পঞ্চগড়ে শীত ও ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে পথঘাট ও প্রকৃতি। দিনে তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে থাকলেও মধ্যরাত থেকে সকালপর্যন্ত ঠান্ডা অনুভূত হতে থাকে। সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকাল ৯টায় ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। সামনের দিকে ঠান্ডার তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গত এক সপ্তাহ ধরে ১৩ ডিগ্রি থেকে ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করছে তাপমাত্রা। শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে যাতায়াত করছে। উপজেলা সদরের মমিনপাড়া এলাকার বাসিন্দারা জানান, গত ৫ থেকে ৬ দিন ধরে শীত ও ঠান্ডা অনেক বাড়ছে। রাতে বৃষ্টির মতো পড়তে থাকে কুয়াশা। ঠান্ডা ও শীতের কারণে কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে। তারপরও সকালে কাজের জন্য বের হয়েছি। কাজ না করলে তো আর সংসার চলবে না। এদিকে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালসহ উপজেলা হাসপাতালে প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। কুয়াশা ও শীতের কারণে দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষগুলোও বিপাকে পড়েছেন। তারা সময়মতো কাজে যেতে পারছেন না। পঞ্চগড় তেঁতুলিয়ার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক জিতেন্দ্র নাথ রায় জানান, হিমালয়ের কাছাকাছি হওয়ায় উত্তর দিক থেকে বয়ে আসা হিমশীতল ঠান্ডা বাতাস কারণে তাপমাত্রা অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে কম হয়ে থাকে।