ফরিদপুরের মধুখালীতে দুর্বৃত্তের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্যামলন্দ বসু (৬৮) ও তাঁর স্ত্রী কাকলী বসু (৬০) গুরুতর আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আরও আহত হয়েছে গৃহপরিচারিকা প্রীতি মালো (১৫)। আহত শ্যামলন্দ বসু ও কাকলী বসু দৈনিক আজকের পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক সৌগত বসুর বাবা-মা। পুলিশের ধারণা, চুরির ঘটনা দেখে ফেলায় এই হামলা হয়েছে। মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের ডুমাইন গ্রামে শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে মধুখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। ডুমাইন ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার জীবন কুমার মন্ডল বলেন, শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে দুর্বৃত্তরা শ্যামলন্দ দাদার বাড়িতে প্রবেশ করে। বাড়িতে শ্যামলন্দ দা, তাঁর স্ত্রী ও তাঁদের দেখাশোনার প্রীতি থাকত। শ্যামলন্দ দাদার তিন ছেলে বিভিন্ন জেলায় চাকরি করেন। জীবন মন্ডল বলেন, রাতে হঠাৎ তাদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে দেখে শ্যামলন্দ দা ও তাঁর স্ত্রীকে কোপানো হয়েছে এবং কাজের মেয়েটিকে কিছু দিয়ে মাথায় ও শরীরে আঘাত করা হয়েছে। পরে দ্রুত তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। এই পরিবারের কারও সঙ্গে শত্রুতা নেই বলেও জানান জীবন মন্ডল। তিনি বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, চুরি করতে দেখা ফেলায় এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। সৌগত বসু বলেন, বাড়িতে আমার বাবা-মা ছাড়া কেউ থাকে না। আমার অসুস্থ মাকে দেখাশোনা করত প্রীতি। তারা এখন গুরুতর অসুস্থ, তবে আমাদের কারও সঙ্গে কোনো ঝামেলা নেই। চিকিৎসকের বরাত দিয়ে সৌগত বসু বলেন, বাবার অবস্থা একটু গুরুতর। মাথায় চারটি কোপ আছে। চোখের ওপরের হাড় ভেঙে গেছে। বাম পাশে স্কালেও বড় ক্ষত আছে। তবে ইন্টারনাল ইঞ্জুরি নেই। মায়ের মাথায় সেলাই আছে। প্রীতির হাতে সেলাই আছে। ফরিদপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (মধুখালী সার্কেল) মোহম্মাদ ইমরুল হাসান বলেন, এটা আসলে ডাকাতির ঘটনা নয়। মূলত একটি চুরির ঘটনা। চুরি করতে আসলে গৃহকর্তা তাদের দেখে চিৎকার দেয়। এ সময় তারা ওই পরিবারের ওপর হামলা করে। এ ঘটনায় জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে।