1. tohidulstar@gmail.com : sobuj ali : sobuj ali
  2. ronju@chapaidarpon.com : Md Ronju : Md Ronju
প্রকল্প বাস্তবায়ন নেই-আরও নানা অনিয়মের হোতা ৪০ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ ॥ গোবরাতলা ইউপি চেয়ারম্যান টিপুর বিরুদ্ধে প্রশাসনে অভিযোগ - দৈনিক চাঁপাই দর্পণ
শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ০৭:০৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
নির্বাচন করতে এত সংস্কারের দরকার নাই/ সংস্কার এবং নির্বাচনের প্রস্তুতি একসাথে চালাতে অন্তর্বর্তী সরকারকে আহ্বান জয়নুল আবদিনের সরকারি কর্মচারীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে সতর্কতা শিবগঞ্জে ছাত্রদল নেতা মতিউর রহমান এর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে কবর জিয়ারত শেখ হাসিনা ছিল দুর্নীতির মডেল-রিজভী ফারিয়া’র কমিটি গঠন ॥ সভাপতি শফিক রহমান-সম্পাদক সরদার কামাল গোপালগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩ গোমস্তাপুরে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী কল্যাণ সমিতির কম্বল বিতরণ পাবনায় এনজিও’র ফটোসেশন ॥ বাছুর না দিয়ে হাতে খিচুড়ির প্যাকেট বিএনপির দু’পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে যুবক নিহত নাটোর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাসুম গ্রেফতার

প্রকল্প বাস্তবায়ন নেই-আরও নানা অনিয়মের হোতা ৪০ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ ॥ গোবরাতলা ইউপি চেয়ারম্যান টিপুর বিরুদ্ধে প্রশাসনে অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিনিধি ॥
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৭৬৭ বার পঠিত

প্রকল্প বাস্তবায়ন নেই-আরও নানা অনিয়মের হোতা

৪০ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ ॥ গোবরাতলা ইউপি চেয়ারম্যান টিপুর বিরুদ্ধে প্রশাসনে অভিযোগ

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার গোবরাতলা ইউনিয়নে প্রকল্প বরাদ্দের টাকা প্রকল্প বাস্তবায়ন না করে ৪০ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ রবিউল ইসলাম টিপুর বিরুদ্ধে। চেয়ারম্যানের অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে গত ২৭ নভেম্বর/২৪ জেলা প্রশাসক চাঁপাইনবাবগঞ্জ বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন একই ইউনিয়ন পরিষদের ৬ জন সদস্য ও ৫ জন এলাকাবাসী। অভিযোগকারীরা হলেন, ইউ’পি সদস্য মোঃ ইউসুফ আলী, মোঃ নজরুল ইসলাম, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য মোসাঃ রোজিনা খাতুন, মোঃ উসমান গণি, মোঃ মাইনুদ্দীন, মোঃ মমিনুল ইসলাম। ইউনিয়নের বাসিন্দা মোঃ আবু হানজালা, মোঃ মাহিনুর রহমান মাহিন, মোঃ মোস্তাকিম, মোঃ শরিফুল ইসলাম ও মোঃ আব্দুল্লাহ আল সিফাত।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ২০২৩-২০২৪ইং অর্থবছর এবং ২০২৪-২০২৫ইং অর্থবছরে ইউনিয়ন পরিষদ উন্নয়নের অর্থ বরাদ্দ ১% এর যার পরিমান প্রায় ৮৫লক্ষ টাকা। এর মধ্যে বিশেষ করে ৪০ লক্ষ টাকা মহানন্দা নদীর বাঁধ মেরামত বাবদ প্রকল্প দেওয়া হয়, কিন্তু কোনো প্রকল্পের কাজ দৃশ্যমান হয়নি। এলাকাবাসীর দাবী, প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। আবার উক্ত ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড দিয়াড় ধাইনগর ফেরিঘাটের পাশে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক নির্মানকৃত বাঁধের নিচের নদীর জমি হতে অবৈধভাবে মাটি খনন করে তামিম ব্রিক্স, HKF (মো: হিটু মিঞার ভাটা), মঞ্জু মিয়ার ভাটাসহ আরো কয়েকটি ভাটায় প্রায় ১০ হাজার ট্রাক্টর সরকারী মাটি কেটে প্রায় ২ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। এছাড়াও VGF চাল বিক্রয় থেকে শুরু করে VGD, মাতৃত্বকালীণ (গর্ভকালীণ) ভাতাসহ প্রায় সকল ভাতা সুবিধাভোগীদের কাছে অর্থের বিনিময়ে কার্ড প্রদান করা হয়েছে এবং ইউনিয়ন পরিষদের নাগরিকরা প্রতিনিয়ত হয়রানির স্বীকার হচ্ছেন। জন্মনিবন্ধন সেবায় সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ফি হতে প্রায় তিন গুণ বেশি টাকা প্রদান করতে হচ্ছে। উল্লেখ্য, ৫ই আগষ্ট এর পূর্বে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল ওদুদ এর ছত্রছায়ায় সকল অনিয়ম করে এসেছেন এবং উপজেলার এক কর্মকর্তার সহযোগিতায় বর্তমানেও সে সকল অনিয়ম করে যাচ্ছেন চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম টিপু বলেও অভিযোগ ইউপি সদস্য ও স্থানীয়দের। আর এসকল অনিয়ম ও সরকারী মাটি কেটে অন্যত্র বিক্রি করে টাকা হাতিয়ে নেয়ার কাজে তাকে সহযোগিতা করে তার নিজস্ব ভাড়াটিয়া লোকজন।
জেলা প্রশাসক বরাবর দেয়া অভিযোগের ভিত্তিতে সরজমিন অনুসন্ধানে আরো জানা গেছে, ৪০ লক্ষ টাকা প্রকল্প বরাদ্দের গোবরাতলা ইউনিয়নের অরুন বাড়ী, দিয়াড় ধাইনগর, দক্ষিণ চরিমির্জাপু গ্রাম রক্ষা মহানন্দা নদীর বাঁধ মেরামত না করে পাশ হওয়া প্রকল্পের ৪০ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম টিপু। শুধু তাই নয়, টিপুর কাছে কাছে শুধু গোবরতলা ইউনিয়নবাসী জিম্মি নয়, জেলা সদরের বিচার প্রার্থী সাধারণ জনগণও তার জিম্মিদশা থেকে রেহায় পায়নি। ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার দলীয় এমপি ও উপজেলা প্রশাসনের এক কর্মকর্তার দাপট খাটিয়ে বিচার প্রার্থীর বাড়ী থেকে গরুসহ বিভিন্ন মালামাল লুট করা, বিচার প্রার্থীদের কাছে ইউনিয়ন পরিষদের উন্নয়নের নামে জোর পূর্বক টর্চার সেলে ভরে ফাঁকা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে অর্থ আদায় করা, নদী সিকস্তি জমিতে স্কেভেটার (ভেকু) দিয়ে মাটি কেটে অবৈধ ভাবে প্রায় ২ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া, পবিত্র ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযাহা উপলক্ষে অসহায় দরিদ্রদের মাঝে উপহার হিসেবে সরকারের দেয়া (ভিজিএফ) চাউল অসহায় দরিদ্রদের না দিয়ে জালজালিয়াতি তালিকা তৈরি করে লক্ষ লক্ষ টাকার চাউল আত্মসাৎ করা, নাগরিক সেবা গ্রহিতাদের কাছে প্রত্যয়নের নামে রিতিমত চলে তাঁর চাঁদাবজি, ভুক্তভোগি/বিচার প্রার্থীদের পক্ষে ও বিপক্ষে রায় করে দেওয়ার কথা বলে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়া, জন্মনিবন্ধন সনদ প্রতি সরকারের নির্ধারণ করা ৫০ টাকা হলেও রশিদ ছাড়া আদায় করেন ১৫০ টাকা, উক্তরাধিকারী সনদে রশিদ ছাড়া অতিরিক্ত ফি আদায় করা, ইট ভাটার ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক ট্রেড লাইসেন্স দেওয়ার নামে বিপুল পরিমাণ অর্থ নেওয়া, হিন্দু সম্প্রদায়ের শশাণ উন্নয়নের ২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হলেও সেখান থেকে ১ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা আত্মসাৎ করা।
এলাকার সচেতন নাগরিকদের দাবী, সরকারের দেয়া পরিষদের উন্নয়নের জন্য পাশ হওয়া বরাদ্দের অর্থ আমাদের জানা মতে যে প্রকল্পের জন্য অর্থ বরাদ্দ আসবে, সে প্রকল্প বাস্তবায়ন হওয়ার পরে সরকারের প্রতিনিধিরা সরজমিন পরিদর্শণ করার পরে চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন পরিষদের সচিব যৌথ স্বাক্ষরে বরাদ্দের টাকা উত্তলোন করতে পারবে। প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য অর্থ বরাদ্দ হলেও প্রকল্প বাস্তবায়ন না করে টাকা আত্মসাৎ? দেখার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের। কিন্তু কোন অজ্ঞাত কারণে প্রকল্প বাস্তবায়ন না হলেও সেই অর্থ উত্তোলন হয়ে যায়? দিনের পর দিন পার হলেও বিষয়গুলো সংশ্লিষ্টদের নজরে আসনি? এমন নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে জনমনে।
সুশাসনের জন্য নাগরিক কমিটির চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক ও গোবরাতলা ইউনিয়নের নাগরিক মোঃ আবু হানজালার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমরা অনিয়ম, দূর্নীতিকে কখনো প্রশ্রয় দিবো না। এটা দ্বারা শিক্ষা পাবে, তদন্ত সাপেক্ষে একটা সুষ্ঠ বিচার আমরাও চাই, এলাকাবাসীও চায়। পরবর্তীতে যারা চেয়ারম্যান হবে অন্তত যেন তারা এসমস্ত বিষয়গুলো মনে রাখে।
চেয়ারম্যানের মোঃ রবিউল ইসলাম টিপুর বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকের অভিযোগের বিষয়ে গোবরাতলা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোঃ ইউসুফ আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ৪০লক্ষ টাকা বরাদ্দে মহানন্দা নদীর বাঁধ মেরামত বাবদ প্রকল্পের কাজ না করে সরকারী টাকা আত্মসাৎ করেছে চেয়ারম্যান। তাই আমরা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যগণ ও এলাকাবাসী জেলা প্রশাসক স্যারের কাছে অভিযোগের মাধ্যমে সঠিক তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছি।
গোবরাতলা ইউ.পি ০৫ওয়ার্ড সদস্য মোঃ শরিফুল ইসলাম জানান, বন্যার কবল থেকে গ্রাম রক্ষার জন্য গোবরাতলা ইউনিয়নের অরুন বাড়ী, দিয়াড় ধাইনগর, দক্ষিণ চোরি মির্জাপু, গ্রাম রক্ষা মহানন্দা নদীর বাঁধটি নির্মান হয় প্রায় ৩০ বছর আগে। বাঁধটি নির্মাণের পর থেকে কোন মেরামত না হওয়ায় কৃষকদের নদীর কিনারে চাষ হওয়া ফসল বহন করতে চরম কষ্ট পেতে হয়। কৃষকরা আমাদেরকে বাঁধটি মেরামতের জন্য তাগাদা করতে থাকে, কিন্তু বরাদ্দ না পাওয়ায় কিছু করতে পারিনি। এবছর বরাদ্দ আসার পরেও আমরা নিরুপায়, চেয়ারম্যানের কাছে জিম্মি। অবশেষে যখন দেখলাম যে বরাদ্দ আসার পরেও বাঁধ মেরামতের কাজ হলো না, তখন বাধ্য হয়ে আমারা ডিসি মহাদয়ের কাছে চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম টিপুর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছি।
উল্লেখ্য, “টিপু চেয়াম্যানের কাছে জিম্মি গোবরাতলাবাসী-চলছে মাটি কাটার মহোৎসব-যাচ্ছে ইট ভাটায়” ‘ঝুকিপূর্ণ কোটি কোটি টাকার বাঁধ’ শিরোনামে চলতি বছরের জুন মাসের ০৪ তারিখে “দৈনিক চাঁপাই দর্পণ” পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পরেও চেয়ারম্যান মোঃ রবিউল ইসলাম টিপুর বিরূদ্ধে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।
এছাড়া, গোবরাতলা ইউনিয়নের ০২নং ওয়ার্ডেও দক্ষিণ চরি মির্জাপুর গ্রামের ভুক্তভোগী পরিবার গরু ডাকাতি মামলার বাদী মোঃ শাহাজামাল এর ছেলে ওয়াসিম’র সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, গত বছর আমার ছোট ভাইয়ের একটা বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা কেন্দ্র করে ইউনিয়ন পরিষদে একটি শালিশ করেন চেয়ারম্যান মোঃ রবিউল ইসলাম টিপু। সে শালিশে আমার বাবা ও ছোট ভাইকে ২ লক্ষ ৩ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে বলে আমার বাব ও ছোট ভাই কে চেয়ারম্যান তার টর্চার শেল নামক ঘরে বন্দি করে রাখে প্রায় ১ ঘন্টা এবং পুলিশের ভয় দেখিয়ে ফাঁকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করতে বলে চেয়ারম্যান। আমিসহ হাতে পায়ে ধরে আকুতি করে অবশেষে স্বাক্ষর না করে চেয়ারম্যানের টর্চার সেল থেকে মুক্তি পায় আমার বাবা ও ভাই। তার ১ মাস পরে একদিন সকালে অনুমান প্রায় ভোর ৫টার দিকে আমাদের পরিবারের সবায় ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় চেয়ারম্যান তার গুন্ডা বাহিনীদের দিয়ে আমার ঘরে দরজায় তালা বন্দি করে গরুসহ বিভিন্ন মালামাল লুট করে চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম টিপুসহ তার বাহিনী। লুটপাট চলা অবস্থায় পুলিশের ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে বিষয়টি জানালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানা কর্তৃপক্ষ পুলিশ পাঠায়। পুলিশও কোন পদক্ষেপ গ্রহন না করায় আমরা বিজ্ঞ আদালতের আশ্রয় নিয়ে একটি মামলা দায়ের করি। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিকেশন (পিবিআই) কে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। পিবিআই চেয়ারম্যানের দ্বারা প্রবাহিত হয়ে সঠিক তদন্ত না করে বিজ্ঞ আদালতে মনগড়া একটি রিপোর্ট দাখিল করেন। আমার বাবা বাদী সে তদন্ত রিপোর্টের বিরুদ্ধে আপত্তি জানিয়ে পুণঃ তদন্ত চেয়ে একটি দরখাস্ত দাখিল করে। বিজ্ঞ আদালত উক্ত মামলার স্বাক্ষীদের জবানবন্দী নিয়ে চেয়ারম্যানসহ সকল আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রেপতারী পরোয়ানা জারি করেন। গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পরেও সদর থানা পুলিশ আসামীদের কে গ্রেফতার করতে ব্যার্থ হয়। চেয়াম্যানসহ সকল আসামীগণ বিজ্ঞ আদালতে আত্মসমার্পন করে জামিনের আবেদন করলে আসামীদের জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে আসামীদের জেল হাজতে প্রেরনের নির্দেশ দেন বিজ্ঞ আদালত। বর্তমানে আসামীরা জামিনে মুক্ত আছে এবং মামলা চলমান রয়েছে।
বাগানের আম চুরি হওয়ায় বিচারের আসায় গেবরাতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম টিপুর কাছে বিচার দিতে গিয়ে জিম্মি হওয়া চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার বাসিন্দা মোঃ মিজানুর রহমান জানান, আমরা কয়েকজন পার্টনার মিলে গোবরাতলা ইউনিয়নের অরুনবাড়ী এলাকায় একটি আম বাগান খরিদ করি। এবছরে আমের দাম বেশী থাকায় একরাতে বাগানের পাহাদারের মুখে গামছা পেঁচিয়ে গাছে বেঁধে রেখে প্রায় ৩০হাজার টাকা মূল্যের ১০মন ফজলি আম চুরি করে নিয়ে যায় চোর চক্রের সদস্যরা। পহারাদারের কাছে এমন সংবাদ শুনে আমরা পাহারাদারের স্বীকারোক্তি নিয়ে আমরা পার্টনার মিলে গোবরাতলা ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে চেয়ারম্যান টিপুর কাছে বিচার দিই। আমাদের বাগানের আম চুরির সত্যতা পাওয়ার পরেও চোরের বিচার না করে আমাদের কে পরিষদের একটি ঘরে ভরে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে পরিষদের উন্নয়ন কাজের জন্য ২০ হাজার টাকা দাবী করে। চোরের বিচার না করে পরিষদের নাম দিয়ে আমাদের কাছে চাঁদাবাজী? উত্তরে রবিউল ইসলাম টিপু বলেন, বেশী কথা বলার চেষ্টা করলে এবার স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে বাগানসহ লিখে নিবো। আমরা বেকায়দাই পড়ে ১৩ হাজার টাকা দিয়ে চেয়ারম্যান টিপুর টর্চার সেল থেকে মুক্তি নিয়ে বাড়ী ফিরে আসি। চেয়াম্যানের এমন আচরণে আতঙ্কিত হয়ে ক্ষতি করে বাগান বিক্রি করে চলে আসি।
অনিয়ম, দুর্নীতি ও বিচার প্রার্থীদের জিম্মি করে চাঁদাবাজির বিষয়ে গোবরাতলা ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ রবিউল ইসলাম টিপুর সাথে একাধিক বার যোগাযোগ করা হলে তিনি বিভিন্ন কাজের চাপে ব্যাস্ত আছেন বলে বিষয়গুলো এড়িয়ে যান। তবে ইউ’পি সদস্যদের মাধ্যমে জানা গেছে, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসনে দাখিল হওয়া অভিযোগ প্রত্যাহার করার জন্য অভিযোগকারীদের কাছে ব্যাস্ত সময় পার করছেন চেয়ারম্যান টিপু। এব্যাপারে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার শাখার উপ-পরিচালক দেবেন্দ্র নাথ উঁরাও এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, গোবরাতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ রবিউল ইসলাম টিপুর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ হয়েছে, সেটা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
Copyright All rights reserved © 2024 Chapaidarpon.com
Theme Customized BY Sobuj Ali
error: Content is protected !!