রাজধানীর মহাখালী, রামপুরাসহ বিভিন্ন এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করা ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের সরিয়ে দিয়েছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। ফলে রামপুরা-মালিবাগ ও রামপুরা-বাড্ডা সড়কের দুই পাশ দিয়েই যানচলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার পর সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছালে রিকশাচালকরা সড়ক ছেড়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, আওয়ামীলীগপন্থী কিছু রিকশা গ্যারেজের মালিক অসহায় চালকদের রাস্তায় নামিয়ে ফায়দা হাসিলের অপচেষ্টা করছেন। সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে ঢাকা মহানগরের মধ্যে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত সঠিক বলেও মনে করেন তারা। এর আগে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা মহানগরী এলাকায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল নিষিদ্ধের প্রতিবাদে রামপুরা বাজার এলাকায় রামপুরা-মালিবাগ এবং রামপুরা-বাড্ডা সড়ক অবরোধ করেন ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকরা। এতে কুড়িল থেকে প্রগতি সরণিজুড়ে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। ভোগান্তিতে পড়েন কর্মজীবী, ছাত্র-ছাত্রীসহ যাতায়াত করা মানুষ। গত মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর এলাকায় তিন দিনের মধ্যে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। এ সংক্রান্ত বিষয়ে দায়ের করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। এই আদেশের পর গতকাল বুধবার রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর দয়াগঞ্জ, মিরপুর, কল্যাণপুরসহ বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধ করেন ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকরা। দ্বিতীয় দিনের মতো আজ বৃহস্পতিবারও সকাল সাড়ে ৯টা থেকে রাজধানীর মহাখালী, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, গাবতলী, রামপুরা ও ডেমরা এলাকায় রিকশাচালকরা জড়ো হন। এতে এসব এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। ভোগান্তিতে পড়েন মানুষ। এসব এলাকায় সড়ক অবরোধের পাশাপাশি একপর্যায়ে মহাখালী রেলক্রসিংসহ রেললাইনে অবস্থান নেন ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকরা। এই অবস্থানের কারণে মহাখালী ও আশপাশ এলাকায় সম্পূর্ণ যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। রেলপথ অবরোধ করে আন্দোলন করায় যাত্রী নিরাপত্তার স্বার্থে ঢাকা থেকে সারাদেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।