কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গত বছর ৮ সেপ্টেম্বর এক অনুষ্ঠানে জাতীয় নাগরিক কমিটির আত্মপ্রকাশ ঘোষণা করা হয়। রাজনৈতিক দলের গঠন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে প্রধান চারটি পদ বহাল রেখে জাতীয় নাগরিক কমিটির বাকি সব সেল ও শাখা বিলুপ্ত ঘোষণা করেছে সংগঠনটি। বুধবার বাংলামোটরে জাতীয় নাগরিক কমিটির প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সাধারণ সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে সংগঠনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে। আওয়ামীলীগ সরকার হটানোর সফল আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির উদ্যোগে নতুন রাজনৈতিক দল শুক্রবার আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে। এর আগে ১১তম সাধারণ সভায় জাতীয় নাগরিক কমিটি বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিল। কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আহ্বায়ক, সদস্য সচিব, মুখপাত্র, মুখ্য সংগঠক ছাড়া জাতীয় নাগরিক কমিটির বাকি সব নেতৃত্ব কাঠামো, নির্বাহী কমিটি, সেল ও সার্চ কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। ২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হয়। এরপর ৮ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্র পুনর্গঠন, ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ ও ‘নতুন বাংলাদেশের’ রাজনৈতিক বন্দোবস্ত সফল করার লক্ষ্যে আত্মপ্রকাশ করে নতুন জাতীয় নাগরিক কমিটি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লিয়াজোঁ কমিটির সদস্য মুহাম্মাদ নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীকে আহ্বায়ক ও গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির আহ্বায়ক আখতার হোসেনকে সদস্য সচিব করে এই নাগরিক কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক। আর কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন। জাতীয় নাগরিক কমিটির ১১তম সাধারণ সভার অন্য সিদ্ধান্তের মধ্যে রয়েছে, নতুন রাজনৈতিক দলে যোগদানকারী সব কেন্দ্রীয় সদস্যের সদস্যপদ আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি দলের আত্মপ্রকাশের আগ পর্যন্ত বহাল থাকবে। রাজনৈতিক দলে অন্তর্ভুক্তির সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সদস্যের জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যপদ বাতিল হিসেবে গণ্য হবে। আর যারা দলে যোগ দিচ্ছেন না তাদের সদস্যপদ বহাল থাকবে। নাগরিক কমিটির আহবায়ক, সদস্য সচিব, মুখপাত্র, মুখ্য সংগঠক শুক্রবার থেকে পরবর্তী ১৫ দিন অনানুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব পালন করবেন। তাদের উদ্যোগে জাতীয় নাগরিক কমিটির ফোরাম পরবর্তী নেতৃত্ব কাঠামো নির্ধারণ করবেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শুক্রবার তাদের উদ্যোগে গঠিত নতুন রাজনৈতিক দল আত্মপ্রকাশের পর জাতীয় নাগরিক কমিটি ‘সিভিল-পলিটিক্যাল প্ল্যাটফর্ম’ হিসেবে থেকে যাবে। আর কোনো দল গঠনের উদ্যোগ নেবে না। এতে বলা হয়, “আগামী দিনে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং জনগণের স্বার্থে জাতীয় নাগরিক কমিটি সর্বদা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ও সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাবে।