গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সংশোধন অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। এই অধ্যাদেশ জারি হলে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত রাজনৈতিক দলের বিচারে সুপারিশ করতে পারবে ট্রাইবুনাল। বুধবার (২০ নভেম্বর) সচিবালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অধ্যাদেশের এই খসড়াটি অনুমোদন দেওয়া হয়। খসড়ায় বলা হয়েছে, অপরাধ সংঘটনের দায়ে রাজনৈতিক দলকে সরাসরি শাস্তি প্রদানের ক্ষমতা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে দেওয়া হচ্ছে না। তবে ট্রাইব্যুনাল চাইলে প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ করতে পারবেন। এর আগে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর প্রথমবারের মতো সচিবালয়ে আয়োজিত বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুসসহ প্রায় সব উপদেষ্টা অংশ নেন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা এবং প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের নিয়মিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হলেও এই প্রথম প্রশাসনের কেন্দ্রস্থল বাংলাদেশ সচিবালয়ে উপদেষ্টা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টা সচিবালয়ে অফিস করছেন। ফলে সচিবালয়সহ আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। উল্লেখ্য, বিগত সরকারের সময়ে প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠক সচিবালয়ের এক নম্বর ভবনের চতুর্থ তলার মন্ত্রিসভা কক্ষে সভা অনুষ্ঠিত হতো। ২০১৭ সালে সচিবালয়ের এক নম্বর ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এরপর, ২০ তলা বিশিষ্ট ছয় নম্বর ভবনের ১৩ তলায় মন্ত্রিসভা বৈঠকের জন্য নতুন কক্ষ প্রস্তুত করা হয়। ২০১৯ সালে বনানী এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের পর ৬ নম্বর ভবনের অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রশ্ন তোলেন। এরপর থেকেই মন্ত্রিসভার বৈঠক সাধারণত প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হতো। প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর ড. মুহাম্মদ ইউনুস যমুনা অতিথি ভবন এবং প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক করে আসছিলেন। প্রথমবারের মতো এই বৈঠক সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত হলো।