বগুড়ায় নিখোঁজ হওয়ার ৯ ঘণ্টা পর প্রতিবেশীর বাড়ি থেকে এক শিশুর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে শহরের চারমাথা ধমকপাড়া এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত পাঁচ বছর বয়সী মাহাদী হাসান ওই এলাকার শফিকুল ইসলামের ছেলে। স্থানীয় হোটেল ব্যবসায়ী শফিকুলের দুই ছেলে ও এক মেয়ে। তার মধ্যে মেয়েটি শারীরিক প্রতিবন্ধী আর মাহাদী ছিল সবার ছোট। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক নারীকে আটকের পর মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে স্থানীয়রা। আটক তাহমিনা খাতুন শিবগঞ্জের জানগ্রাম এলাকার গ্রিল মিস্ত্রি আনিস মণ্ডলের স্ত্রী। তারা ধমকপাড়ায় রতনের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। তাহমিনা শিশুটির দুরসম্পর্কের মামী ও গৃহিণী। বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মঈন উদ্দীন জানান, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার পর থেকে নিখোঁজ ছিল মাহাদী ইসলাম। শুক্রবার সকালে ভাড়াটিয়ার বাড়িতে বস্তা দেখতে পেয়ে রতনের সন্দেহ হয়। তিনি ঘটনাটি এলাকাবাসীকে জানালে তারা বস্তায় শিশুটির মরদেহ দেখতে পায়। তখন তারা নারীকে আটক করে মারধর করে এবং পুলিশে খবর দেয়। পরিদর্শক মঈন উদ্দীন আরও বলেন, মরদেহ উদ্ধারের পাশাপাশি ওই ঘরে তল্লাশি চালিয়ে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। সেখানে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবির ব্যাপারে লেখা আছে। আমাদের ধারণা, মুক্তিপণের জন্য শিশু মাহাদীকে অপহরণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। কিন্তু চিঠিটি শিশু মাহাদীর পরিবারে কাছে পৌঁছাতে পারেনি। তিনি বলেন, ওই নারীকে আটকের পর প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এব্যাপারে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।