1. tohidulstar@gmail.com : sobuj ali : sobuj ali
  2. ronju@chapaidarpon.com : Md Ronju : Md Ronju
জেলা প্রশাসক ও দূর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ- চাঁপাইনবাবগঞ্জে কামিল মাদ্রাসায় আ’লীগের মন্ত্রী-এম.পির সুপারিশে স্বৈরাচারের দোষরকে অধ্যক্ষ নিয়োগ-ক্ষুদ্ধ শিক্ষানুরাগীরা - দৈনিক চাঁপাই দর্পণ
শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫, ০৯:৩৪ পূর্বাহ্ন

জেলা প্রশাসক ও দূর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ- চাঁপাইনবাবগঞ্জে কামিল মাদ্রাসায় আ’লীগের মন্ত্রী-এম.পির সুপারিশে স্বৈরাচারের দোষরকে অধ্যক্ষ নিয়োগ-ক্ষুদ্ধ শিক্ষানুরাগীরা

নিজস্ব প্রতিনিধি ॥
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ১৫৮৭ বার পঠিত

জেলা প্রশাসক ও দূর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ

চাঁপাইনবাবগঞ্জে কামিল মাদ্রাসায় আ’লীগের মন্ত্রী-এম.পির সুপারিশে স্বৈরাচারের দোষরকে অধ্যক্ষ নিয়োগ-ক্ষুদ্ধ শিক্ষানুরাগীরা

চাঁপাইনবাবগঞ্জের একটি কামিল মাদ্রাসায় আ’লীগের মন্ত্রী-এম.পির চাপ ও সুপারিশে স্বৈরাচারের দোষরকে অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেয়ায় প্রতিকার চেয়ে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছেন বঞ্চিত প্রার্থী। রাজনৈতিক ক্ষমতা খাটিয়ে অযোগ্য ও পরিকল্পিত প্রার্থীকে অধ্যক্ষ নিয়োগ দেয়ায় ক্ষুদ্ধ এলাকার শিক্ষানুরাগী ও পরিচালনা পর্ষদের একাধিক সদস্য। চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার শংকরবাটী হেফজুল উলুম এফ.কে কামিল মাদ্রাসায় অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ বাতিল করে মাদ্রাসার সভাপতি ও জেলা প্রশাসক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও দূর্নীতি দমন কমিশন (দুদকে) রাজশাহী বরাবর অভিযোগ দাখিল করেছেন নিয়োগ বঞ্চিত মোঃ তাজিমুল ইসলাম।

স্বৈরাচার আ’লীগের আমলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর-৩ আসনের এম.পি আব্দুল ওদুদ এবং খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের লিখিত সুপারিশে ০৪/৮/২০২৩ ইং তারিখে যোগ্য প্রার্থীকে বঞ্চিত করে তৎকালীন জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খাঁন সভাপতির পদাধিকার ক্ষমতা বলে কৌশলে আওয়ামীলীগ পরিবারের সদস্য হওয়ায় পৌর এলাকার রেহাইচর গ্রামের মোঃ আব্দুল হকের ছেলে মোঃ আব্দুল খালেক শংকরবাটী হেফজুল উলুম এফ.কে কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ প্রদান করেন।

এনিয়ে ক্ষমতাসীনদের ভয়ে তাৎক্ষনিক কোন প্রতিকারের আবেদন করতে না পারলেও প্রায় ১ বছর পর নিয়োগ থেকে বঞ্চিত হওয়া রাজশাহী গোদাগাড়ী উপজেলার পাকড়ী গ্রামের মোঃ ইয়াকুব আলী দেওয়ানের ছেলে মোঃ তাজিমুল ইসলাম অবৈধ ও প্রভাবিত নিয়োগ প্রাপ্ত অধ্যক্ষের নিয়োগ বাতিল করে অধ্যক্ষ পদে প্রকৃত ফলাফলের ভিত্তিতে অধ্যক্ষ নিয়োগের জন্য জেলা প্রশাসক ও সভাপতি শংকরবাটী হেফজুল উলুম এফ.কে কামিল মাদরাসা চাঁপাইনবাবগঞ্জ বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন বলে জানা গেছে। অভিযোগ সূত্রে আরো জানা গেছে, অত্র মাদ্রাসায় অধ্যক্ষ পদে নিয়োগে অনিয়ম ও দূর্নীতির দাবি জানিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক বারাবরও একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, শংকরবাটী হেফজুল উলুম এফ.কে কামিল মাদ্রাসায় গত বছরের ০৪/০৮/২০২৩ ইং তারিখে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করেন নিয়োগ থেকে বঞ্চিত হওয়া রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার পাকড়ী গ্রামের মোঃ ইয়াকুব আলী দেওয়ানের ছেলে মোঃ তাজিমুল ইসলাম।

কিন্ত ফলাফল স্থগিত রেখে পরবর্তীতে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর-৩ আসনের এম.পি মোঃ আব্দুল ওদুদ বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ এর ০৭/০৯/২০২৩ ইং তারিখের প্রত্যয়ন পত্র যা স্বৈরাচার আওয়ামীলীগের খাদ্যমন্ত্রী স্বাধন চন্দ্র মজুমদার এর প্রতিস্বাক্ষরে প্রভাবিত হয়ে মোঃ আব্দুল খালেক, পিতা-মোঃ আব্দুল হক মোল্লা, মাতা: মোসা: সাহেলা বেগম, গ্রাম: রেহাইচর আদর্শ পাড়া, ডাক-টিকরামপুর, থানা- চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর, জেলা-চাঁপাইনবাবগঞ্জ কে ফলাফলে প্রথম দেখানো হয়। মাদ্রাসায় গত বছরের ০৪/০৮/২০২৩ ইং তারিখে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পরীক্ষায় লিখিত পরীক্ষা ও সনদ নম্বরে অনেক বেশি নম্বর প্রাপ্ত হওয়া সত্ত্বেও মৌখিক পরীক্ষায় মোঃ তাজিমুল ইসলাম কে অকৃতকার্য দেখানো হয়। তাকে মৌখিক পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর ৮ এর মধ্যে ৭.২০ প্রদান করেন। যা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং পরিকল্পিত। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর-৩ আসনের এম.পি ও জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল ওদুদ এবং খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের যোগসাজসে এই নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে।

নিয়োগ বঞ্চিত রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার পাকড়ী গ্রামের মোঃ তাজিমুল ইসলাম বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর-৩ আসনের এম.পি ও জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল ওদুদ এবং খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের যোগসাজসে এবং শংকরবাটী হেফজুল উলুম এফ.কে কামিল মাদ্রাসার তৎকালিন সভাপতি ও জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খাঁন সুপরিকল্পিতভাবে ও অবৈধভাবে শংকরবাটী হেফজুল উলুম এফ.কে কামিল মাদ্রাসায় অধ্যক্ষ নিয়োগ প্রদান করেছেন। তিনি বলেন, নিয়োগ সংক্রান্ত লিখিত পরীক্ষা ৩০ নম্বরের মধ্যে ১৯.৫০ এবং সাটিফিকেট নম্বর ১২ নম্বরের মধ্যে ১০ নম্বর পায় আমি। অপরদিকে, অবৈধভাবে নিয়োগ পাওয়া প্রার্থী মোঃ আব্দুল খালেক, লিখিত পরীক্ষা ৩০ নম্বরের মধ্যে ১৬.৫০ এবং সাটিফিকেট নম্বর ১২ নম্বরের মধ্যে ০৯ নম্বর পায়।

লিখিত ও সাটিফিকেট নম্বর মিলিয়ে আব্দুল খালেক হন ৪র্থ। মোট ৫ জনের মধ্যে আমি প্রথম স্থান অধিকার করি। কিন্তু এরপর মৌখিক পরীক্ষায় তাঁকে সু-কৌশলে ৮ নম্বরের মধ্যে ৭.২০ নম্বর দিয়ে প্রথম স্থানে নিয়ে যাওয়া হয় এবং আব্দুল খালেককে নিয়োগ প্রদানের জন্য সুপারিশ করেন নিয়োগ কমিটি। স্বৈরাচার আওয়ামী পরিবারের লোক হওয়ায় এবং অজ্ঞাত সুবিধা নিয়ে নিয়োগ পরীক্ষার প্রায় ১০দিনপর ফলাফল ঘোষণা করা হয়। তিনি আরও বলেন, লিখিত ও সার্টিফিকেট নম্বরে প্রথম হয়েও আওয়ামীলীগের এমপি-মন্ত্রীদের সুপারিশে সাবেক জেলা প্রশাসক আব্দুল খালেককে অবৈধভাবে নিয়োগ দিয়েছেন এবং আমাকে বঞ্চিত করেছেন। সঠিক ও নিরপেক্ষভাবে নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফল প্রদান করা হলে আমি বৈধ প্রার্থী হিসেবে নিয়োগ এর জন্য চুড়ান্ত হতাম। বিষয়টি তখনকার মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির অনেক সদস্য ও প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক এবং এলাকার শিক্ষানুরাগীরা জানলেও কোন প্রতিকার করতে পারেন নি। বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার অনুরোধ জানাচ্ছি সংশ্লিষ্ট দপ্তর এর কাছে।

এদিকে, আব্দুল ওদুদ এর সংসদীয় প্যাডে প্রত্যায়নপত্রে লেখা “এই মর্মে প্রত্যায়ন করা যাচ্ছে যে, মোঃ আব্দুল খালেক, পিতা-মোঃ আব্দুল হক মোল্লা, মাতা-মোসাঃ সাহেলা বেগম, গ্রাম-রেহাইচর আদর্শপাড়া, ডাকঘর-টিকরামপুর, থানা-চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর, জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জ এর বাসিন্দা। তাঁকে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি ও জানি। তিনি স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাসী ও বাংলাদেশ আওয়ামী পরিবারের সাথে ওতোপ্রতোভাবে জড়িত। আমার জানামতে তিনি শৃঙ্খলা ও রাষ্ট্রবিরোধী কোন কর্মকান্ডের সাথে জড়িত নয়-আমি তার সর্বাঙ্গীন মঙ্গল কামনা করি”।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাদ্রাসার সিনিয়র-জুনিয়র কয়েকজন শিক্ষক ‘চাঁপাই দর্পণ’ কে বলেন, আওয়ামীলীগের আমলে ক্ষমতা খাটিয়ে অধ্যক্ষ নিয়োগের পর থেকেই অধ্যক্ষ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদেরকে কোন প্রকার সম্মান বা প্রতিষ্ঠানের নিয়মের মধ্যে কথা না বলে নিজের ইচ্ছেমতো প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আসছেন। অযৌক্তিক কারণেও শিক্ষক-কর্মচারীদের উপর মানষিক ও প্রাতিষ্ঠানিক অত্যাচার চালান। নিয়মনীতির কোন তোয়াক্কা না করে স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের আর্থিক ও শিক্ষা বিষয়ক কার্যক্রমগুলো পরিচালনা করে আসছেন। কোন মানবিকতাও নেই অধ্যক্ষের। ‘অধ্যক্ষের মর্জি বলে কথা, উনার কথায় যেন সব’ উনার নিয়মই সব নিয়ম, অধ্যক্ষ নিজেকে অনেক ক্ষমতাধর মনে করেন। যা একজন প্রতিষ্ঠান প্রধান হিসেবে কাম্য নয়। আওয়ামীলীগের প্রভাব খাটিয়ে নিয়োগ নিয়ে প্রতিষ্ঠানে রাজত্ব খাটালেও অবশ্য অধ্যক্ষ সাহেব এখন ভোল্ট পাল্টিয়ে নিজেকে বর্তমান সময়ের রাজনৈতিক দলের লোক বলে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করছেন।

এব্যাপারে শংকরবাটী হেফজুল উলুম এফ.কে কামিল মাদ্রাসার পরিচালনা পর্ষদের তৎকালিন সদস্য সাবেক এমপি অধ্যাপক মোঃ লতিফুর রহমান বলেন, ওই মাদ্রাসায় অধ্যক্ষ নিয়োগের সময় আমি প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ছিলাম। সে সময় অধ্যক্ষ নিয়োগ নিয়ে অনেক কিছুই ঘটেছে। অধ্যক্ষ পদের প্রার্থী মোঃ তাজিমুল ইসলাম কে কৌশলে বঞ্চিত করা হয়েছে। তিনি বলেন, যেহেতু আমি নিয়োগ বোর্ডের সদস্য ছিলাম না, তাই নিয়োগ বোর্ড যেটা করেছে, সেটাই চুড়ান্ত।

এব্যাপারে শংকরবাটী হেফজুল উলুম এফ.কে কামিল মাদ্রাসার পরিচালনা পর্ষদের অভিভাবক সদস্য বিশিষ্ট সমাজ সেবক, শিক্ষানুরাগী ও রেজা অটো রাইস মিলস্ এর স্বত্বাধিকারী মোঃ রেজাউল ইসলাম বলেন, শংকরবাটী হেফজুল উলুম এফ.কে কামিল মাদ্রাসায় অধ্যক্ষ পদে নিয়োগে চরম স্বেচ্ছাচারিতা, অজ্ঞাত সুবিধা নেয়া, পূর্বপরিকল্পিতভাবে নিয়োগের সকল কার্যক্রম পরিচালনা করে মোঃ আব্দুল খালেক কে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তিনি অত্যন্ত ক্ষোভের সাথে বলেন, মোঃ আব্দুল খালেক একজন অযোগ্য ও আওয়ামীলীগ পরিবারের লোক, সে প্রতিষ্ঠান পরিচালনার কোন যোগ্যতায় রাখেনা। আব্দুল খালেক কৌশলে সাবেক সাংসদ আব্দুল ওদুদ ও সাবেক আওয়ামীলীগ সরকারের খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার কে ম্যানেজ করে তাঁদের প্রত্যক্ষ সুপারিশে এবং সাবেক জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খাঁন কে প্রভাব খাটিয়ে নিয়োগ নিয়েছে।

নিয়োগ পরীক্ষা ও সার্টিফিকেট নম্বরে অন্য প্রার্থী মোঃ তাজিমুল ইসলাম প্রথম স্থানে থাকলেও কৌশলে মৌখিক পরীক্ষায় বেশী নম্বর দিয়ে আব্দুল খালেক কে চুড়ান্ত করে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, অধ্যক্ষ নিয়োগের সময় বিষয়টি নিয়ে সাবেক জেলা প্রশাসক ও মাদ্রাসার পরিচালনা পর্ষদের সভাপতির সাথে অনেক আলোচনা ও তর্ক-বিতর্ক ও হয়েছে আমার। কিন্তু জেলা প্রশাসক সব কিছু বোঝার পরও আওয়ামীলীগের এমপি-মন্ত্রীকে খুশি করার জন্যই অন্যায় এবং স্বেচ্ছাচারিতা করে এই নিয়োগ দিয়েছেন। পরবর্তীতে পরিকল্পিত এই নিয়োগ এর রেজুলেশনে স্বাক্ষর করতে সম্মত না হলে রেজুলেশন বহিতে ভয়ভীতি দেখিয়ে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করা হয়েছে মাদ্রাসার পরিচালনা পর্ষদের অনেক সদস্যকে।

তিনি বলেন, আমি প্রায় ২২ বছর থেকে ওই মাদ্রাসার গভর্ণিং বডির সদস্য হিসেবে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার পরিবেশ ও উন্নয়ন বিষয়ে কাজ করে আসছি। কিন্তু অযোগ্য লোককে অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেয়ার পর থেকে প্রতিষ্ঠানে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছি। প্রতিষ্ঠানের অনেক সম্পদ রয়েছে, সেগুলোর ও আয়-ব্যয়ের বিষয়েও অনেক অনিয়ম রয়েছে। প্রতিষ্ঠান পরিচালনার ক্ষেত্রেও অনেক অভিযোগ আব্দুল খালেকের বিরুদ্ধে। প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের সাথেও তিনি অযৌক্তিক কারণে অসাদাচরণ ও দূর্বাবহার করে নিজেকে প্রতিষ্ঠানের সর্বক্ষমতার মালিক হিসেবে বোঝাতে চান।

তিনি ‘চাঁপাই দর্পণ’ কে বলেন, সব মিলিয়ে নিয়োগ পরীক্ষায় তাজেমুল ইসলাম চুড়ান্ত হওয়ার কথা থাকলেও সেচ্ছাচারিতা, তৎকালিন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগের এমপি-মন্ত্রীর চাপে শংকরবাটী হেফজুল উলুম এফ.কে কামিল মাদ্রাসায় অধ্যক্ষ পদে নিয়োগে চরম স্বেচ্ছাচারিতা ও পূর্বপরিকল্পিতভাবে নিয়োগের সকল কার্যক্রম পরিচালনা করে মোঃ আব্দুল খালেক কে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। অন্য প্রার্থী মোঃ তাজিমুল ইসলাম কে বঞ্চিত করে অন্যায় করা হয়েছে। আমি এই নিয়োগ কার্যক্রমের সঠিক তদন্ত করে প্রকৃত চুড়ান্ত প্রার্থীকে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ প্রদানের জন্য জোরালোভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি।

নিয়োগ কমিটির সদস্য ও তৎকালিন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ আব্দুর রশিদ বলেন, শংকরবাটী হেফজুল উলুম এফ.কে কামিল মাদ্রাসায় অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ কার্যক্রম সঠিকভাবেই হয়েছে। নিয়োগ পরীক্ষায় সব মিলিয়ে যিনি প্রথম হয়েছেন, তাকেই অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

নিয়োগ কমিটির সদস্য ও মাদ্রাসার তৎকালিন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জহির উদ্দিন নিয়োগ বিষয়ে বলেন, শংকরবাটী হেফজুল উলুম এফ.কে কামিল মাদ্রাসায় অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ কার্যক্রম সঠিকভাবেই হয়েছে। বিধিমোতাবেক অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে।

তবে, এসব অভিযোগ ও অনিয়মের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন শংকরবাটী হেফজুল উলুম এফ.কে কামিল মাদ্রাসায় নিয়োগপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ আব্দুল খালেক। তিনি বলেন, আমার জন্মস্থান এবং আদি বাড়ি সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের এলাকায় (নওগাঁ জেলার সাপাহার কলমুডাঙ্গা) হওয়ায় তিনি আমার বিষয়ে সাবেক সাংসদ মোঃ আব্দুল ওদুদের প্রত্যায়নপত্রে প্রতিস্বাক্ষর করে সুপারিশ করেন। আমার নিয়োগ কার্যক্রম সঠিকভাবেই হয়েছে। বিধিমোতাবেক প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ বোর্ডের মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে যথাযথভাবে অধ্যক্ষ পদে দায়িত্ব পালন করে আসছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
Copyright All rights reserved © 2024 Chapaidarpon.com
Theme Customized BY Sobuj Ali
error: Content is protected !!