লালমনিরহাটে শ্রমিক সংগঠনের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই সাংবাদিক, এক পুলিশ সদস্য সহ শ্রমিকদের দুই গ্রুপের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। রোববার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে জেলার কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, সদর থানার উপ-পরিদর্শক রাশেদ হোসেন, প্রতিদিনের সংবাদের জেলা প্রতিনিধি জিন্নাতুল ইসলাম জিন্না ও আজকের দর্পণের জেলা প্রতিনিধি শরিফুল ইসলাম রতন, বাবুল গ্রুপের বাবুল মিয়াসহ উভয় গ্রুপের বেশ কয়েকজন আহত হয়। জানা গেছে, লালমনিরহাট জেলা বাস মিনিবাস কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের পুরনো রেজিস্ট্রেশন নম্বর (২৪৯৩) বহাল রাখার দাবিতে শ্রমিক নেতা বাবলুর নেতৃত্বে একটি পক্ষ মিছিল নিয়ে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে দিকে আসতে থাকে। এসময় টার্মিনালে অপর পক্ষ একই সংগঠনের নতুন রেজিষ্ট্রেশন পাওয়ার প্রক্রিয়া নিয়ে একটি সমাবেশ করছিল। শ্রমিকনেতা বাবুলের নেতৃত্ব দেওয়া মিছিলটি লালমনিরহাটের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে পৌঁছালে উভয় পক্ষের মাঝে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। প্রথমে ইট-পাটকল ও পরে সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে এক পুলিশ সদস্য, দুই সংবাদকর্মীসহ শ্রমিকদের দুই গ্রুপের অন্তত ১০ জন আহত হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। লালমনিরহাট সদর থানার ওসি আব্দুল কাদের বলেন, শ্রমিকদের দুই গ্রুপের ভিন্ন দুটি কর্মসূচি থেকে উত্তেজনা শুরু হয়। পুলিশ মাঝামাঝি অবস্থান নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করলেও ইটপাটকেলের আঘাতে পুলিশ, সাংবাদিকসহ উভয় গ্রুপের বেশ কয়েকজন আহত হন।