নওগাঁর মান্দায় এক যুবককে কৌশলে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টার সময় দুই ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় লোকজন। বৃহস্পতিবার উপজেলার ঘাটকৈর এলাকা থেকে তরুণকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার সময় রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার হাটরা এলাকায় ওই দুই ব্যক্তিকে আটক করা হয়। আটক ব্যক্তিরা হলেন-রাজশাহীর মতিহার থানার বিনোদপুর এলাকার সেলিম রেজার ছেলে সজল (৩৩) ও একই এলাকার শামসুল হকের ছেলে মেহেদী হাসান (৩৫)। অপহরণ চেষ্টার শিকার ওই যুবকের নাম সাজ্জাদ হোসেন সৈকত (১৮)। তিনি মান্দা সদর ইউনিয়নের ঘাটকৈর গ্রামের নুরুজ্জামান মলের ছেলে। সাজ্জাদ হোসেন জানান, তার বাবা নিয়ামতপুরে মাটি কাটার কাজে যাওয়ার কথা বলে বৃহস্পতিবার ভোরে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মোটরসাইকেল নিয়ে আসা দুইজন অপরিচিত ব্যক্তি তাদের বাড়ি এসে জানায়, তার বাবা সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এসময় তাদের সঙ্গে থাকা মোটরসাইকেলে সাজ্জাদকে তুলে নিয়ে আহত বাবাকে দেখতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে রাজশাহীর দিকে যেতে থাকে। মোটরসাইকেল কুসুম্বা এলাকায় পৌঁছালে সাজ্জাদ অপহরণকারীদের জিজ্ঞেস করলে তার মুখ চেপে ধরে এবং আরও দ্রুত মোটরসাইকেল চালাতে থাকে। মোটরসাইকেল রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কের রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার হাটরা এলাকায় পৌঁছালে সাজ্জাদ কৌশলে মোটরসাইকেলে পেছনে বসা অপহরণকারীর মোবাইল ফেলে দেয়। এতে মোটরসাইকেল থামানোর চেষ্টা করে এবং এ সময় সাজ্জাদের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন তাদেরকে ধাওয়া করে আটক করে। পরে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে জনতা আটক অপহরণকারীদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। মান্দা থানার ওসি মনসুর রহমান বলেন, সাজ্জাদ হোসেন নামের এক তরুণকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এমন সংবাদে দুষ্কৃতিকারীদের পেছনে ধাওয়া করে মান্দা থানা পুলিশের একটি দল। পরে রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার হাটরা এলাকায় স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় দুই দুষ্কৃতিকারীকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। এদিকে, এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকেলে নওগাঁ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাফিউল সারোয়ার তার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন। এসময় অন্যদের মধ্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান, এহসানুর রহমান ভূঁইয়া, নওগাঁ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম সিদ্দিকীসহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।