কোভিড ও এমপক্সের পর এবার নতুন ভাইরাস হিউম্যান মেটো নিউমো ভাইরাস-এইচএমপিভি সংক্রমণ রোধে বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্টে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য বিভাগের উপ-সহকারী চিকিৎসা কর্মকর্তা আব্দুল মজিদ বলেন, বিকালে এইচএমপিভি সংক্রমণ রোধে সতর্কতামূলক একটি চিঠি স্বাস্থ্যবিভাগ থেকে আমাদের কাছে এসেছে। তিনি বলেন, এই ভাইরাসটি পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে দেখা দিয়েছে। এর হাত থেকে সুরক্ষা পেতে ইমিগ্রেশনের স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে মাস্ক পরাসহ বিভিন্ন সচেতনমূলক পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে যাতায়াতকারী পাসপোর্ট যাত্রীসহ সবাইকে। এইচএমপিভি ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য জোর দিয়েছেন বেনাপোল ইমিগ্রেশনের স্বাস্থ্যকর্মীরা। ভারত থেকে আসা পাসপোর্ট যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা করা হচ্ছে। মাস্ক পরা, নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান, সর্দি, কাশি ও জ্বর থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শের অনুরোধ করছেন ইমিগ্রেশনের স্বাস্থ্য বিভাগ। ভারত থেকে আসা পাসপোর্ট যাত্রী বাদল চন্দ্র জানান, তিনি ভারতে চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন। ফেরার পথে ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন এইচএমপিভি ভাইরাসের পরীক্ষা না করলেও বেনাপোল ইমিগ্রেশনের স্বাস্থ্য বিভাগ তাকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছে। ভাইরাসটি থেকে নিরাপদ থাকতে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছেন। বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি ইমতিয়াজ মোহাম্মদ আহসানুল কাদের ভূঁইয়া জানান, ভাইরাস সংক্রমণ রোধে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ সতর্ক রয়েছে। ভারত থেকে আসা পাসপোর্ট যাত্রীদের কেউ আক্রান্ত কিনা তা পরীক্ষা করছেন ইমিগ্রেশনের স্বাস্থ্য বিভাগ। বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য বিভাগের উপ-সহকারী চিকিৎসা কর্মকর্তা আব্দুল মজিদ বলেন, “আগে থেকেই আমরা ভারত থেকে আসা পাসপোর্ট যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে আসছি। এইচএমপিভি ভাইরাসের আগে বেনাপোল ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য বিভাগে মাঙ্কিপক্স, ওমিক্রন, কোভিড, নিপা ও জিকা ভাইরাস রোধেও সতর্কতা নেওয়া হয়েছিল। এ নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন তিনি।