কুড়িগ্রামে হিমেল হাওয়া ও সির সির বাতাসে কনকনে ঠান্ডার সাথে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে কাহিল হয়ে পড়েছে জনজীবন। তীব্র শীতের কারণে শহরে লোকসমাগমও কম গেছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে আসছে না মানুষ। এমন আবহাওয়ায় বেশি কষ্টে পড়েছেন অতিদরিদ্র ছিন্নমূল, শ্রমজীবী এবং নদ-নদী তীরবর্তী চরাঞ্চলের মানুষেরা। খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছেন তারা। বুধবার সকাল ৯টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পরিমাপ করেছে কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র। যা আগের দিন মঙ্গলবারের তুলনায় ২ ডিগ্রি বেশি। তবে আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলেও কমেনি শীতের তীব্রতা। আকাশে মেঘ থাকার কারণে ঠান্ডা বেশি অনুভূত হচ্ছে। এছাড়াও জেলার বিভিন্ন এলাকায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে জনজীবনে দুর্ভোগ বেড়েছে। কুড়িগ্রাম পৌর শহরের আলম মিয়া বলেন, মঙ্গলবার রাত থেকে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় হিমেল বাতাসে শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূত হচ্ছে। আবার সকাল থেকে যোগ হয়েছে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। যার কারণে খুব ঠান্ডা। হাত পা বরফ হয়ে যাচ্ছে। কনকনে ঠান্ডায় শহরে মানুষজনও কম। এদিকে, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা। এর মধ্যে শিশু ও বয়স্কদের সংখ্যাই বেশি। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন দপ্তরের কর্মকর্তা আব্দুল হাই সরকার জানান, শীতার্ত মানুষের জন্য জেলা প্রশাসন থেকে শীতবস্ত্র কেনার জন্য ৪৯ লাখ টাকা ও ১২ হাজার পিস কম্বল উপজেলাগুলোয় বিতরণ করা হয়েছে। আরও ৫ হাজার কম্বল মজুদ রয়েছে, তা বিতরণ করা হবে।