1. tohidulstar@gmail.com : sobuj ali : sobuj ali
  2. ronju@chapaidarpon.com : Md Ronju : Md Ronju
চলছে পদের প্রতিযোগিতা ॥ আর্থিক সুবিধা নেয়ার অভিযোগ- চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিএনপির হালচাষে আওয়ামীলীগ ॥ স্বেচ্ছাচারীতার অভিযোগ জেলা আহবায়ক নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে - দৈনিক চাঁপাই দর্পণ
শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ০৭:০৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
নির্বাচন করতে এত সংস্কারের দরকার নাই/ সংস্কার এবং নির্বাচনের প্রস্তুতি একসাথে চালাতে অন্তর্বর্তী সরকারকে আহ্বান জয়নুল আবদিনের সরকারি কর্মচারীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে সতর্কতা শিবগঞ্জে ছাত্রদল নেতা মতিউর রহমান এর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে কবর জিয়ারত শেখ হাসিনা ছিল দুর্নীতির মডেল-রিজভী ফারিয়া’র কমিটি গঠন ॥ সভাপতি শফিক রহমান-সম্পাদক সরদার কামাল গোপালগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩ গোমস্তাপুরে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী কল্যাণ সমিতির কম্বল বিতরণ পাবনায় এনজিও’র ফটোসেশন ॥ বাছুর না দিয়ে হাতে খিচুড়ির প্যাকেট বিএনপির দু’পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে যুবক নিহত নাটোর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাসুম গ্রেফতার

চলছে পদের প্রতিযোগিতা ॥ আর্থিক সুবিধা নেয়ার অভিযোগ- চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিএনপির হালচাষে আওয়ামীলীগ ॥ স্বেচ্ছাচারীতার অভিযোগ জেলা আহবায়ক নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে

নিজস্ব প্রতিনিধি ॥
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৮০৯ বার পঠিত

চলছে পদের প্রতিযোগিতা ॥ আর্থিক সুবিধা নেয়ার অভিযোগ

চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিএনপির হালচাষে আওয়ামীলীগ ॥ স্বেচ্ছাচারীতার অভিযোগ জেলা আহবায়ক নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির নেতৃত্বে চলছে জেলায় বিএনপির বিভিন্ন কমিটিতে আওয়ামীলীগের দোষর লোকজনকে পদায়ন। জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির আহবায়ক মোঃ গোলাম জাকারিয়া ও সদস্য সচিব আলহাজ্ব মোঃ রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে চলছে স্বেচ্ছাচারিতা করে বিভিন্ন কমিটিতে রদবদল ও কমিটি অনুমোদন। রয়েছে আর্থিক সুবিধা নিয়ে কমিটি অনুমোদন দেয়া না দেয়ারও অভিযোগ। নিজেদের স্বার্থে দলীয় গঠনতন্ত্র বা দলীয় উর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দের আদেশ কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অনুমোদন দিচ্ছেন আওয়ামীলীগের দোষরদের নিয়ে গঠিত কমিটি। ইচ্ছে হলেই ভাংছেন কমিটি। অনুমোদন দিচ্ছেন কমিটিও। আর অর্থের গন্ধ পেলেই তড়িঘড়ি করে যে কোন কাজ করতে দেরী করছেন না তাঁরা। দলীয় নির্দেশনা মোতাবেক জেলা কমিটির আহবায়ক, যুগ্ম আহবায়ক ও সদস্য সচিব এই তিনজনের যৌথ স্বাক্ষরে জেলার বিভিন্ন কমিটি অনুমোদনের কথা থাকলেও নিয়মনীতির কোন তোয়াক্কাও করছেন না জেলা কমিটির আহবায়ক ও সদস্য সচিব। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির আহবায়ক মোঃ গোলাম জাকারিয়া ও সদস্য সচিব আলহাজ্ব মোঃ রফিকুল ইসলাম। অন্যদিকে, পাল্টা অভিযোগ জেলা আহবায়ক ও সদস্য সচিবের-জেলায় বিএনপির বিভিন্ন পদে দায়িত্বে থাকা নেতৃবৃন্দের কার্যক্রমের।
এদিকে, জেলা কমিটির সদস্য সচিব আলহাজ্ব রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিগত স্বৈরাচার আওয়ামীলীগ সরকারের পক্ষে সরাসরি ভোট প্রচারনা করার পরও জেলা কমিটির সদস্য সচিব এর মতো গুরুত্বপূর্ণ পদ পাওয়ায় ক্ষুদ্ধ তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা ও জেলায় বিএনপির নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্যগণ। আওয়ামীলীগের নৌকায় উঠে নিজেদের স্বার্থ হাসিলের চেষ্টার পরও জেলা কমিটিতে স্থান পাওয়া এসব নেতা আওয়ামীলীগের দোষরদের দলের ভেতরে প্রবেশ করিয়ে ষড়যন্ত্র করছেন এবং জেলায় দলীয় ভাবমূর্তি নষ্ট করছেন। আওয়ামীলীগের সক্রীয় নেতা-কর্মীদের দলে নিয়ে পদ-পদবী দিয়ে জেলায় বিএনপির সংগঠনকে বিতর্কিত এবং দলীয় ক্ষতির পরিকল্পনা করছেন বলেও অভিযোগ জেলার বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দের। হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী ও চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও চোরাকারীদের নিয়ে সভা করে দলীয় ভাবমূর্তি নস্ট করার অভিযোগও তৃণমূল নেতা-কর্মীদের। নিজেদের সমস্যা থেকে বাঁচতে বিএনপিতে যোগদান করে এসব আওয়ামীলীগের সুবিধাভোগীরা দলের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে বলে অভিমত দলের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীদের। দ্রুত এসব দলীয় শৃংখলা পরিপন্থি কার্যক্রম বন্ধ এবং দলের ত্যাগী ও গত ১৬ বছরে বিভিন্নভাবে নির্যাতিন বিএনপির তৃণমূল নেতা-কর্মীদের যথাযথ মূল্যায়ন করার জোর দাবী বিএনপি নেতা-কর্মীদের।
তবে, এসব অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক মোঃ গোলাম জাকারিয়া ও সদস্য সচিব আলহাজ্ব মোঃ রফিকুল ইসলাম। উল্টো নানা অভিযোগ তুলছেন তাঁরা দলীয় বিষয়ে এসব অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে। জেলা ও দলের উর্ধ্বতন কিছু দলীয় নেতা-কর্মীদের ষড়যন্ত্রে জেলায় দলীয় কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চালাতে হীমসিম খাচ্ছেন বলেও ক্ষোভ ও সমস্যার কথা জানিয়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক মোঃ গোলাম জাকারিয়া।
এমনিভাবেই সেচ্ছাচারীতা করে সম্প্রতি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা বিএনপির কমিটি রাতারাতি ভেঙ্গে আওয়ামীলীগের সুবিধভোগী আমিনুল ইসলামকে আহবায়ক ও জোহরুল ইসলাম বুলু বিশ্বাসকে সদস্য সচিব করে কমিটি অনুমোদন দিয়েছেন জেলা বিএনপির আহবায়ক ও সদস্য সচিব। নারায়নপুর ইউনিয়নের রুহুল ও আজিম মেম্বারসহ হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত অনেক আসামীদের নিয়ে চরবাবাগডাঙ্গায় সভা করেছেন। এদিকে, আওয়ামীলীগের লোকজনদের নিয়ে গঠিত সকল কমিটি সদর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ওয়ায়েদ পাঠানকে অনুমোদন দেয়ার জন্য চাপ দেন জেলা বিএনপির আহবায়ক ও সদস্য সচিব। তাদের শর্তে রাজি না হওয়ায় তড়িঘড়ি করে আওয়ামীলীগের সুবিধাভোগী কে নিয়ে সদর উপজেলা বিএনপির কমিটি গঠন করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন সদর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক (সম্প্রতি ভেঙ্গে দেয়া কমিটির) ওয়ায়েদ পাঠান। চরবাগডাঙ্গায় ইউনিয়ন বিএনপির কমিটির আহবায়ক ও সদস্য সচিব বিজয়ের মালা পরে ছবি ও ভিডিও প্রচার করেছেন এবং কিছু মিডিয়ায় সংবাদও প্রকাশ করেছেন। অন্যদিকে, কমিটি অনুমোদনের জন্য গোমস্তাপুর উপজেলার বিএনপি নেতা মোতালেব হোসেনের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়েছেন জেলা বিএনপির আহবায়ক গোলাম জাকারিয়া এবং সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম বলে অভিযোগ করেছেন অধ্যাপক মোতালেব হোসেন। কমিটি দেয়ার নামে প্রায় ২ বছর আগে নেয়া ১ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা এখনও ফেরত দেননি জেলা বিএনপি নেতৃবৃন্দ। অন্যদিকে, কমিটি দেয়ার নামে ৫ লক্ষ টাকার দাবী করার অভিযোগও করেছেন সদর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ওয়ায়েদ পাঠান। দলীয় উর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দের কাছে বিষয়গুলো নিয়ে লিখিত অভিযোগ করেও কোন সুরাহা হয়নি বলেও অভিযোগ তাদের। এছাড়া সম্প্রতি জেলার ভোলাহাট উপজেলা কমিটি গঠন নিয়েও নানা ঘটনা ও গুঞ্জন উঠেছে।
দীর্ঘদিন ধরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর কমিটি না থাকলেও নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য রাতারাতি মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে আহবায়ক এর একক স্বাক্ষরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার ৭নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়েছে। যা বিএনপি দলীয় গঠনতন্ত্র বিরোধী এবং এঘটনা সারাদেশের মধ্যে বিরল বলে অভিযোগ বিএনপি নেতৃবৃন্দের। তবে এই অভিযোগও অস্বীকার করেছেন জেলা বিএনপির আহবায়ক। দলীয় কার্যক্রম কে এগিয়ে নিতে কমিটি গঠনের কাজ করা হয়েছে। কোন কিছুর বিনিময়ে বা গঠনতন্ত্র বিরোধী নয় বলেও জানান জেলা বিএনপির আহবায়ক গোলাম জাকারিয়া।
সদর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ওবায়েদ পাঠান ‘চাঁপাই দর্পণ’ কে বলেন, মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে কমিটির বাণিজ্য করছেন জেলা বিএনপির আহবায়ক মোঃ গোলাম জাকারিয়া ও সদস্য সচিব আলহাজ্ব রফিকুল ইসলাম ওরফে চাইনিজ রফিক। ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে হঠাৎ করেই সদর উপজেলা বিএনপির কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে আওয়ামীলীগের সময়ে সুবিধাভোগীদের নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। হেরোইন ও ইয়াবা ব্যবসায়ী এবং অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সিন্ডিকেটের হোতা চরবাগডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান শহিদ রানা টিপুর সাথে মোটা অংকের টাকা চুক্তি করে কমিটি দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়। ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী, মাদক ব্যবসায়ী ও আওয়ামীলীগের সময়ে দল থেকে সরে গিয়ে আওয়ামীলীগের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল ওদুদ এর সাথে থেকে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা ভোগ করে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পরপরই আবারও বিএনপিতে যোগদান করে সুবিধা ভোগের পাঁয়তারা করছে, আর এদের দলে জায়গা দিয়ে পৃষ্ঠপোষকতা করছেন জেলা বিএনপির আহবায়ক ও সদস্য সচিব বলেও অভিযোগ করেন ওবায়েদ পাঠান।
তবে টাকা বা অন্যান্য কোন সুবিধা নিয়ে দলীয় কার্যক্রম চালানো বা কমিটি অনুমোদন দেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে দলীয় ভাবমূর্তি নষ্ট করার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জেলা জেলা বিএনপির আহবায়ক মোঃ গোলাম জাকারিয়া। তিনি বলেন, যারা দলের কার্যক্রমে সময় দেন না, কোন দায়িত্ব পালন করেন না, তারাই নানাভাবে বিতর্কিত করার জন্যই নানা মিথ্যা ও বানোয়াট কথা বলছেন বলেও অভিযোগ করেন জেলা বিএনপির আহবায়ক ও সদস্য সচিব।
জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির যুগ্ম আহবায়ক এ্যাড. রফিকুল ইসলাম টিপু বলেন, জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির আহবায়ক ও সদস্য সচিব দলীয় বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকান্ড এবং আওয়ামীলীগের দোষরদের নিয়ে বিভিন্ন সভা ও কমিটি অনুমোদন দেয়ায় তাদের থেকে নিজে থেকেই অনেকটা দূরে সরে গেছি। আওয়ামীলীগের সুবিধাভোগীদের নিয়ে কমিটি দেয়ার কারণেই নিয়ম থাকলেও কোন কমিটিতে স্বাক্ষর করিনি। তাদের কাজে সম্মতি বা সহযোগিতা না করায় আহবায়ক ও সদস্য সচিব আমাকে এড়িয়ে দলের সব কার্যক্রম চালাচ্ছেন। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে কাজ করছেন। তিনি বলেন, দলের স্বার্থে এবং দলের ক্ষতিকারক কোন কাজ আমি নিজেও করিনা, কেউ করলে সেটা সমর্থনও করিনা। তিনি আরও বলেন, দলের ভাবমূর্তি উজ্জল করতে এসব বিতর্কিত কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে, কারো নিজ স্বার্থ পুরনের জন্য কোন আওয়ামীলীগের দোষরদের দলে জায়গা দিয়ে ষড়যন্ত্র সফল হতে দেয়া যাবে না। তিনি দলীয় কার্যক্রমকে শক্তিশালী করতে সকলকে সচেতন ও ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানান।
সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপির একনিষ্ট কর্মী সাবেক ছাত্রনেতা, যুবনেতা, জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম বুলবুল বলেন, জেলা বিএনপির আহবায়ক গোলাম জাকারিয়া ও সদস্য সচিব আলহাজ্ব রফিকুল ইসলাম দলীয় নিয়মনীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বিভিন্ন বিতর্কিত কার্যক্রম করছেন। মনে হলেই কমিটি ভাংছেন, কমিটি অনুমোদন দিচ্ছেন। আওয়ামীলীগের সময়ে সকল সুবিধাভোগীদের নিয়ে মিটিং করছেন, কমিটি গঠনও করছেন। এমনকি হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত আসামী, চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী এবং দলের ক্ষতিকারক ব্যক্তিদের নিয়ে কোন অজ্ঞাত স্বার্থে দলে জায়গা করে দিচ্ছেন, সেটা দলের জন্য চরম ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। তিনি বলেন, দলের নিবেদিত প্রাণ নেতা-কর্মীদের যথাযথা মূল্যায়ন করতে হবে। দীর্ঘ ১৬ বছর যেসব নেতা-কর্মীরা নানভাবে নির্যাতিত, নিপিড়িত হয়েছেন, তাদের মূল্যায়ন করতে হবে। তাহলেই জেলায় বিএনপির সাংগঠনিক ভিত্তি আরও মজবুত হবে। কিন্তু যদি আওয়ামীলীগের দোষর সুবিধাভোগীরা স্বৈরাচার পতনের পর এখনও ভোল্ট পাল্টিয়ে যে কোন কিছুর বিনিময়ে বিএনপিতে জায়গা করে নিতে পারে বা করে দেয়া হয়, তাহলে দল ক্ষতিগ্রস্থ হবে। তিনি আরও বলেন, দলীয় নিয়ম অনুযায়ী ৩ থেকে ৬ মাসের মধ্যে সম্মেলনের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের কথা থাকলেও ৩ বছর অতিবাহিত হলেও কোন পুর্ণাঙ্গ জেলা, থানা ও পৌর এবং ইউনিয়ন কমিটি গঠন করতে পারিন নি জেলা আহবায়ক ও সদস্য সচিব। তিনি দলের উর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষন করে আরও বলেন, এসব ঘটনার তদন্ত করে দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুন্নকারী, দলের ভেতরে থেকে দলের ক্ষতিকারক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবী জানান।
জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য এ্যাড. নুরুল ইসলাম সেন্টু বলেন, স্বৈরাচার আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে সুবিধাভোগকারী ও আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত কোন ব্যক্তিকে কোনভাবেই দলে স্থান দেয়ার কোন প্রশ্নই উঠেনা। যদি এমন কোন কার্যক্রম দলের মধ্যে ঘটে থাকে বা ঘটানোর চেষ্টা করেন কোন নেতৃবৃন্দ, তাহলে এটা হবে দলের জন্য চরম ক্ষতিকারক। এসব সুবিধাভোগীরা দলের মধ্যে প্রবেশ করে বিএনপির সাংগঠনিক শক্তিকে ধ্বংস করতে ষড়যন্ত্র করবে। তিনি দলের ক্ষতিকারক কোন কাজে জেলার সকল নেতা-কর্মীদের না জড়ানোর অনুরোধ জানান।
এব্যাপারে জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব আলহাজ্ব রফিকুল ইসলাম বলেন, সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গায় মিটিং করা হয়েছে, কোন কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়নি। কমিটির তালিকা দিতে বলা হয়েছে, তালিকা পেলে যাচায়-বাছায় করে চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি দেয়া হবে। সেখানে কোন ধরণের আর্থিক সুবিধা বা অন্য কোন বিশেষ বিবেচনা করা হয়নি, হবেও না। দলের ক্ষতি হয় এমন কোন কাজ আমরা করিনা। যা করি দলের স্বার্থে এবং প্রয়োজনে। তিনি উল্টো অভিযোগ করেন, যাদের নিয়ে এখন এসব কথা বা বিতর্ক হচ্ছে, কিছুদিন আগে এই একই ব্যক্তিদের নিয়ে সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ সভা করে এসেছেন। আওয়ামীলীগের নির্বাচনী প্রচারনার প্রশ্নে রফিকুল ইসলাম বলেন, আমাকে নানাভাবে হুমকি দিয়ে এবং বাধ্য করে সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। আমি ইচ্ছাকৃতভাবে প্রচারনায় যায়নি। দলের জন্য কাজ করছি, আগামীতেও করে যাবো। দলীয় পরিপন্থী কোন কাজ করছি না আমরা।
দলীয় গঠনতন্ত্র বিরোধী বা আওয়ামীলীগের সুবিধাভোগীদের দিয়ে কমিটি গঠনসহ বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে জেলা বিএনপির আহবায়ক মোঃ গোলাম জাকারিয়া বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে দীর্ঘদিন ধরেই বিএনপির সাংসদ হারুনুর রশীদ নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। আমরা জেলা কমিটিতে দায়িত্ব পাওয়ার পর যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছি দলকে গোছানোর। বিগত স্বৈরাচারী সরকারের আমলে দলের কর্মীরা বিভিন্নভাবে নির্যাতিত হয়েছে, কেউ কেউ বিতর্কিত কাজও করেছে, আওয়ামীলীগের দলে গিয়ে সুবিধা ভোগ করেছে এটাও ঠিক। তিনি বলেন, কোন সুবিধা নিয়ে কাউকে কমিটিতে আনা হয়নি, হবেও না। যেসব কমিটি দেয়া হয়েছে, তা দলের স্বার্থে এবং দলীয় নিয়মনীতি মেনেই করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এমনিতেই নেতৃবৃন্দের অসহযোগিতার কারণে দলীয় কার্যক্রম চালাতে হীমসীম খাচ্ছি। দীর্ঘদিন ধরেই জেলা বিএনপির সম্মেলন করার চেষ্টা করেও পারিনি। স্বৈরাচার সরকার পতনের পর ধীরে ধীরে দলীয় কার্যক্রম গোছানোর কাজ করছি। কমিটি দেয়া বা নিজ স্বার্থে দলের কোন নেতা-কর্মীর কাছ থেকে অর্থ গ্রহন করিনি। দলের কোন কাজের জন্য কেউ অর্থ সহায়তা করে থাকলে সেটা আলাদা কথা। জেলায় বিএনপির দলীয় কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে গণমাধ্যমের সহযোগিতাও কামনা করেন তিনি।
জেলা বিএনপির আহবায়ক গোলাম জাকারিয়া ও সদস্য সচিব আলহাজ্ব রফিকুল ইসলামের জেলায় বিভিন্ন দলীয় শৃঙ্খলা বিরোধী কার্যক্রম বিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর আসনের কয়েকবারের বিএনপি দলীয় সাংসদ ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেস্টা মোঃ হারুনুর রশীদ অত্যন্ত ক্ষোভের সাথে বলেন, জেলা বিএনপির আহবায়ক গোলাম জাকারিয়া ও সদস্য সচিব আলহাজ্ব রফিকুল ইসলাম অতীতে কোনদিন দলীয় কোন নির্বাচনে দলের পক্ষে কাজ করেন নি, এখনও করেন না। বর্তমানে জেলা বিএনপির বিভিন্ন কর্মকান্ড বিকর্তিক। গত ৬ ডিসেম্বর চরবাগডাঙ্গায় বিএনপির ব্যানারে যে মিটিং করা হয়েছে, সেখানে স্বৈরশাসক আওয়ামীলীগের জেলা, উপজেলা ও চরাঞ্চলের সকল আওয়ামীলীগের চেয়ারম্যান ও স্থানীয় আওয়ামীলীগের দোষরদের নিয়ে। মাদক ব্যবসায়ী, বিভিন্ন মামলার আসামী, হত্যা মামলা আসামী, এদেরকে নিয়ে সভা করে আওয়ামীলীগের সুবিধাভোগীদের দিয়ে কমিটি গঠনের বিষয়টিও ঘটেছে। এসব দলের জন্য ক্ষতির কারণ। এটা নিয়ে দলের নেতা-কর্মীদের মাঝে চরম হতাশার মধ্যে পড়েছে এবং উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। তিনি বলেন, বর্তমানে জেলা বিএনপির আহবায়ক গোলাম জাকারিয়া ও সদস্য সচিব আলহাজ্ব রফিকুল ইসলাম গত ৩০ বছরে বিএনপির কোন সদস্যও ছিলো না। কোন জাতীয় বা স্থানীয় নির্বাচনে কোন সহায়তা করেনি, ধানের শীষের ভোটও করেনি। এসব ব্যক্তিদের নিয়ে কিভাবে, কোন প্রক্রিয়ায় জেলা কমিটিতে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে এবং এমন দায়িত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে? এবিষয়ে জেলার সাবেক ৩ জন বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য কোনভাবেই অবগত নয়। দলের বৃহৎ স্বার্থে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, যেহেতু আওয়ামীলীগের দোষরদের দলে স্থান দেয়া বা যোগদান করানোর বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, তারপর জেলায় এসব কাজের বিষয়ে যথাযথ তদন্ত করে বিষয়গুলো দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। তিনি বলেন, জেলা আহবায়ক কমিটির আহবায়ক কমিটির আহবায়ক ও সদস্য সচিব কোনদিন দলের লোক ছিলেন না। তিনি আরও বলেন, জেলা আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব ২০১৮ সালে নৌকা প্রতিকের ভোট করিয়ে বেড়িয়েছে। এদের সম্পর্কে জেলার মানুষও জানে। তিনি বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ বিএনপির দূর্গ। এখানে এসব ব্যক্তিদের দিয়ে দলের ভালো কিছু আশা করা যায় না। যারা আওয়ামীলীগের দোষরদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে, এসব বন্ধ করা দরকার, এদের বিরুদ্ধে কঠোর দলীয় ব্যবস্থা নেয়াও দরকার। জবাবদীহিতার মধ্যে নিয়ে আসা প্রয়োজন। এরা বিচ্ছিন্নভাবে এসব বিতর্কিত কাজ করে বেড়াচ্ছে। এতে দলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। তিনি বলেন, এসব দলীয় স্বার্থ বিরোধী কাজের সাথে জড়িতদের কাজে দলের মূলধারার নেতা-কর্মীরা রীতিমত ক্ষুদ্ধ। তাই বিষয়গুলোর যথাযথ তদন্ত করে দলীয়ভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার দাবী করেন সাবেক সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এ্যাড. শাহীন শওকত এর সাথে জেলার বিভিন্ন দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকান্ডের বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আওয়ামীলীগের দোষর, স্বৈরাচার সরকারের আমলে সুবিধাভোগী, মাদক ব্যবসায়ী, খুনি, সমাজের বিতর্কিত ব্যক্তিদের বিএনপি দলে কোন স্থানে হবে না। বিএনপিতে এদের কোন জায়গা নেয়। তিনি দলীয় বিষয়ে বলেন, আওয়ামীলীগের সুবিধাভোগী বা দোষর এবং কোন বিতর্কিত ব্যক্তিকে দলে স্থান দেয়া বা যোগদান করার কোন সুযোগ নেই। যদি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার কোন নেতৃবৃন্দ এমন কাজের সাথে জড়িত থাকেন, তাহলে যথাযথ তদন্ত করে দলীয়ভাবে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগষ্ট স্বৈরাচার আওয়ামীলীগ সরকারের পতন হয়েছে। দেশের মানুষ বাক স্বাধিনতা ফিরে পেয়েছে। সংবাদপত্রের স্বাধিনতা ফিরে এসেছে। গঠনমূলক সমালোচনা করছে গণমাধ্যম। যেটা স্বৈরাচার আওয়ামীলীগ সরকার গণমাধ্যমের কন্ঠরোধ করে রেখেছিলো। তবে, তিনি গণমাধ্যমের কাছে গঠনমূলক ও বস্তুনিষ্ঠ সমালোচনা আশা করেন। তিনি বলেন, বর্তমানে অন্তর্বর্তীকালিন সরকার দায়িত্ব পালন করছে, কোন দলীয় সরকার নয়। তিনি ক্ষোভের সাথে বলেন, জেলায় বিভিন্ন মাদক কারবারী, অস্ত্র ব্যবসায়ী, খুনি, আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে বিভিন্ন অন্যায় কাজের সাথে জড়িত, তারা অবাধে জেলায় ঘুরছে, বীরদর্পে সকল কাজ করে বেড়াচ্ছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের প্রশাসন কেন এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন না? চরাঞ্চলের সকল মাদক ব্যবসায়ী ও অপরাধীরা সক্রিয়। এদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। তিনি দলের কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে সকলের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
Copyright All rights reserved © 2024 Chapaidarpon.com
Theme Customized BY Sobuj Ali
error: Content is protected !!