লাভের আশায় ফুলকপি চাষ করে এখন বিপাকে কৃষকরা। ভালো ফলনেও কপাল পুড়ছে তাদের। পাইকারি প্রতি পিস ফুলকপি ২ টাকা থেকে ৩ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কচুয়া উপজেলা ভূঁইয়ারা এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ভোর থেকেই কৃষকরা ফুলকপি বিক্রির জন্য মাঠ থেকে তুলছেন, আবার কেউ দাম না পেয়ে নষ্ট করছেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জেরও বিভিন্ন এলাকার কৃষকদের অবস্থা একই। ফুলকপি আবাদ করতে যে খরচ হয়েছে, তার চেয়ে কম মূল্যে ফুলকপি বিক্রি করতে হচ্ছে তাদের। যার কারণে অনেক কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, ফলে এতে করে কৃষকেরা বিপাকে পড়েছেন। এ উপজেলায় প্রায় ২২ হেক্টর জমিতে ফুলকপির আবাদ করা হয়েছে। এরপরেও অনেকেই অপেক্ষা করে ক্রেতার দেখা পাচ্ছেন না। কেউ কিনছেন না ফুলকপি। বাধ্য হয়ে অনেক কৃষক জমিতে নষ্ট করছেন ফুলকপি। ভূঁইয়ারা গ্রামের কৃষক জাকির হোসেন বলছেন, গত বছর ফুলকপির ভালো দাম পেয়েছেন তারা। সে বিষয়টি ভাবনায় রেখে প্রায় ৩৮ শতক জমিতে এ বছরও আবাদ করেছেন তিনি। তবে ফুলকপির দাম যা দাঁড়িয়েছে তাতে লাভ তো দূরে থাক আসলও উঠে আসছে না। সবজির দামে ভোক্তারা স্বস্তি পেলেও খরচের টাকা তুলতে না পেরে পথে বসতে চলেছেন তারা। চলতি মৌসুমে ফুলকপির উৎপাদনের পরিমাণ বেশি হওয়ায় বাজারে এমন ধস নেমেছে বলে মনে করছেন তারা।
ফুলকপি পাইকারী বিক্রেতা বিল্লাল হোসেন বলেন, প্রতি কপির গাছে ৬ থেকে ৮ টাকা খরচ হয়েছে। এখন বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২ থেকে ৩ টাকা। যা পরিবহন ও শ্রমিকের মজুরি আসে না। এ বছর কৃষকের ফুলকপির ফলন ভালো হলেও দাম কম পাওয়ায় হতাশ তারা। আমরাও বিপাকে রয়েছি।