ভারতীয় চক্রান্তের অংশ হিসেবেই শেখ হাসিনা সরকার সেনাবাহিনীর ৫৭ জন কর্মকর্তাকে হত্যা করে তা বিডিআর বিদ্রোহের নামে মিথ্যা বানোয়াট বিচারের নামে প্রহসন করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন সাবেক বিডিআর সদস্যরা। বুধবার বেলা ১১টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এক মানববন্ধনে এই অভিযোগ করেন সাবেক বিডিআর সদস্য ও তাদের পরিবারের সদস্যরা। বিডিআর কল্যাণ পরিষদ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখা ও ক্ষতিগ্রস্ত বিডিআর পরিবারবর্গের আয়োজনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন শেষে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে সাবেক নায়েক আর এম মোঃ আক্তারুজ্জামানের স্বাক্ষরিত একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, রাজধানীর পিলখানায় বিডিআর (বর্তমান বিজিবি) বিদ্রোহে যেসব সদস্য চাকরিচ্যুত হয়েছিলেন, তাঁদের চাকরিতে পুনর্বহাল করতে হবে। বক্তারা আরো বলেন, ২০০৯ সালের তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলস (বর্তমান বিজিবি) হেডকোয়ার্টার পিলখানায়-বিডিআর বিদ্রোহের নাম দিয়ে নীরব হত্যাকাণ্ড হয়েছিল।
এই হত্যাকাণ্ডে সরাসরি তৎকালীন ক্ষমতায় থাকা বাংলাদেশ সরকারের সরকার প্রধান ও কিছু এমপি ও মন্ত্রীর ইন্ধন রয়েছে। কিন্তু হত্যাকাণ্ডের দায় এড়াতে পিলখানাসহ সারা বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থাপনার প্রায় ১৮ হাজার ৫১৯ জনের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে বিডিআর বিদ্রোহ নামে চালিয়ে দেওয়া হয়। তারা চাকরিচ্যুতসহ জেল-জলুম অত্যাচারের শিকার হন এবং এখনো অনেকে কারাগারে আছেন। দেশকে ভারতের আজ্ঞাবহ করতেই হাসিনা সরকার পরিকল্পিতভাবে এই হত্যাকান্ড চালায়। এরপর তা বিডিআর বিদ্রোহ নাম দিয়ে শুরু করে প্রহসনের বিচার। যাতে নিরীহ নিরপরাধ ১৮ হাজার ৫০০ বিডিআর সদস্যকে বেআইনীভাবে চাকুরিচ্যুত করার পাশাপাশি বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়। সকল নিরপরাধ বিডিআর সদস্যদের কারামুক্তি ও চাকুরিতে পুর্নবহালের দাবি জানান সাবেক বিডিআর সদস্য ও তাদের পরিবারের সদস্যরা। মানবন্ধনে সভাপতিত্ব এবং বক্তব্য রাখেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কমিটির বিডিআর পরিষদের সভাপতি সাবেক নায়েক আর এম মোঃ আক্তারুজ্জামান। এসময় আরো উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন সাবেক হাবিলদার মোঃ শফিকুল ইসলাম, মেডিকেল অ্যাসিস্টেন্ট মোঃ আব্দুল মতিন, সিগন্যাল ম্যন মোঃ রুবেল রানা, সিপাহী মোঃ সোহেল রানা, কারাবন্দী সিপাহী মোঃ রাজিবুলের মাতা-রাহেলা বেগম ও বোন -মোঃ শেফালী খাতুনসহ অন্যরা।