প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ, দীপু মনি এবং মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের দপ্তরের পার্সোনাল অফিসার দুর্নীতিবাজ মুছিবুল হাসান ও তার বড় ভাই আওয়ামীলীগের দোসর মইনুল হাসান (মিলন) এর বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। অনুষ্ঠানে ইউনিয়নবাসির পক্ষে মিজানুর রহমান, সেলিম ফকির, আল আমীন শেখ বক্তব্য প্রদান করেন। তারা বলেন- মুছিবুল হাসান ২০০৯ সালে আওয়ামী সরকারের সময় শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের কারিগরি শিক্ষা শাখায় অতিরিক্ত সচিবের টাইপিষ্ট হিসেবে যোগদান করেন। ২০১২ সালে প্রাক্তন মন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদের পার্সোনাল সেক্রেটারির ব্যক্তিগত কর্মকর্তা হিসেবে মন্ত্রীর দপ্তরে যোগদান করে এবং পরবর্তীতে একই দপ্তরে ২০১৯ সালে ডা. দীপু মনি ও ২০২৪ সালে মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল শিক্ষা মন্ত্রীর দায়িত্ব পেলে দপ্তরের পার্সোনাল অফিসারের পদে বহাল থেকে তার অবৈধ কর্মকান্ড পরিচালনা করে। এ সময় শিক্ষা মন্ত্রনালয়ে ১২ সিন্ডিকেট নামে একটি গ্রুপ তৈরী করে এবং বিভিন্ন তদবির, নিয়োগ-বানিজ্য, কমিশন কলেকশন করে শত কোটি টাকার মালিক হয়ে যায়। পিতার নামে মাষ্টার শাহাদাৎ হোসেন পাঠাগার নির্মান করে বিভিন্ন সরকারী প্রতিষ্ঠান থেকে অনুদান নিয়ে কোন কাজ না করে আত্মসাৎ করে। স্থানীয় নাজমুল ফকিরের পৈতৃক জায়গা জোড় পূর্বক লিখিয়ে নিয়ে পাঠাগারের অফিস নির্মান করে। বিভিন্ন মহল থেকে মোটা অংকের চাদা আদায় করে পাঠাগারের নামে এবং সম্পূর্ন অর্থ আত্মসাৎ করে। বিষয় ব্যাক্তি ঢাকার মোহাম্মদপুরে বাসা নং-২১/১১, তাজমহোল রোডে ফ্লাট ক্রয় করে থাকে এবং তার স্ত্রী ও শশুরবাড়ীর লোকেদের নামে সাভার, মোহাম্মদপুর, টংগি, বসুন্ধরাতে জমি ও ফ্লাট ক্রয় করে। গ্রামের বাড়ীতে প্রায় ৫ বিঘা জমি ক্রয় করে, করফা বাজারে ৩ তলা মার্কেট নির্মান করে, পিরোজপুরে জমি ক্রয় করে বাড়ী নির্মান করে। গ্রামের বাড়ীতে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার ভবন নির্মান করে।
মুছিবুল হাসানের চিকিৎসার প্রয়োজনে বহুবার স্বপরিবারে ভারত ভ্রমন করে। কোন চিকিৎসাই সে বাংলাদেশে করে না। নামে-বেনামে, স্ত্রীর ও শশুরবারি ও আত্নীয় সজনদের নামে ব্যাংকে রয়েছে শত কোটি টাকা, যা তদন্ত করলেই বের হয়ে আসবে। তার গ্রামের বাড়ীতে তৈরী করে এক বিশাল সন্ত্রসী বাহিনী এবং স্থানীয় থানা সবসময় তার নিয়ন্ত্রনে রেখে সাধারন মানুষকে ভয় ভিতি ও মামলার মাধ্যমে সর্বদা ভয় প্রদর্শন করে রাখত। তেবে সামান্য তদন্তেই এখন সাধারন মানুষ তার বিরুদ্ধে সকল অপকর্মের সাক্ষী দিবে। অদৃশ্য ক্ষমতার দাপটে এখরো মুছিবুল হাসান এবং তার বড় ভাই মইনুল হাসান দাপটরে সাথে শিক্ষা মন্ত্রনালয় এবং স্থানীয় পর্যায়ে ঘুরে বেরাচ্ছে এবং আওয়ামীলীগের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার কাজ করছে।