ফার্মাসিউটিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভ অ্যাসোসিয়েশন (ফারিয়া) কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ই জানুয়ারি) একটি বিশেষ সভায় সংগঠনের সদস্যের উপস্থিতিতে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন শফিক রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন সরদার কামাল হোসেন। পূর্ণাঙ্গ কমিটি এবং সংগঠনের বৃহৎ কর্ম পরিকল্পনা শীঘ্রই ঘোষণা করা হবে বলে জানানো হয় সভায়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শ্রমিক নেতা বর্তমান শ্রম সংস্কার কমিশনের সদস্য রাজেকুজ্জামান রতন। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার চেয়ারম্যান লায়ন নুর ইসলাম। সভায় সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় ফারিয়ার সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান। সভায় বক্তারা মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভদের উপর বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানির অন্যায় আচরণ ও জুলুমের বিষয়টি তুলে ধরেন। বক্তারা উল্লেখ করেন, মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভদের ক্ষেত্রে চাকরির কোন নিশ্চয়তা নেই, কোম্পানিগুলো তাদের যখন-তখন চাকরিচ্যুত করে। নির্দিষ্ট কর্মঘণ্টা না থাকা, সাপ্তাহিক ছুটি এবং সরকারি ছুটির অনুপস্থিতি, এমনকি চাকরির শুরুতেই সার্টিফিকেটের মূল কপি এবং ব্ল্যাংক চেক জমা নেয়ার মতো অবৈধ চর্চাগুলোর কথা আলোচনা করা হয়। বক্তারা দাবি করেন, বাংলাদেশে প্রচলিত শ্রম আইন অনুসারে মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভদের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানগুলোতে ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দেন তারা। প্রধান অতিথি রাজেকুজ্জামান রতন শ্রম আইন বাস্তবায়নের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ফারিয়ার ভূমিকা প্রশংসনীয়। শ্রম আইনের সংস্কার এবং ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের দাবির পক্ষে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। বিশেষ অতিথি লায়ন নুর ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের শ্রম আইন বাস্তবায়ন এবং শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করা ছাড়া এই সেক্টরের উন্নয়ন সম্ভব নয়। সভায় অন্যান্য নেতৃবৃন্দ, নবনির্বাচিত সভাপতি শফিক রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক সরদার কামাল হোসেন, ফারিয়ার আন্দোলন ও কর্ম পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন।
বক্তারা বাংলাদেশের শ্রম মন্ত্রণালয় এবং শ্রম অধিদপ্তরের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভদের প্রতি অবিচার বন্ধে সরকারকে উদ্যোগী হতে হবে। উল্লেখ্য, ফার্মাসিউটিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভ অ্যাসোসিয়েশন দীর্ঘদিন ধরে ঔষধ কোম্পানির বিভিন্ন অনিয়ম ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করে আসছে। সভায় শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য নতুন কর্মসূচির অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়।