চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের শ্রমিক সদস্যদের উপর হামলা এবং শারীরিক নির্যাতনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের শ্রমিকরা। রবিবার সন্ধ্যায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের প্রধান কার্যালয়ের শ্রমিক ভবনে এই সংবাদ সম্মেলন হয়। সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা জানান, মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সভাকে কেন্দ্র করে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুল বারী ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুর রউফ জুলমত গুটিকয়েক শ্রমিক নিয়ে সাধারণ সভার আয়োজন করে। শ্রমিক ইউনিয়নের বেশ কয়েকজন সদস্যসহ অন্যান্য সদস্যরা সেখানে গেলে আয়োজক শ্রমিক নেতৃবৃন্দ ও তাদের অনুসারী শ্রমিকরা তাদের উপর হামলা করে। সংবাদ সম্মেলনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের অন্যতম সদস্য মোজাম্মেল হক বীর বলেন, ২৩ নভেম্বর জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সভার খবর জানতে পেরে আমিসহ মোশাররফ হোসেন মূসা সেখানে যায়। সেখানে সাধারণ সম্পাদক সভার বিষয়ে জানার চেষ্টা করলেই কয়েকজন শ্রমিক মূসার উপর হামলা করতে তেড়ে আসে। পরে আরোও যে শ্রমিকরা সভায় যোগ দেওয়ার জন্য আসছিল তাদের উপর সবাই মিলে হামলা চালায়।
আরেকজন সদস্য ফজলে রাব্বী বলেন, সভায় আসল শ্রমিকদের ডাকা হয়নি, কিন্তু মটর শ্রমিক নয় এমন লোকদেরও সেখানে ডাকা হয়। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে থাকতে চাই, তাই আমরা সভায় যোগদানের জন্য সেখানে যায়। মটর শ্রমিক সংগঠনের সভায় যোগ দিতে গিয়ে যদি মটরশ্রমিকদেরই মারা হয়। তাহলে তারা কাদেরকে নিয়ে সংগঠন! সংবাদ সম্মেলনে শনিবার হামলায় আহত শ্রমিক সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে জেলা ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ সাইদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক আনারুল ইসলাম আনারসহ কয়েকজন নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। জেলা ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ও সম্পাদক বলেন, আমরা ট্রাক ও মোটর এর প্রকৃত শ্রমিকদের নিয়ে একসাথে থাকতে চায়। সমস্যা হলে সমাধানও আছে। সরকারের নিয়ম মানতে গিয়ে সংগঠন আলাদাভাবে রেজিষ্ট্রেশন করা হলেও একই অফিসে সকলে মিলেমিশে ছিলাম। এখনও একই অফিসে ২টি সংগঠনের সাইনবোর্ড আছে, মোটর শ্রমিকদের কয়েকজন নেতা এখনও এখানে অফিস করছে। শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচনে পরাজিত হয়ে সংগঠনে ভাঙ্গন সৃষ্টি করে নিজেরা সুবিধাভোগের চেষ্টা করছে। কিন্তু কিছু মোটর শ্রমিক তাদের কথায় সায় দিলেও অধিকাংশ মোটর শ্রমিক এখনো আমাদের সাথেই একসাথে রয়েছে এবং পূর্বের শ্রমিক সংগঠনের কোড ব্যবহার করছে। নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, আমরা শান্তি শৃঙ্খলার সাথে সকলকে নিয়ে সংগঠন চালাতে চায়। এবিষয়ে জেলা মটর শ্রমিক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রউফ জুলমত জানান, এখানে যাদের সদস্য করা হয়েছে, তাদের শ্রম অধিদপ্তরের নিয়ম মেনেই সদস্য করা হয়েছে। যারা সংবাদ সম্মেলন করেছে, সাধারণ সভায় তাদের কেউ মারধর করেনি। উত্তেজনা সৃষ্টির জন্যই এসব কথা প্রচার করা হচ্ছে।