নওগাঁর নিয়ামতপুরে স্কুলের উন্নয়নের নামে দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে গুজিশহর হাটে ইজারদারকে বাদ দিয়ে জোরপূর্বক খাজনা উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (০১ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের গুজিশহর (প্রেমতলী) হাট থেকে ইজারাদারকে বের করে দিয়ে জোরপূর্বক খাজনা উত্তোলন করা হয়। এ বিষয়ে শনিবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী গুজিশহর হাটের ইজারাদার হাবিব হাসান। লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গুজিশহর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নূরুল ইসলাম ও বালাতৈড় সিদ্দিক হোসেন ডিগ্রী কলেজের শিক্ষক বাবুল আক্তার ও স্থানীয় কিছু লোকজন বিদ্যালয়ের উন্নয়নের কথা বলে ৪টি হাট (দুই সপ্তাহ) এর খাজনা দাবী করে। ইজারদার তাদের দাবী মেনে নেয়। কিন্তু চার হাট পার করে ১ ফেব্রুয়ারি ৫ম হাটে ইজারদারের প্রতিনিধি হাটে খাজনা আদায়ে গেলে উক্ত দুই শিক্ষকের লোকজন তাদের খাজনা তুলতে বাধা দেয় এবং তাদের জোরপূর্বক হাট থেকে বের করে দেয়। তারা হুমকি দিয়ে বলে আগামী চৈত্র মাস পর্যন্ত ইজারদারকে হাট দেওয়া হবে না। তারা জোরপূর্বক খাজনা আদায় করা শুরু করে। এ সময় খাজনা রশিদ ছিনিয়ে নেয় বেশ কয়েকজন। এমন ঘটনায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মাঝে। ইজারাদারকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি, ধামকি, ভয়ভীতি প্রদর্শন করেছে। গুজিশহর হাটের ইজারাদার ওহির উদ্দিন বলেন, বৈধভাবে হাটের ইজারা নিয়েছি। গুজিশহর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নূরুল ইসলাম ও বাবুল আক্তার তাদের লোকজন দিয়ে হাটের খাজনা তুলতে বাধা দিচ্ছেন। চাঁদাবাজ শিক্ষক নূরুল এর আগে আওয়ামীলীগের নাম ব্যবহার করে চাঁদা আদায় করেছে। এখন বিএনপির নাম ব্যবহার করে চাঁদাবাজি করছে। তিনি আরোও বলেন, আমাদেরকে হুমকি ধামকি দিয়ে হাট থেকে উঠিয়ে দিয়ে তারা লোকজন দিয়ে খাজনা তুলছেন।
গুজিশহর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নূরুল ইসলাম বলেন, এখানে জোরপূর্বক কোন কিছু হয় নাই। আমার নামে মিথ্যে অভিযোগ করেছে। এ বিষয়ে নিয়ামতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহেদী হাসান বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।