পঞ্চগড়ের আটোয়ারী আলোয়াখোয়া রাশ মেলায় অবৈধ লটারির নামে চলছে জুয়া ও যাদু দেখানোর বদলে অশ্লীল নৃত্য। এতে সর্বশান্ত করা হচ্ছে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী সাধারন মানুষ ও ব্যবসায়ীদের। জুয়ায় আসক্ত হয়ে পড়ছে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। তবে মেলার সভাপতি জেলা প্রশাসক মো.সাবেত আলী অবৈধ কোন কিছু চললে বন্ধ করে দেওয়ার আশ্বাস দেন। জানা যায়, গত ১৫ নভেম্বর মেলা শুরুর পর থেকে যাদু দেখানোর পাশাপাশি অশ্লীল নৃত্য পরিবেশন করছে। এদিকে, মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) থেকে চালু করা হয়েছে দৈনিক সততা র্যাফেল ড্র ২০ টাকা মূল্যে লটারি। শুধু মেলায় নয় উপজেলা ও জেলা শহরের আশেপাশে অর্ধশত ইজিবাইকে আকর্ষণীয় পুরস্কারের ঘোষণা দিয়ে মাইকিং করে টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতিদিন রাত সাড়ে ১০ টায় লটারির ড্র অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিদিন বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল, মোবাইল, রেফ্রিজারেটর, গরুসহ লোভনীয় পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। ফলে আকর্ষণীয় পুরস্কারের লোভে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার হাজার হাজার মানুষ হুমড়ি খেয়ে লটারির টিকিট ক্রয় করছেন। সাধারণ মানুষ ও কমলমতি শিশুদের জুয়ায় আসক্ত হতে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে এসব লোভনীয় পুরস্কার ঘোষনা করে। এলাকার জহিরুল ইসলাম বলেন, পরিবার নিয়ে মেলায় যাদু খেলা দেখতে প্রবেশ করে। কিছুক্ষণ যাদু দেখানোর পরে অশ্লীল নৃত্য পরিবেশন করছিল। বাধ্য হয়ে বের হয়ে আসতে হয়েছে। হুমায়ুন, আবু সাঈদ জানান, মেলা দেখতে এসে মোটরসাইকেল পুরস্কারের আশায় লটারির ১০ টি টিকিট কিনে কিছুই পাইনি। হাসান আলী বলেন, অভাব অনটনে দিন যায়। এ সংকট সময়ে আরো মেলা। নেশাখোর, জুয়ারুলাদের টাকা না থাকলে চুরি করা শুরু করবে। আলোয়াখোয়া রাশ মেলা কমিটির সাধারন সম্পাদক নজরুল ইসলাম দুলাল বলেন, অশ্লীল নৃত্য কোথাও পরিবেশন হলে বন্ধ করে দেওয়া হবে। টিকিটের বিষয়ে জানতে চাইলে, বিষয়টি এড়িয়ে যান।