ভোক্তা অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক এবং নিবন্ধন পরিদপ্তরের জোগসাজশে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে বাংলাদেশ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ ফাউন্ডেশন নামে একটি প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন বাতিল করেছেন। এবিষয়ে গত ১৮/১১/২০২৪ইং তারিখে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রেতা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান লায়ন মো. নূর ইসলাম। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ ক্রেতা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ ফাউন্ডেশন ২০০০ সাল থেকে অত্যন্ত সুনামের সহিত ভোক্তার অধিকার নিয়ে সমগ্র দেশে কাজ করে আসছে। প্রতিষ্ঠানটি ২০০৬ সালে রেজিস্ট্রেশন করে-যার গভ: রেজি নং এস-৬১০৮(৩৫২)/০৬। অভিযোগে ভুক্তভোগী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান জানান, ভোক্তা অধিকার আইনের খসড়া তার নিজের হাতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দাখিল করেন। তিনি আরো জানান, আজকের আইনের ৭৫% খসড়া তার নিজের হাতে লেখা এবং ভোক্তা অধিকার আইন মোতাবেক সরকার কর্তৃক স্বীকৃত ভোক্তা সংস্থা অভিযোগ করবে। অভিযোগের উপর অর্জিত জরিমানার ২৫% অর্থ তার সংগঠনের কর্মীরা পাবেন, এতে করে বেকার সমস্যা সমাধান হবে, আইনের সুফলও জনগণ পাবে। তিনি তার অভিযোগ লিপিতে জানান, তার প্রতিনিধিদের কোন কাজে ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কখনো তাদেরকে ডাকে নাই এবং তাদের কোন অভিযোগও গ্রহণ করে নাই। এসব বিষয় নিয়ে এবং ভোক্তা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের অনিয়ম সম্বন্ধে প্রতিবাদ করায় বিভিন্ন সময় তাকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হয় বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। অথচ সব ষড়যন্ত্র মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়। বাংলাদেশ ক্রেতা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ ফাউন্ডেশন এর ভোক্তা অধিদপ্তরের চেয়ারম্যান লায়ন মো. নূর ইসলাম জানান, ভোক্তা অধিদপ্তরের অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক আইন এবং নিয়মের তোয়াক্কা না করে নিবন্ধন পরিদপ্তরে তার ফাউন্ডেশনের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করেছেন। নিবন্ধন পরিদপ্তর ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযোগের সত্যতা যাচাই না করে ভুয়া অভিযোগের ভিত্তিতে ভুয়া ঠিকানায় নোটিশ করে একতরফা রায় দিয়ে জয়েন্ট স্টক থেকে তার প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল করে দেয়। তিনি অভিযোগে জানান, যেখানে জয়েন্ট স্টকে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালকগণের নাম, ঠিকানা, মোবাইল নাম্বার থাকার পরও সে ঠিকানা বা নাম্বার ব্যবহার না করে, ভুয়া ঠিকানায় নোটিশ করে জয়েন্ট স্টক লাইসেন্স বাতিল করেন। তিনি আরো দাবি করেন, জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তরে তিনি অভিযোগের সকল সাক্ষ্য প্রমাণ দেওয়ার অভিযোগ সঠিক নয়, প্রমাণ হওয়ার পরও কেন সেই অভিযোগ জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক জয়েন্ট স্টকের রেজিস্টার বরাবর প্রেরণ করলেন এর একটিই কারণ, তিনি সাবেক মহাপরিচালক এর বিরুদ্ধে মানববন্ধন করে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দাখিল করেন ও বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় তা প্রকাশ হয়। তিনি জানান, এই ক্ষোভে সাবেক মহাপরিচালক ক্ষমতার অপব্যবহার করে জয়েন্ট স্টকে অভিযোগ দায়ের করেন ও জয়েন্ট স্টক ভুয়া নাম ঠিকানায় নোটিশ প্রেরণ করে একতরফা রায় দিয়ে লাইসেন্স বাতিল করেন। যার বিষয়ে তিনি কোন ধরনের অবগত ছিলেন না, যাহা পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠানটির লাইসেন্স রিনিউ করার সময় আইন উপদেষ্টার মাধ্যমে জানতে পারেন। তিনি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের নিকট তার সংযুক্তকৃত সমস্ত কাগজপত্র বিবেচনা করে ভোক্তা অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ও জয়েন্ট স্টকের রেজিস্টারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবিও জানান।