথায় বড় আঘাত লাগে এবং বেশ কয়েকটি সেলাই পড়ে। এলাকাবাসী জানান, এদেরকে থামাতে গিয়েই বেশিরভাগ মানুষ বোমার আঘাতে আহত হন। নাচোল থানার ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় জসিমের পক্ষে মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এলাকায় পুলিশ টহল জোরদার করা হয়েছে।