মেট্রোরেলের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ২০০ জন কর্মী চাকরি ছেড়েছেন। এদের মধ্যে একদিনেই ছেড়েছেন ৫০ জন কর্মী। ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এই সংখ্যক কর্মী চাকরি ছেড়েছেন বলে জানিয়েছেন, প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফ। উত্তরায় মেট্রোরেলের ডিপোতে রিপোর্টার্স ফর রেল অ্যান্ড রোডের (আরআরআর) সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা জানান। মোহাম্মদ আবদুর রউফ বলেন, ‘আমাদের ১ হাজার ৯১৯ জন ম্যানপাওয়ারের একটি অর্গানোগ্রাম তৈরি করা ছিল। আমাদের এখন ম্যানপাওয়ার বাড়াতে হচ্ছে। এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া। এটা নিয়ে মন্ত্রণালয়ে একটি কমিটিও গঠিত হয়েছিল। সার্ভিস রুলসহ অর্গানোগ্রাম এখন ফাইনাল স্টেজে আছে। আমাদের ধারণা এটি ২ হাজার অতিক্রম করবে। ফাইনাল না হওয়া পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না।’ তিনি বলেন, ‘১ হাজার ৯১৯ জনের মধ্যে এখন অন বোর্ড আছে ১ হাজার ৩৭৯ জন। এর মধ্যে ৭৫১ জন আমাদের রেগুলার আর ৬২৮ জন হচ্ছে আউটসোর্সিং এমপ্লয়। এখন পর্যন্ত প্রায় চাকরি ছেড়ে গেছে ২০০ জন। এরমধ্যে একদিনেই চাকরি ছেড়েছে ৫০ জন। এটা প্রতিষ্ঠানের জন্য একটা ফ্যাক্ট বলে উল্লেখ করেন এমডি। আন্ডারগ্রাউন্ড লাইনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আন্ডারগ্রাউন্ড কাজের জন্য সবার আগে ইউটিলিটিগুলো সরাতে হবে। বিমানবন্দর এলাকায় ইউটিলিটি সরানোর কাজ শেষ। এরপর গুলশান এলাকায় শুরু হবে। এই পুরো রাস্তায় তো গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। এটি একটির সঙ্গে আরেকটি রিলেটেড। আমি একটি কাজ শেষ করার আগে তো আর আরেকটি কাজ ধরতে পারব না। কাজ চলছে। এটি সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাদের যেহেতু দক্ষতা আছে তাই তারা দ্রুত কাজটি করতে পারবেন। এটার জন্য আমরা দফায় দফায় মিটিং করছি।’ মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, ডিএমটিসিএলের পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মেইন্টেন্যান্স) নাসির উদ্দিন আহমেদ, পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) মো. আফতাবুজ্জামান, মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন) মোহাম্মদ ইফতিখার হোসেন, রিপোর্টাস ফর রেল অ্যান্ড রোডের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো. তাওহীদুল ইসলাম, সহ-সভাপতি পার্থ সারথি দাস এবং নির্বাহী কমিটির সদস্য মুনিমা সুলতানা। এসময় রিপোর্টাস ফর রেল অ্যান্ড রোডের প্রায় সব সদস্য উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন মেট্রোরেলের বিভিন্ন লাইনের প্রকল্প পরিচালকরা।