মাদক সম্রাট ও সন্ত্রাসের গডফাদার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এবং আওয়ামীলীগ নেতা চেয়ারম্যান শাহিদ রানা টিপুর নেতৃত্বে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নে একের পর এক খুনের ঘটনার সাথে জড়িত খুনিদের বাঁচাতে এবং এবছরের ১২ জানুয়ারী পরিকল্পিতভাবে ডেকে নিয়ে গিয়ে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখমের পর ২৩ জানুয়ারী রাজশাহী হাসপাতালে মারা যাওয়া আব্দুল হাকিম পিন্টু হত্যা মামলা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার ষড়যন্ত্র হিসেবে মানববন্ধন করেছে সন্ত্রাসী টিপুর লোকজন।
চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নবাসীর ব্যানারে রবিবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে টিপু চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য খুনিদের পক্ষে এই মানববন্ধন হয়। এই মানববন্ধনে অংশ নেয় টিপু চেয়ারম্যানের সহচর এবং সন্ত্রাসীদের কাজে সহায়তাকারী লোকজন। অজ্ঞাত সুবিধাভোগকারী এবং সুবিধা নিয়ে আসা লোকজন দীর্ঘদিনের মাদক সম্রাট ও সন্ত্রাসের গডফাদার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এবং আওয়ামীলীগ নেতা চেয়ারম্যান শাহিদ রানা টিপুর পক্ষে কথা বলেন। চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের আরেক হত্যা মামলার (জিয়া হত্যা মামলা) ওয়ারেন্টভূক্ত আসামী টিপু চেয়ারম্যানসহ অন্যান্যরা এবং একই আসামীদের পক্ষ নিয়ে প্রশাসনের নাগের ডগায় খুনিদের পক্ষে কথা বলায় রীতিমত স্তম্ভিত, আতংকিত ও হতভম্ব ভূক্তভোগী পরিবারের লোকজন ও এলাকার সচেতন মানুষগুলো।
দিকে, ১৪ জানুযারী বিশেষ প্রতিবেদনের জন্য ‘চাঁপাই দর্পণ’ অফিসে স্ব-শরিরে উপস্থিত হয়ে স্বামী হত্যার বিচার ও স্বামী খুনের সাথে জড়িত মাদক সম্রাট ও সন্ত্রাসের গডফাদার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এবং আওয়ামীলীগ নেতা চেয়ারম্যান শাহিদ রানা টিপুসহ অন্যান্য আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের বিষয়ে জোর দাবী জানিয়ে কথা বলেন আব্দুল হাকিম পিন্টুর স্ত্রী পারভিন। কিন্তু কোন্ অজ্ঞাত কারণে ০২ মার্চ খুনিদের পক্ষের মানববন্ধনে এসে আব্দুল হাকিম পিন্টুর স্ত্রী পারভিন খুনিদের পক্ষে কথা বললেন এবং অন্যান্যদের জড়িয়ে নাম বললেন বিষয়টি নিয়েও প্রশ্ন এবং ধুম্রজাল দেখা দিয়েছে। ভূক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয়দের দাবী, এভাবেই বিভিন্ন কৌশলে মাদক সম্রাট ও সন্ত্রাসের গডফাদার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এবং আওয়ামীলীগ নেতা চেয়ারম্যান শাহিদ রানা টিপু ও তাঁর লোকজন বিভিন্ন অপকর্ম ভিন্নখানে প্রবাহিত করে প্রশাসনকে ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে আসছেন দীর্ঘদিন থেকেই।
অন্যদিকে, মাদক সম্রাট ও সন্ত্রাসের গডফাদার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এবং আওয়ামীলীগ নেতা চেয়ারম্যান শাহিদ রানা টিপু ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর ভোল্ট পালিয়ে বিএনপি-জামায়াত নেতাদের সাথে সৌখ্যতা গড়ে তুলেছেন এবং প্রশাসনকে ম্যানেজ করে আসামীরা ঘুরে বেড়াচ্ছেন বলেও অভিযোগ ভূক্তভোগীদের। এছাড়া, আগের হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত আসামী এবং সম্প্রতি ঘটা পিন্টু হত্যা মামলার আসামী হয়েও জেলা শহরের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়িয়েছেন টিপু চেয়ারম্যান (তবে বর্তমানে পলাতক)। বিএনপি নেতাদের সাথে বসে দীর্ঘসময় আলাপ-আলোচনা করছেন, তার পক্ষে কাজ করার জন্য বলছেন। অজ্ঞাত কারণে মাদক সম্রাট ও সন্ত্রাসের গডফাদার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এবং আওয়ামীলীগ নেতা চেয়ারম্যান শাহিদ রানা টিপুর পক্ষে কথা বলছেন বিএনপির এক জেলা পর্যায়ের নেতা, পুলিশকে নানাভাবে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করছেন ওই নেতা বলেও অভিযোগ করেছেন পিন্টু হত্যা মামলার বাদী পিন্টুর বাবা ও পরিবারের লোকজন।
উল্লেখ্য, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নে ঘটেছে একের পর এক খুনের ঘটনা। মাদক সম্রাট ও সন্ত্রাসের গডফাদার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এবং আওয়ামীলীগ নেতা চেয়ারম্যান শাহিদ রানা টিপুর নেতৃত্বে এসব ঘটনা ঘটলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে টিপুসহ খুনের সাথে জড়িতরা। আওয়ামী পরিবারের হওয়ায় এবং অর্থের ক্ষমতার কাছে অসহায় এলাকার লোকজন। মাদক সম্রাট ও সন্ত্রাসের হোতা টিপুর বিরুদ্ধে কেউ কথা বললেই নেমে আসে নির্যাতন, হত্যাসহ নানা অত্যাচার। তাঁর নিজস্ব আইনাঘরে নিয়ে গিয়ে চালান অমানবিক ও পৈষাচিক নির্যাতন। টিপু একদিকে যেমন চরাঞ্চলের মাদক সম্রাট ও সন্ত্রাসের গডফাদার, অন্যদিকে বালু সিন্ডিকেট, মাটি সিন্ডিকেটেরও গডফাদার। তাঁর এসব কর্মকান্ড নিয়ে একাধিকবার টেলিলিশন ও স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলেও অর্থ ও আওয়ামীলীগ নেতাদের দিয়ে ক্ষমতা খাটিয়ে তার রাজত্ব বহাল রেখেছেন। যা এখনো বহাল রাখতে চালিয়ে যাচ্ছেন নানা কৌশল এবং ষড়যন্ত্র। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নে ঘটছে একের পর এক খুনের ঘটনা। মাদক সম্রাট ও সন্ত্রাসের গডফাদার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এবং আওয়ামীলীগ নেতা চেয়ারম্যান শাহিদ রানা টিপুর নেতৃত্বে এসব ঘটনা ঘটলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে টিপুসহ খুনের সাথে জড়িতদের বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রয়োজনীয় এবং কঠোর ব্যবস্থা নিয়ে এলাকাকে মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত করবেন সংশ্লিষ্টরা, এমনটায় আশা এলাকার নির্যাতিত, নিপিড়ীত ও ভূক্তভোগী পরিবার ও সচেতন মানুষের।
সম্প্রতি ‘দৈনিক চাঁপাই দর্পণ’ এ “চরবাগডাঙ্গায় একের পর এক খুন-ধরাছোঁয়ার বাইরে টিপুসহ অন্য খুনিরা-পিন্টু হত্যার ১ মাস ॥ প্রকাশ্যে ঘুরছে খুনিরা ॥ গ্রেফতার করছে না থানা পুলিশ-অভিযোগ ভূক্তভোগীদের” সংবাদ প্রকাশিত হলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার ওসি মোঃ রইস উদ্দিনকে বদলী করা এবং নতুন ওসি হিসেবে মোঃ মতিউর রহমানকে দায়িত্ব দেয়া হয়। এদিকে, পিন্টু হত্যার আসামীদের নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর নানা কৌশল শুরু করে টিপু চেয়ারম্যান ও তার লোকজন। এরই ধারাবাহিকতায় রবিবার (২ মার্চ) জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন। এমনটায় ধারণা সচেতন মহলের। চাঁপাইনবাবগঞ্জে খুনিদের পক্ষে জেলা সদরে মানববন্ধন বিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ক্রাইম এন্ড অপস মোঃ ওয়াসীম ফিরোজ রবিবার দুপুরে ‘চাঁপাই দর্পণ’ কে বলেন, মানববন্ধন করা এলাকার লোকজনের বিষয়। আমরা পিন্টু হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের মধ্য থেকে ২জনকে গ্রেফতার করেছি। এই হত্যাকান্ডসহ এলাকায় সন্ত্রাসের সাথে জড়িতদের কোন ছাড় নেই। পিন্টু হত্যাকান্ডসহ অন্যান্য ওয়ারেন্টভুক্ত আসামীদের ধরতে পুলিশি অভিযান চলমান রয়েছে।