মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার শরীফপুর ইউনিয়নের সীমান্তে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে জাবেল মিয়া (২৬) নামের একজনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন আরও ৩ জন। আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এ ঘটনায় পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদের পর আটক করেছে। শনিবার (১ মার্চ) রাতে শরীফপুর ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গত কয়েকদিন পূর্বে জাবেলের সঙ্গে নিশ্চিন্তপুরের এক ব্যক্তির কথাকাটাকাটি হলে তিনি একজনকে থাপড় মারে। ওই বিষয়কে কেন্দ্র করে শনিবার শালিস বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়। জাবেলসহ অন্যরা এসময় শালিস বৈঠকে নিশ্চিন্তপুর এলাকায় গেলে তাদের ওপর পূর্বে থেকে ওৎ পেতে থাকা সুমন মিয়া, শামিম ও জাবেরের নেতৃত্বে কুড়াল ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়।
এসময় অস্ত্রের আঘাতে জাবেল ঘটনাস্থলেই মারা যান। আর আহত হন আখতার আলী (৩০), শামিম আহমদ (২৮) ও শিপন মিয়া (২৫)। এদের মধ্যে আখতারের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তাদের অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের সিলেট এম এ জি ওসমানি হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। আহতদের মাথা, হাত ও শরীরের বিভিন্ন অংশে চাইনিজ কুড়াল ও দায়ের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সুমন মিয়া পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করে। তার বাড়ি পৃথিমপাশা ইউনিয়নের আমুলী গ্রামে। তারা সংঘবদ্ধ চোরাকারবারী করে। বাকি সবার বাড়ি দত্তগ্রাম এলাকায়। এ বিষয়ে কুলাউড়া থানার ওসি গোলাম আপছার বলেন, এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।