অগ্রহায়ণের শুরুর দিকেই দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ তৈরি হতে পারে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেছা বুধবার সকালে সাংবাদিকদের জানান, চলতি মাসের ২৫ তারিখের দিকে লঘুচাপটি সৃষ্টি হতে পারে। তবে এতে বিপদের সম্ভাবনা নেই। লঘুচাপের প্রভাবে ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই, সামান্য বৃষ্টিপাত হতে পারে। যেহেতু একেবারেই দক্ষিণে লঘুচাপটি তৈরি হতে পারে, এটি শ্রীলঙ্কার দিকে চলে যেতে পারে। তেমন প্রভাব পড়বে না। নভেম্বরে যে এক বা একাধিক লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে তা আগেই জানিয়েছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর। এর মধ্যে একটি নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পার বলেও জানানো হয়েছিল। দেশের উত্তরাঞ্চলসহ বেশ কিছু জেলায় এরইমধ্যে শীতের আমেজ শুরু হলেও ঢাকায় শীতের দেখা মিলতে ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে বলে জানিয়েছেন কাজী জেবুন্নেছা। তিনি বলেন, ঢাকায় শীত নামতে পারে ডিসেম্বরের শুরুর দিকে। যদিও উত্তরাঞ্চলে এরই মধ্যে শীতশীত শুরু করেছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের হিসেব অনুযায়ী ডিসেম্বর, জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি এই তিন মাসেই সাধারণত শীতকাল। আবহাওয়ার নিয়মিত বুলেটিনে বলা হয়েছে, মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। বুধবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। তবে চট্টগ্রাম বিভাগের দুয়েক জায়গায় হালকা বা গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এই ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে। আর শেষ রাত থেকে ভোর পর্যন্ত সারাদেশের কোথাও-কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা থাকতে পারে। গেল ২৪ ঘণ্টায় তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা নথিবদ্ধ করেছে আবহাওয়া অফিস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল সীতাকুণ্ডে, ৩২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।