1. tohidulstar@gmail.com : sobuj ali : sobuj ali
  2. ronju@chapaidarpon.com : Md Ronju : Md Ronju
রাজশাহীতে শেখ হাসিনাসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন - দৈনিক চাঁপাই দর্পণ
মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ০৩:৪৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
পুলিশকে অবহেলা করে দেশ গড়া যাবে না-ড. মুহাম্মদ ইউনূস ঢাকা ছাড়া ৬৩ জেলায় হবে স্বাধীনতা দিবসের কুচকাওয়াজ নাটোরের সিংড়ায় ফেসবুকে মহানবীকে কটুক্তি করায় ছাত্রলীগ নেতা আটক গোমস্তাপুরে খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় বিএনপির বিশেষ দোয়া ও ইফতার মাহফিল শিবগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ৮ জন আহত এপ্রিলে আসছে নতুন আরেকটি রাজনৈতিক দল শিবগঞ্জে খালেদা জিয়ার সুস্থ্যতা কামনায় ইফতার-দোয়া মাহফিল রহনপুরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ইফতার মাহফিল র‌্যাবের অভিযানে ইয়াবাসহ আটক-২ নারী-শিশুর প্রতি সহিংসতা বন্ধ ও বিচারের দাবিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জে সনাকের মানববন্ধন

রাজশাহীতে শেখ হাসিনাসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন

রাজশাহী প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ৪৬ বার পঠিত

কারাগারে বিএনপি নেতা পিন্টুর মৃত্যু

রাজশাহীতে শেখ হাসিনাসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন

২০১৫ সালের ৩ মে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকা অবস্থায় বিএনপির বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টুর মৃত্যুর ঘটনায় রাজশাহীর আদালতে মামলার আবেদন করা হয়েছে। মামলার আবেদনে আসামি হিসেবে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ মোট ২৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। বুধবার প্রয়াত বিএনপি নেতা নাসির উদ্দিন পিন্টুর ভাই নাসিম আহমেদ রিন্টু (৫০) রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ আদালতে এ মামলার আবেদন করেন। আদালতে তাঁর পক্ষে আইনজীবী আবদুল মালেক রানা মামলার আবেদন উপস্থাপন করেন। মামলার আরজি সুত্রে জানা গেছে, আসামির তালিকায় রয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ঢাকার সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, সাবেক মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, আসাদুজ্জামান কামাল, আনিসুল হক, হাজী মো. সেলিম, সোলায়মান সেলিম, ইরফান সেলিম, মনির হোসেন ওরফে কোম্পানি মনির ওরফে স্প্রিট মনির ও এএস শরিফ উদ্দিন ওরফে ব্ল্যাক শরিফ। এছাড়াও তৎকালীন, আইজিপি, তৎকালীন আইজি প্রিজন, তৎকালীন ঢাকা ও রাজশাহীর ডিআইজি প্রিজন, রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের তৎকালীন সিনিয়র জেল সুপার শফিকুল ইসলাম, জেলার শাহাদত হোসেন, কারা চিকিৎসক আবু সায়েম, কয়েদি রাব্বানী ও বিডিআর বিদ্রোহ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আবু কাহার আকন্দের নাম রয়েছে তালিকায়। বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় ২০০৯ সালে গ্রেফতার হন বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টু। তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহী বিডিআর জওয়ানদের পালিয়ে যেতে সহযোগিতার অভিযোগ আনা হয়। অভিযোগে তাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়া হয়। গত ২০ এপ্রিল তাকে নারায়নগঞ্জ কারাগার থেকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। কয়েক দিন পরে তিনি অসুস্থ বোধ করলে ২৬ এপ্রিল তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। এরপর তাকে আবার কারাগারে নেওয়া হয়। পরে নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে চিঠি দিয়ে কারাগারে চিকিৎসক ডাকা হয়। চিঠি পেয়ে একজন চিকিৎসক গেলেও তাকে কারাগারে ঢুকতে দেওয়া হয়েছিল না। ২০১৫ সালের ৩ মে দুপুরে কারাগার থেকে পিন্টুকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ কারণে নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন-২০১৩ এর ৭ (১) ধারামতে আদালতে এ মামলার আবেদন করা হয়েছে।
নাসির উদ্দিন পিন্টুর ভাই নাসিম আহমেদ রিন্টু বলেন, ‘আমার ভাইয়ের জনপ্রিয়তা ও বিএনপির প্রতি তার অবদানকে ভয় পাচ্ছিল ফ্যসিস্ট হাসিনা সরকার। তাই তাকে পরিকল্পিতভাবে পিলখানা মামলায় ফাঁসিয়ে সাজা দেওয়া হয়। এরপর কারাগারে নিয়ে হত্যা করা হয়।’ তিনি বলেন, ‘গ্রেপ্তারের পর নির্যাতনের কারণে আমার ভাই প্রচণ্ড অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তার সুচিকিৎসা নিশ্চিতে পরিবারের পক্ষ থেকে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছিল। হাইকোর্ট আদেশ দিয়েছিলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ আই হসপিটালে নিজ খরচে তাঁর নিয়মিত চিকিৎসা চলবে। কিন্তু হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করে তাকে ঢাকায় না রেখে প্রথমে নারায়ণগঞ্জ ও পরে রাজশাহী কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর তাঁর চিকিৎসা না করে সুপরিকল্পিতভাবে তাঁকে হত্যা করা হয়।’ নাসিম আহমেদ রিন্টুর আইনজীবী আবদুল মালেক রানা জানান, ‘আদালতে মামলার আরজি জমা দেওয়া হয়েছে। আদালত বক্তব্য শুনেছেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে আদালত কোনো আদেশ দেননি। আজই বিকেলে কিংবা পরে আদালত আদেশ দিতে পারেন। তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য এটি কোনো তদন্ত সংস্থার কাছে পাঠানো হতে পারে। ছাত্রদলের সভাপতি থাকা অবস্থায় ২০০১ সালের নির্বাচনে ঢাকার লালবাগ-কামরাঙ্গীরচর চর আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন নাসির উদ্দিন পিন্টু। পরে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হন। পিলখানা হত্যা মামলায় তাঁর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছিল। তিনি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে নির্বাচন করতে মনোনয়নপত্রও জমা দিয়েছিলেন। তবে আদালতে সাজা হওয়ায় মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যায়। নির্বাচন করতে পারেননি। আদালতে রিন্টুর সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু, রাজশাহীর সাবেক সিটি মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রাণ ও পূর্নবাসন বিষয়ক সহসম্পাদক শফিকুল হক মিলন, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন তপু, নগর যুবদলের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সুইট, ছাত্রদল নেতা এমদাদুল হক লিমনসহ দলীয় নেতাকর্মীরা গিয়েছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
Copyright All rights reserved © 2024 Chapaidarpon.com
Theme Customized BY Sobuj Ali
error: Content is protected !!